আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপে রবিবার ভারত–পাক মহারণ। টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ যথেষ্ট শক্তিশালী। শুভমান গিল ফের টি২০ দলে ফেরায় ব্যাটিং আরও জমাট হয়েছে। সেই শুভমান এসেছিলেন অ্যাপল মিউজিকের পডকাস্টে। ক্রিকেট এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক।
 
 দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হয় শুভমানকে। শুভমনের ক্রিকেট শুরু শচীন তেন্ডুলকারকে আদর্শ করে। তবে তাঁর আদর্শ ক্রিকেটার দু’জন। সঞ্চালিকার প্রশ্নের উত্তরে শুভমান বলেছেন, ‘আমার দু’জন আদর্শ। প্রথম জন শচীন তেন্ডুলকার। বাবার প্রিয় ক্রিকেটার। শচীন স্যরকে দেখেই আমার ক্রিকেট শুরু। আরও এক জন আছেন। তিনি বিরাট কোহলি। ক্রিকেটের প্রতি কোহলির ভালবাসা এবং সাফল্যের খিদে আমাকে টানত।’ 
 
 বয়স যখন নয়, তখন প্রথম শচীনকে সামনা সামনি দেখেছিলেন গিল। গিল বলেছেন, ‘আইপিএলের একটা ম্যাচে বল বয় ছিলাম। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মোহালিতে খেলতে এসেছিল। সেই প্রথম সামনে থেকে দেখেছিলাম।’ 
 
 অধিনায়ক হিসাবে প্রথম সিরিজ নিয়ে বলেছেন, ‘খুব লড়াই হয়েছে। দু’দলই ভাল খেলেছে। পাঁচটা টেস্টেই পাঁচ দিন খেলা হয়েছে। শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত লড়াই হয়েছে।’ 
 
 অধিনায়ক হয়ে কী মনে হয়েছিল? শুভমান স্পষ্ট বলেছেন, ‘সিরিজের আগে যখন আমার নাম অধিনায়ক হিসাবে ঘোষণা করা হল, তখন অনেক কথা হচ্ছিল। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম বলছিলেন। এত কঠিন সিরিজের আগে দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও কথা হচ্ছিল। তবে দলের এক জন হিসাবে, এক জন ব্যাটার হিসাবে, এক জন ক্রিকেটার হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি বলেই মনে হয়।’ 
 
 সিরিজ শেষ হওয়ার পর শুভমানরা গিয়েছিলেন নৈশভোজে। শুভমান বলেছেন, ‘আমরা একটু আধটু আনন্দ করেছি। সকলে রাতে খেতে গিয়েছিলাম। আমার বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে ভাল লাগে। যখন যেখানে যাই, তখন সেখানকার খাবার খেয়ে দেখি। ইংল্যান্ডেও নানা ধরনের খাবার খেয়েছি। অনেকগুলোই বেশ লেগেছে। তবে কোনও ভারতীয় খাবার খাইনি। কারণ দেশে থাকলেই শুধুমাত্র দেশীয় খাবার খাই।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের অনেক জায়গাতেই যাওয়ার বা ঘোরার সুযোগ হয়েছে। সব জায়গার খাবার খেয়েছি। আমার তো বেশ লাগে। ভারতের খাবার একটু মশলাদার হয়। আমি খুব একটা মশলাদার খাবার খাই না। হালকা খাওয়ার চেষ্টা করি।’ 
 
 ইংল্যান্ডে শুভমানের প্রিয় জায়গা কার্ডিফ। ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘কার্ডিফ জায়গাটা বেশ সুন্দর। শান্ত, ঠান্ডা ঠান্ডা। একটা সবুজ শহর। দারুণ। ব্রাইটনও আমার ভাল লাগে।’ শুভমানকে প্রশ্ন করা হয়, ইংল্যান্ডের মাঠগুলির মধ্যে কোনটি তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। তিনি বলেছেন, ‘আমার সবচেয়ে প্রিয় বার্মিংহাম। টেস্টে আমার সর্বোচ্চ রান ওখানেই।’ 
 
 কী ধরনের গান শুনতে ভাল লাগে? শুভমানের কথায়, ‘প্রচুর গান শুনি। আগে শুধু পাঞ্জাবি গান শুনতাম। ভারতে পাঞ্জাবি গান খুব জনপ্রিয়। খেলার জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে শুরু করার পর অনেক ধরনের গান শুনেছি। কারণ সব জায়গায় তো পাঞ্জাবি গান শোনা সম্ভব নয়। ওই সব গানের কথা হয়তো বুঝি না। তবে সুর, ছন্দ এগুলো উপভোগ করি। যেমন ফরাসি গান শুনতে ভাল লাগে। কিন্তু আমি ফরাসি বুঝি না। ধ্রুপদী সঙ্গীত শুনতেও খুব ভাল লাগে আমার। একটা পছন্দের গানে প্রভাবিত হয়ে আমার প্রথম গাড়ি রেঞ্জ রোভার কিনেছি। আমার বাড়ি বা মামার বাড়িতে তেমন গানবাজনার চর্চা ছিল না কখনও। দুটোই কৃষক পরিবার। আমার বাবা, দাদুদের জীবন কেটেছে চাষবাস করে। বিয়ে বা কোনও অনুষ্ঠানে হয়তো গান বাজতো বাড়িতে। বা কোথাও ঘুরতে গেলে, হয়তো কখনও কখনও গান শুনতাম। এর বেশি কিছু না। তবে গানবাজনা আমাদের পাঞ্জাবের সংস্কৃতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
শুভমান এও জানিয়েছেন, রাত তিনটের সময় তিনি বাবার সঙ্গে ক্রিকেট মাঠে যেতেন।
