আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে যমুনা নদীর জলস্তর আবারও বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বুধবার সকালে। এর একদিন আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা জানিয়েছিলেন, শহরে কোনও বন্যার মতো পরিস্থিতি নেই এবং কয়েকদিনের মধ্যেই জলস্তর নেমে যাবে।

সোমবার প্রথমবারের মতো এই বর্ষা মরসুমে হরিয়ানার হাথিনিকুণ্ড ব্যারেজের সবকটি, অর্থাৎ আঠারোটি গেট খুলে দেওয়া হয়। এর ফলেই যমুনার জলস্তর বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার ছাড়িয়ে যায়। দিল্লির ক্ষেত্রে সতর্কতার সীমা ধরা হয়েছে ২০৪.৫০ মিটার এবং বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার। সাধারণত মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় ২০৬ মিটার অতিক্রম করলে।

দিল্লির ওখলা ব্যারেজ থেকে যমুনায় জল ছাড়ার কারণে হরিয়ানার ফরিদাবাদেও নদীর জলস্তর বেড়েছে। কাজেই নিচু এলাকাগুলোতে জল জমে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা যমুনা বাজার সংলগ্ন নিচু এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। সেখানে ঘরে ঘরে জল ঢুকে পড়েছে। তিনি জলমগ্ন রাস্তায় হেঁটে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন ও পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেন।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে,মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা বলেন, 'আমরা বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছি যেন তাঁরা স্কুলে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। তাই আমরা সৌরচালিত ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থা করেছি, যাতে রাতে কোনও সমস্যা না হয়।'

আরও পড়ুনঃ গাড়ি কেনার সামর্থ্য নেই, তাই অটো চালিয়ে স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে সফুরা! সত্য কাহিনি আপনাকে অনুপ্রেরণা জাগাবে ...

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় দিল্লির পুরনো রেলওয়ে ব্রিজে যমুনার জলস্তর ২০৫.৭৯ মিটারে পৌঁছায়, যা ২০৬ মিটার 'উচ্ছেদ' স্তরের একেবারে কাছাকাছি।

পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লেখেন, 'আজ দিল্লির যমুনা বাজার এলাকায় গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছি এবং এলাকায় এলাকায় ঘুরে স্থানীয় মানুষের সমস্যা শুনেছি।'

আরও পড়ুনঃ অতিবৃষ্টিতে ডুবছে মুম্বই, বাণিজ্য নগরীতে জারি কমলা সতর্কতা

তিনি আরও জানান, 'সকালে সম্ভাবনা ছিল যে যমুনার জলস্তর ২০৬ মিটার ছুঁতে পারে, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। এই এলাকা যমুনার প্লাবনভূমির নিচু অংশ হওয়ায় জল ঢুকেছে, তবে তা আর এগোয়নি। দিল্লিতে কোনও বন্যার পরিস্থিতি নেই। এটিই সর্বোচ্চ জলস্তর ছিল এবং এখন জল নামতে শুরু করেছে।'

তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে এবং ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মাদকের নেশা খুঁজতে গিয়ে 'শরীরের নেশায়' বুঁদ পুলিশ! বিস্ফোরক ঘটনায় হইচই বেঙ্গালুরুতে...