মিল্টন সেন, হুগলি: ভাইফোঁটার বাজারে কেউ আর মিষ্টির দামের তোয়াক্কা করছেন না। প্রায় দশ থেকে পনেরো শতাংশ দাম বেড়েছে সব মিষ্টিতেই। জলভরার শহরে ভাইফোঁটায় ক্রিম চকলেট আর নলেন গুড়ের নানা মিষ্টির সমাহার। দাম বেড়েছে মিষ্টির, কিন্তু ক্রেতার কোনও অভাব নেই।
চন্দননগরের জলভরা বিখ্যাত। সেই মিষ্টি স্বাদে অমৃত হয় নলেন গুড়ের মিশ্রনে। বর্তমান যুগে বলতে গেলে সারা বছরই নলেন গুড়ের নানা মিষ্টি মেলে। তবে নলেন গুড়ের স্বাদ ভাল হয় শীতকালে। যদিও শীত পড়তে এখনও আরও কিছুদিন বাকি। তার আগে হেমন্তের দিনে হবে ভাইফোঁটার উৎসব। চন্দননগরের মিষ্টির নাম মূলত জলভরায়। তবুও সাবেক ফরাসডাঙ্গায় যে ক'টি মিষ্টির দোকান আছে সব দোকানেরই মিষ্টি লা-জবাব। একটি সবসময় অপরকটিকে টেক্কা দিতে রেডি হয়ে থাকে।
ভাইফোঁটায় বিক্রি-বাট্টা হয় খুব বেশি। শনিবার পঞ্চাননতলার এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, জলভরা তো আছেই। ভাইফোঁটা উপলক্ষে প্রায় ৩৭০ রকমের মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। মিষ্টির দাম রাখা হয়েছে দশ টাকা থেকে দু'শো টাকা। এই সব মিষ্টির মধ্যে রয়েছে, চকলেট ও ক্রিমের নানা মিষ্টি। রয়েছে চকলেট মনোহরা, চকলেট মস্তি, নলেন গুড়ের চপ সন্দেশ, ক্রিম চপ, শান্তি ভোগ, হনিডু, কৈরাভোগ সহ আরও অনেক কিছু। এছাড়াও চিরাচরিত খাজাতেও চকলেট স্বাদ রয়েছে।
রাত পোহালে ভাইফোঁটা। বোনেরা সকাল থেকে মিষ্টি কিনতে লাইন দিয়েছেন বিভিন্ন দোকানে। লাইন পড়েছে নামিদামি থেকে সাধারণ, সব দোকানেই। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে মিষ্টির ব্যাগ হাতে পাওয়ার পর তবেই স্বস্তি মিলছে বোনেদের। এদিকে মিষ্টি তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়েছে সব মিষ্টির। দাম বেড়েছে দশ থেকে পনেরো শতাংশ। ভাইফোঁটা বলে কথা, দাম বেশি হলেও ভাইদের জন্য মিষ্টি লাগবেই। তাই চুঁচুড়া হোক বা চন্দননগর বা শ্রীরামপুর, রিষড়া সর্বত্রই মিষ্টির দোকানগুলোতে উপচে পড়েছে ক্রেতার ভিড়।
ছবি পার্থ রাহা।
