আজকাল ওয়েবডেস্ক: এর আগেও সংসদে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ঘটেছে। অতি সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে, তাঁর উপর হামলা চালায় একজন। ঠিক তার পরেই ফের বড় প্রশ্নচিহ্ন দিল্লির নিরাপত্তা নিয়ে। অনুপ্রবেশকারীর এবার লক্ষ্য সংসদ। শুক্রবার সকালে সংসদে ঢুকে পড়েন এক যুবক, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর তেমনটাই। 

 

প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, শুক্রবার, ২২ আগস্ট, সকাল ছ' টার দিকে সংসদে এক যুবক ঢুকে পড়ে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গাছ বেয়ে, পাঁচিল টপকে নতুন সংসদ ভবনের গরুড় দরজা পর্যন্ত পৌঁছে যান ওই যুবক। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সেখানেই ধরে ফেলেন। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 22, 2025

প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম রমা। বয়স বছর ২০। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার ফের দিল্লির নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে সাধারণের মনে। 

বুধবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী রেখার বাড়িতেই চলছিল জনশুনানি। সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগ শোনার জন্য সপ্তাহে একদিন এই জনশুনানি চলে তাঁর বাড়িতে।  তখনই তাঁর চুল টেনে, কষিয়ে থাপ্পড় মারে এক যুবক। ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয় হামলাকারীকেও। 

মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর হামলাকারীর কী উদ্দেশ্য ছিল? ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলাকারীর নাম, রাজেশ সাকারিয়া। ৪১ বছর বয়সি যুবক আদতে গুজরাটের রাজকোটের বাসিন্দা। দিল্লি পুলিশকে হামলাকারীর মা জানিয়েছেন, রাজেশ কুকুর ভালবাসে খুব। সম্প্রতি পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাজেশ সকালবেলায় মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার বাড়িতে হাজির হয়েছিল। সকাল ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। রাজেশের কোনও এক আত্মীয় বর্তমানে জেলবন্দি। সেই আত্মীয়কে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাকুতিমিনতি করছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাজে আর্জি জানানোর সময় হঠাৎ সে চিৎকার করে ওঠে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার চুল টেনে থাপ্পড় মারে। অনেকেই আবার জানিয়েছিলেন, রাজেশ মত্ত অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিল।

 

হামলার পর রেখা গুপ্ত জানান, 'আজ সকালে জন শুনানির সময় আমার উপর যে আক্রমণ করা হয়েছে তা কেবল আমার উপরই নয়, দিল্লির সেবা এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আমাদের সংকল্পের উপরও কাপুরুষোচিত প্রচেষ্টা। স্বাভাবিকভাবেই, এই হামলার পর আমি হতবাক হয়েছিলাম। তবে এখন আমি ভাল আছি। আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধ করছি, দয়া করে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য উতলা হবে না। খুব শীঘ্রই আমাকে আপনাদের মাঝে কাজ করতে দেখবেন। এই ধরণের আক্রমণ কখনওই আমার মনোবল এবং জনগণের সেবা করার সংকল্পকে ভেঙে দিতে পারবে না। এখন আমি আগের চেয়েও বেশি শক্তি এবং নিষ্ঠা নিয়ে আপনাদের মাঝে থাকব। জন শুনাই এবং জনসাধারণের সমস্যার সমাধান আগের মতোই গুরুত্ব এবং প্রতিশ্রুতির সঙ্গে অব্যাহত থাকবে। আপনাদের আস্থা এবং সমর্থন আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আপনাদের অপরিসীম ভালবাসা, আশীর্বাদ এবং শুভকামনার জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।' তাঁর বাড়িতে হামলায় বড় প্রশ্ন উঠেছিল দিল্লির নিরাপত্তা নিয়ে। ফের প্রশ্ন উঠল সংসদে যুবকের প্রবেশে।