অনেক সময় আমরা ঘরে কিছু পরিবর্তন বা বিশেষ কিছু লক্ষণ লক্ষ্য করি, যা সাধারণ মনে হলেও আসলে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, এই ধরনের শুভ সংকেত পরিবারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রবেশের ইঙ্গিত বহন করে। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মত, যদি ঘরে সাতটি চিহ্নের উপস্থিতি থাকে, তবে বুঝতে হবে সৌভাগ্য আপনার দরজায় এসে কড়া নাড়ছে।

১. তুলসী গাছ: সৌভাগ্যের প্রতীক- হিন্দু ঘরে তুলসী গাছকে সবসময়ে পবিত্র বলে মনে করা হয়। বাস্তু মতে, ঘরের আঙিনা বা বারান্দায় তুলসী গাছ থাকলে ইতিবাচক শক্তি বাড়িতে থাকে। এটি স্বাস্থ্য রক্ষার সঙ্গে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথও খুলে দেয়।

২. পাখির কিচিরমিচির: আনন্দের বার্তা- প্রতিদিন সকালে জানালা বা বারান্দায় পাখির কণ্ঠ ভেসে আসা অত্যন্ত শুভ লক্ষণ। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, এটি শান্তি, আনন্দ ও সৌভাগ্যের আগমন ঘটায়।

আরও পড়ুনঃ বাথরুমেই পাওয়া যায় গৃহস্থের রুচির পরিচয়, বাড়ির শৌচাগার সাজাতে ব্যবহার করুন ৫ আধুনিক সরঞ্জাম

৩. প্রবাহমান জল: ধন-প্রবাহের প্রতীক- বাড়িতে ছোট্ট ফোয়ারা, অ্যাকুরিয়াম বা প্রবাহমান জলের ব্যবস্থা থাকলে আর্থিক উন্নতি ঘটে বলে মনে করা হয়। চলমান জল জীবনে স্থায়ী সমৃদ্ধি ও ইতিবাচক শক্তির প্রতীক।

৪. প্রধান ফটকের পরিচ্ছন্নতা ও শুভ চিহ্ন- বাড়ির মূল দরজা সবসময় পরিষ্কার রাখা উচিত। দরজায় ‘স্বস্তিক’ বা ‘শুভ-লাভ’ লেখা, রঙ্গোলি বা আলপনা আঁকা—এসবকে অত্যন্ত শুভ বলা হয়। এটি সৌভাগ্যের প্রবেশ পথ খুলে দেয়।

৫. পূজার স্থান থেকে শান্তি-বাড়িতে মন্দির বা পূজার আসন থেকে যদি ঘন্টাধ্বনি, ধূপ-দীপের সুবাস ও শান্তি পাওয়া যায়, তবে বুঝতে হবে ইতিবাচক শক্তি সক্রিয় রয়েছে। এটি পরিবারের কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

৬. সবুজ গাছপালা: জীবন ও প্রাণশক্তির প্রতীক- ঘরে যদি সতেজ সবুজ গাছ থাকে এবং তারা সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে, তবে তা স্বাস্থ্য ও আনন্দের প্রতীক। শুকনো বা মলিন গাছকে অশুভ মনে করা হয়, তাই এগুলো রাখা উচিত নয়।

৭. পরিবারের হাসি-আনন্দঃ সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল, পরিবারে যদি ভালবাসা, সম্মান, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও হাসি-আনন্দ থাকে, তবে সেটিই সর্বশ্রেষ্ঠ সৌভাগ্যের চিহ্ন। যেখানে শান্তি ও সমন্বয় আছে, সেখানেই সমৃদ্ধি স্থায়ীভাবে বাস করে।

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব চিহ্ন যদি আপনার ঘরে থাকে, তবে বুঝতে হবে ইতিমধ্যেই সুখ ও সমৃদ্ধির প্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে এগুলো প্রাচীন বিশ্বাস ও প্রথার অংশ, তাই একে ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক নির্দেশনা ভেবে নেওয়া উচিত নয়।