নির্বিঘ্নে ‘দেবী চৌধুরাণী’র প্রথম পর্বের শুট শেষ। আজকাল ডট ইনকে প্রথম জানিয়েছেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। ছবির শুট শুরু হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি উত্তর কলকাতায়, জিমি লাহার বাড়িতে। সেই সময় শুটে অংশ নেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, কিঞ্জল নন্দ, দর্শনা বণিক। সেখানে শুটের পরে ২৮ জানুয়ারি টিম নিয়ে পরিচালক পৌঁছে যান পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় এবং তার পাদদেশে শুট হয়েছে। শুট হয়েছে গভীর জঙ্গলেও। সেখানে শ্রাবন্তীর সঙ্গে ছিলেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী। কেমন হল প্রথম পর্বের শুটিং? জানতে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অভিনেত্রী উচ্ছ্বসিত। তাঁর কথায়, ‘‘এক কথায় অসাধারণ। আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। প্রথম শুভ্রজিৎদার সঙ্গে কাজ। প্রথম শ্রাবন্তীদির সঙ্গে কাজ। ওঁরা যে কী ভাল বলে বোঝাতে পারব না।’’
প্রথম পর্বে কলকাতা, পুরুলিয়ার পাশাপাশি ছবির শুটিং হয়েছে বারুইপুরেও। বিবৃতির চরিত্রের নাম "নিশি"। চরিত্রের সঙ্গে মানানসই হতে তাঁকে অনেকটাই ওজন ঝরাতে হয়েছে। শ্রাবন্তী-অর্জুনের সঙ্গে তাঁকেও অস্ত্রশিক্ষায় মহড়া নিতে দেখা গিয়েছে। আনন্দ, উত্তেজনা আর প্রচণ্ড ভয় নিয়ে শুটিং করতে গিয়েছিলেন। প্রথম শটের পরে সেই ভয় কমল? প্রশ্ন শুনে বিবৃতি বললেন, ‘‘দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। শুভ্রজিৎদা খুব কম সময়ে অনেক ভাল ভাল শট নিয়ে নিতেন। তাই এত কম সময়ে অনেকটা শুট সম্ভব হয়েছে।’’ ‘দেবী চৌধুরাণী’ হিসেবে শ্রাবন্তী কেমন? বিবৃতির দাবি, ঠিক দুর্গা প্রতিমার মতো। যেন উপন্যাসের পাতা থেকে উঠে এসেছেন! খুব ভাল ব্যবহার। হইহই করতে করতে দিন কেটে গিয়েছে।
অ্যাকশন দৃশ্য কেমন শুট হল? সারাদিন পরিশ্রমের পরে খাওয়াদাওয়া নিশ্চয়ই জমিয়ে হত? মনে রাখার মতো কোনও অভিজ্ঞতা?
অভিনেত্রীর মতে, শুট করতে করতে একেক সময় মনে হচ্ছিল তাঁরা নিনজা কৌশলে অভিনয় করছেন! বড়পর্দায় সেই সব দৃশ্য দেখে দর্শকদের গায়ে কাঁটা দেবে। তবে বিবৃতির খাওয়ার গল্প আরও মারাত্মক। তাঁর কথায়, ‘‘কড়া ডায়েটে। তাই সারাদিনে শুটের সময় একবার মিল নিতাম। তাও মাত্র চারটে সেদ্ধ ডিম! জলও কম খেতাম। যাতে পোশাক বদলাতে না হয়। তবে শীতকাল বলে কোনও সমস্যা হয়নি।’’ মেকআপ করতে কম করে একঘণ্টা সময় লাগত তাঁর। মেকআপ তুলতেও। সারা গায়ে উল্কি আঁকার পাশাপাশি ভিন্ন ধরনের রূপটানে তাঁকে চরিত্রের উপযোগী করে তুলতেন সোমনাথ কুণ্ডু।
পরের শুট আবার কবে? কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে, এর বেশি কিছু বলতে নারাজ শুভ্রজিৎ। মুখ খোলেননি বিবৃতিও। তবে শোনা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা মার্চের গোড়ায় বোলপুর-কলকাতা মিলিয়ে শুট হবে বাকি অংশের। এই অংশে থাকবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
প্রথম পর্বে কলকাতা, পুরুলিয়ার পাশাপাশি ছবির শুটিং হয়েছে বারুইপুরেও। বিবৃতির চরিত্রের নাম "নিশি"। চরিত্রের সঙ্গে মানানসই হতে তাঁকে অনেকটাই ওজন ঝরাতে হয়েছে। শ্রাবন্তী-অর্জুনের সঙ্গে তাঁকেও অস্ত্রশিক্ষায় মহড়া নিতে দেখা গিয়েছে। আনন্দ, উত্তেজনা আর প্রচণ্ড ভয় নিয়ে শুটিং করতে গিয়েছিলেন। প্রথম শটের পরে সেই ভয় কমল? প্রশ্ন শুনে বিবৃতি বললেন, ‘‘দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। শুভ্রজিৎদা খুব কম সময়ে অনেক ভাল ভাল শট নিয়ে নিতেন। তাই এত কম সময়ে অনেকটা শুট সম্ভব হয়েছে।’’ ‘দেবী চৌধুরাণী’ হিসেবে শ্রাবন্তী কেমন? বিবৃতির দাবি, ঠিক দুর্গা প্রতিমার মতো। যেন উপন্যাসের পাতা থেকে উঠে এসেছেন! খুব ভাল ব্যবহার। হইহই করতে করতে দিন কেটে গিয়েছে।
অ্যাকশন দৃশ্য কেমন শুট হল? সারাদিন পরিশ্রমের পরে খাওয়াদাওয়া নিশ্চয়ই জমিয়ে হত? মনে রাখার মতো কোনও অভিজ্ঞতা?
অভিনেত্রীর মতে, শুট করতে করতে একেক সময় মনে হচ্ছিল তাঁরা নিনজা কৌশলে অভিনয় করছেন! বড়পর্দায় সেই সব দৃশ্য দেখে দর্শকদের গায়ে কাঁটা দেবে। তবে বিবৃতির খাওয়ার গল্প আরও মারাত্মক। তাঁর কথায়, ‘‘কড়া ডায়েটে। তাই সারাদিনে শুটের সময় একবার মিল নিতাম। তাও মাত্র চারটে সেদ্ধ ডিম! জলও কম খেতাম। যাতে পোশাক বদলাতে না হয়। তবে শীতকাল বলে কোনও সমস্যা হয়নি।’’ মেকআপ করতে কম করে একঘণ্টা সময় লাগত তাঁর। মেকআপ তুলতেও। সারা গায়ে উল্কি আঁকার পাশাপাশি ভিন্ন ধরনের রূপটানে তাঁকে চরিত্রের উপযোগী করে তুলতেন সোমনাথ কুণ্ডু।
পরের শুট আবার কবে? কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে, এর বেশি কিছু বলতে নারাজ শুভ্রজিৎ। মুখ খোলেননি বিবৃতিও। তবে শোনা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা মার্চের গোড়ায় বোলপুর-কলকাতা মিলিয়ে শুট হবে বাকি অংশের। এই অংশে থাকবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
