আজকাল ওয়েবডেস্ক: আধুনিক যুগে দৈনন্দিন কাজের মাঝে সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখা যেন গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজের সমান। কাজ ও ব্যক্তিগত সম্পর্ককে সমান গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খান। যথাযথ যত্ন ও পরিচর্যার অভাবে সম্পর্ক বেশিদিন টেকেও না। সম্পর্কের হাত ধরে অনেকেই আবার একাকিত্ব দূর করতে চান। কিন্তু বিশ্বাস ও ভরসার অভাবে সেই সম্পর্কের জন্য কখনও কখনও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জীবন। 

 

তবে সম্পর্ককে ইদানিং গুরুত্ব দিচ্ছেন না একাংশের তরুণ, তরুণীরা। বিশেষত সিচুয়েশনসিপকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তাঁরা। কোনও কোনও দেশে আবার প্রেমিক, প্রেমিকা ভাড়াও পাওয়া যায়। যেমন, জাপান। সম্প্রতি সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক তরুণী সারাহ। 

 

সারাহ জানিয়েছেন, তিনি টোকিওতে একাই থাকেন। একাকিত্ব দূর করতে একটু ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চেয়েছিলেন তিনি। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সিঙ্গেল। কোনও সম্পর্কে জড়াননি। টোকিওতে থাকাকালীন একটি ওয়েবসাইট তাঁর নজরে পড়ে। যেখানে প্রেমিক ভাড়া পাওয়া যায়। সেখানেই ২ ঘণ্টার জন্য এক প্রেমিক ভাড়া করেন তিনি। 

 

সারাহ জানিয়েছেন, ২৬ বছর বয়সি তরুণের নাম, নুরামি। ২ ঘণ্টার জন্য তাঁকে প্রেমিক হিসেবে ভাড়া করেছিলেন। ২ ঘণ্টায় তাঁর খরচ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। রোমান্টিক ডেটে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন সারাহ। লাঞ্চ, থেকে আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, শপিং, গল্পে মেতেছিলেন নুরামির সঙ্গে। 

 

আরও পড়ুন: টানা সাত দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি! কোন কোন জেলায় চরম দুর্যোগের সতর্কতা জারি? জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস

 

নুরামি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে জানুয়ারি মাস থেকে তিনি এই পেশায় জড়িত। মাসে ১০ বার প্রেমিক হিসেবে নানা মহিলার সঙ্গে সময় কাটান। বিশেষত কলেজ ছাত্রী ও বিবাহিত মহিলারাই প্রেমিক হিসেবে ভাড়া নেন। তবে এই পেশার কথা পরিবার, বন্ধুবান্ধবকে তিনি জানাননি। প্রেমিক হিসেবে ভাড়া খাটলেও, একবার তিনি প্রেমেও পড়ে গিয়েছিলেন।

 

প্রসঙ্গত, জাপানের টোকিওতে যেমন প্রেমিক, প্রেমিকা ভাড়া পাওয়া যায়, থাইল্যান্ডের পাটায়ায় তেমন স্ত্রী ভাড়া পাওয়া যায়। থাইল্যান্ডের কোথায় এই রীতি চালু রয়েছে? জানা গেছে, থাইল্যান্ডের পাটায়ায় এই রীতি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। যা স্থানীয়রা 'ব্ল্যাক পার্ল' বলেন। কী এই রীতি? অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময় স্ত্রীর মতো থাকবেন একজন তরুণী। স্ত্রীরা সাধারণত যেমন দায়িত্ব পালন করেন, সেই সব কিছুই পুরুষ পর্যটকদের সঙ্গে করবেন এই সময়ে। যেমন, তাঁদের জন্য রান্না করা, ঘুরতে যাওয়া, একান্তে সময় কাটানো, যৌনতায় লিপ্ত হওয়া। এটি আদতেই একটি চুক্তির মতো। নির্দিষ্ট সময়ে অর্থের বিনিময়ে দায়িত্ব পালন করা। এটি আইনি বিয়ের পর্যায়ে পড়ে না। এই রীতিতে পাটায়া বহু তরুণী আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে যা ব্যবসার পর্যায়ে পৌঁছে যায়‌। বর্তমানে তা অত্যন্ত জনপ্রিয়। 

 

লেখক লেভার্ট এ ইমানুয়েলের লেখা 'থাই ট্যাবু- দ্য রাইজ অফ ওয়াইফ রেন্টাল ইন মর্ডান সোসাইটি' বিয়ে পাটায়ার স্থানীয় তরুণীদের এই জীবিকার বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। লেখক জানিয়েছেন, এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে শুধুমাত্র দুবেলা খাবার জোগাড়ের জন্য, পরিবারের পাশে থাকার এই জীবিকা বেছে নিয়েছেন। পানশালা, নাইটক্লাবে সাধারণত কাজ করেন। সেখানেই বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে দেখা করে এমন চুক্তি করেন। 

 

কত টাকা পান? জানা গেছে, স্ত্রীর মতো কয়েক ঘণ্টা থাকার জন্য যে টাকা পাবেন, তার জন্য কিছু বিশেষ গুণের প্রয়োজন। তরুণীর বয়স কত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বাহ্যিক সৌন্দর্য নির্ভর করে। কেউ কেউ কিছুদিনের জন্য চুক্তি করেন, কেউ আবার কয়েক মাসের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এর জন্য কত টাকা উপার্জন করেন তরুণীরা। জানা গেছে, এই ধরনের চুক্তির জন্য ভারতীয় মুদ্রায় ১.৩ লক্ষ টাকা থেকে ৯৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন তাঁরা।