আজকাল ওয়েবডেস্ক: সামনে এল সাইবার অপরাধের এক নতুন কৌশল। ১০০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে 'ডিজিটাল গ্রেফতারি'র নামে ভয় দেখিয়ে তাঁর ছেলের কাছ থেকে ১.২৯ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে একদল সাইবার অপরাধী। ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে লখনউ-য়ে। 

শতায়ু হরদেব সিং অবসরপ্রাপ্ত মার্চেন্ট নেভি অফিসার। তাঁকেই অজানা নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল। তিনি যখন ফোনটি ধরেন, তখন সাইবার জালিয়াতিরা, নিজেদের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দেয়। এরপর বৃদ্ধকে তারা বলে, অর্থ পাচারের মামলায় জড়িত তিনি। এরপর প্রতারকরা হরদেব সিংকে ডিজিটালভাবে গ্রেপ্তার করে এবং তাঁর কাছে ব্যাঙ্কের বিবরণ জানতে চায়। 

এই সময় প্রয়া ছয় দিন বৃদ্ধকে ফোন এবং ভিডিও কলে আটকে রেখে বাইরের জগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি কাউকে কিছু জানাতে পারেনি।

এর কয়েক ঘন্টা পরে, পর হরদেব সিংয়ের ছেলে, সুরিন্দর পাল সিং বাড়ি এলে তাঁকেও হুমকি দেয় জালিয়াতরা। জানানো হয় যে, যদি তিনি টাকা না দেন, তাহলে তাঁর বাবাকে জেলে পাঠানো হবে। 

আরও পড়ুন-  'তুমি কালো, আমরা অন্য বউমা আনব', শ্বশুরবাড়ির লাগাতার অত্যাচারেই কোলের সন্তানকে ফেলে চরম পদক্ষেপ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী যুবতীর!

তারপর ছেলে প্রতারকরা বৃদ্ধের ছেলেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলে। ওই টাকা ফের ফেরৎ পাঠানোর আশ্বাসও দিয়েছিল সাইবার জালিয়াতরা। ভয়ে হরদেহ সিংয়ের ছেলে সাইবার প্রতারকদের মোট ১.২৯ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেয়। এরপর আর টাকা ফেরৎ আসেনি।

ভয়ে কাটলে সুরিন্দর পাল সিং জাতীয় সাইবার-হেল্পলাইন: ১৯৩০-এ অভিযোগ দায়ের করেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে লখনউয়ের সরোজিনী নগর থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের দেওয়া মোবাইল নম্বরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।

সম্প্রতি সাইবার জালিয়াতির একটি মামলায় সাফল্য পেয়েছে বাংলার পুলিশ। শোয়েরে টাকা খাটালেই মিলবে বিরাট মুনাফা। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সজল পান্ডে সেই টাকার লোভে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন টাকা খাটাতে। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি যে পা দিচ্ছেন ফাঁদে। ধীরে ধীরে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৫৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা তিনি দিয়ে দেন প্রতারকদের। পরে বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেন। অবশেষে, তদন্ত করে চন্দননগর সাইবার ক্রাইম থানার সেই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে।

জানা গিয়েছে, গত ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি সজল পান্ডে নামে ওই ব্যক্তি চন্দননগর সাইবার ক্রাইম থানায় মামলা করেন। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ফেসবুকে শেয়ার ট্রেডিং সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখে সজল পান্ডে প্রলোভিত হন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তাঁকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়, যেখানে বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে।