আধুনিক জীবনযাত্রায় কম বয়সিরাও হার্টবার্ন বা বুকজ্বালায় ভোগেন। যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান বেশিরভাগ মানুষ। খুব বেশি হলে একটা অ্যান্টাসিডে সমাধান খুঁজতে চান। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, যদি এই সমস্যা বারবার হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তা কেবল অ্যাসিড রিফ্লাক্স নয়, খাদ্যনালীর অর্থাৎ ইসোফ্যাগাস ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে অ্যাসিড ইসোফ্যাগাসের প্রাচীরে চাপ সৃষ্টি করলে কোষে পরিবর্তন ঘটে। এই অবস্থা ধীরে ধীরে ইসোফ্যাজিয়াল অ্যাডেনোকার্সিনোমা, অর্থাৎ খাদ্যনালী ক্যানসারের রূপ নিতে পারে।সপ্তাহে দু’বার বা তার বেশি হার্টবার্ন হলে তা উপেক্ষা না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে
• মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি ঝুঁকি থাকে।
• বয়স ৫০-এর বেশি হলে সমস্যার আশঙ্কা থাকে।
• বাড়তি ওজন চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে।
• ধূমপায়ী ও কোনও রকম নেশায় আসক্ত হলে সাবধান।
• পরিবারে খাদ্যনালীতে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে সচেতন হওয়া জরুরি।

জিইআরডি ও হার্টবার্নের যোগসূত্র
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি)-এর অন্যতম প্রধান উপসর্গ হল বুকজ্বালা। কিন্তু সব হার্টবার্ন বা বুকজ্বালা জিইআরডি নয়। তবে দীর্ঘস্থায়ী হলে জিইআরডি থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। জিইআরডি থাকলে রোগীদের নিয়মিত এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে পরীক্ষা করানো উচিত। যদি আপনার ঘন ঘন বুকজ্বালা করে এবং সপ্তাহে দু’বারের সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুনঃ রোগা হতে ডায়েট, ক্যালোরি কাউন্ট সব ভুলে যান! এই জাপানি কৌশল মেনে চললেই অল্প দিনে মিলবে সেরা ফল
হার্টবার্ন অনেকের কাছেই সাধারণ সমস্যা মনে হলেও, এটি শরীরের ভেতরে বড় বিপদের ইঙ্গিত দিতে পারে। তাই ঘন ঘন বুকজ্বালা বা পেটে অ্যাসিডের সমস্যা হলে হালকাভাবে না নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে খাদ্যনালীর ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘস্থায়ী হার্টবার্ন অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা উচিত।ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, হালকা ব্যায়াম ও সঠিক ডায়েট মেনে চলা জরুরি।
