আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভালবাসার টানে ভিন রাজ্যে পাড়ি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়া বান্ধবীর সঙ্গে খানিকটা সময় একান্তে কাটাতে চেয়েছিলেন যুবক। কিন্তু হিতে বিপরীত হল। ভিন রাজ্যে বান্ধবীর বাড়ি পৌঁছেই চরম নির্যাতনের শিকার হলেন তিনি। ওই বান্ধবীর পরিবারের সদস্যরা কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক মারধর করলেন যুবককে। 

 

বান্ধবীর বাড়ির উঠোনেই অত্যাচার শিকার হয় ওই যুবক। তাঁকে একটি খুঁটিতে বেঁধে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক মারতে থাকে পরিবার। যে ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশের মৌগঞ্জে। সেখানকারই পিপরাহি গ্রামে শনিবার নির্যাতনের শিকার হন যুবক। আদতে রেওয়া জেলার বাসিন্দা তিনি। ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পিপরাহি গ্রামে এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। 

 

আরও পড়ুন: এই তো জীবন... প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ির সামনেই 'সুইমিং পুল', হাঁটু ডোবা জলে বসেই দেদার মদ্যপান! হেসে লুটোপুটি নেটিজেনরা

 

জানা গেছে, রেওয়া থেকে মৌগঞ্জের ওই গ্রামের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। সেখানে পৌঁছতেই যুবককে হাতেনাতে ধরে তাঁর বান্ধবীর পরিবার। এরপর বেধড়ক মারধর শুরু করে। শনিবার রাত ৯টা থেকে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত যুবককে ব্যাপক মারধর করেন তাঁরা। টানা ১৩ ঘণ্টা ধরে এই খুঁটিতে যুবককে বেঁধে উত্তম মধ্যম পেটায় তারা। 

 

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, যুবকের থেকে তাঁর বান্ধবী বয়সে অনেক ছোট। আদতে সে এখন নাবালিকা। ওই নাবালিকার সঙ্গে যুবকের ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শেষমেশ নাবালিকার প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করেন যুবক। বান্ধবীকে সামনাসামনি দেখতেই ওই গ্রামে পৌঁছেছিলেন। ঘটনাটি ঘিরে শোরগোল পড়লেও, থানায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে পুলিশ বিষয়টি আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে দেখা শুরু করবে বলে জানিয়েছে। 

 

প্রসঙ্গত, দুই সপ্তাহ আগেই মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় ২০ বছরের এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, হবু বরের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে বেরিয়ে এই নারকীয় ঘটনার শিকার হন ওই তরুণী। অভিযোগ, চার যুবক তাঁদের ঘিরে ধরে তরুণীর হবু বরের উপর চড়াও হয়। তাঁকে মারধর করে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে। এরপর গণধর্ষণ করা হয় ওই তরুণীকে। 

 

আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশি সন্দেহে মারধর! আক্রান্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পড়ুয়া, ভর্তি হাসপাতালে

 

ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জনের মধ্যে তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তের খোঁজে পাঁচটি পুলিশ টিম গঠন করে তল্লাশি চলছে। তিনি আরও বলেন, ওই তরুণী চুরহাট থানা এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষণের পর সেখান থেকে কোনও মতে পালিয়ে এসে ওই তরুণী তাঁর হবু বরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তাঁকে সঙ্গে নিয়েই সেমারিয়া থানায় পৌঁছন। পুলিশ তাঁদের কথা শুনে একটি মামলা দায়ের করে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। চিকিৎসার জন্য সেমারিয়া কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে পাঠানো হয় তাঁদের। এর দিন কয়েকের মধ্যেই আরও একটি নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশ।