আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাদক সরবরাহ রুখতে ফের বিরাট পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এবার মাদকবাহী সাবমেরিনে বড়সড় হামলা করল যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরেই দুই দেশের দুই পরিচিত মাদক কারবারির মৃত্যু হয়েছে। বাকি দু'জনকে আটক করার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলায় ২৫ হাজার নাগরিকের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলেই মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মাদক সরবরাহকারী সাবমেরিনে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় মাদক সরবরাহকারী দুই সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত আরও দুই সন্ত্রাসীকে কলোম্বিয়া ও ইকুয়েডরে ফেরৎ পাঠানো হচ্ছে। সেই দেশেই অভিযুক্তদের আটক করে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এই হামলায় কোনও মার্কিন নাগরিক, সেনাবাহিনীর সদস্যরা আহত হননি।
???? DESTROYED: Confirmed DRUG-CARRYING SUBMARINE navigating towards the United States on a well-known narcotrafficking transit route.
— The White House (@WhiteHouse)
"Under my watch, the United States of America will not tolerate narcoterrorists trafficking illegal drugs, by land or by sea." - President Trump pic.twitter.com/N4TAkgPHXNTweet by @WhiteHouse
হোয়াইট হাউস ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতিটি শেয়ার করেছে। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, 'অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা একটি সাবমেরিনে হামলা চালিয়েছি, ওইটা ছিল মাদকবাহী একটি সাবমেরিন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে আসছিল। যেটি বানানোই হয়েছিল বিপুল পরিমাণ মাদক পরিবহনের উদ্দেশ্যে। হামলাটি হয়েছে মাদক-পরিবহনকারী, মাদকবোঝাই সাবমেরিনে। ইউএস ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, এই সাবমেরিনে মূলত ফেন্টানাইল ও আরও অবৈধ মাদকদ্রব্য ভর্তি করা ছিল।'
বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও জানান, 'সাবমেরিনে অতি পরিচিত চারজন মাদক সন্ত্রাসী ছিল। মার্কিন সেনাবাহিনীর হামলা দুই সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়েছে। এই সাবমেরিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলে ২৫ হাজার নাগরিকের মৃত্যু হতে পারত। হামলার পর জীবিত দুই মাদক সন্ত্রাসীকে তাদের দেশে কলোম্বিয়া ও ইকুয়েডরে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে। সে দেশেই তাদের আটক করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। এই হামলায় মার্কিন সেনাবাহিনীর কেউ আহত হয়নি। আমার নজর থাকাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থলপথে, জলপথে অবৈধ মাদকদ্রব্য পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।'
কলোম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো স্বীকার করেছেন, এ দেশের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'হামলার পরেই অভিযুক্ত জীবিত রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।'
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ছ'টি জাহাজে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কয়েকটি স্পিডবোট ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি ভেনেজুয়েলার হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমরা মাদক-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এরা সন্ত্রাসী, একথা পরিষ্কার থাকা উচিত।’ ট্রাম্প প্রশাসন এখন পর্যন্ত পাঁচটি হামলার কথা স্বীকার করেছে। যাতে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। এরা সকলেই মাদক সরবরাহকারী বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউসে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলা অঞ্চলের মাদক পাচার ঠেকাতে স্থলভাগেও অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
