আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পর বর্তমানে ছুটিতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সেপ্টেম্বর থেকে শুরু এশিয়া কাপ। ১৯ আগস্ট আসন্ন টুর্নামেন্টের জন্য মুম্বইয়ে দল বাছা হবে। বৈঠকে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বই উড়ে যাবেন সূর্যকুমার যাদব। স্পোর্টস হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারের পর বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে রিহ্যাব সারছেন ভারতের টি-২০ অধিনায়ক। নেটে ব্যাট করা শুরু করে দিয়েছেন। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, এশিয়া কাপের অধিনায়ক থাকবেন সূর্য। বোর্ডের এক সূত্র বলেন, '১৯ আগস্ট মুম্বইয়ে এশিয়া কাপের দল নির্বাচন হবে। নির্বাচক কমিটির বৈঠকের পর মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকর সাংবাদিক সম্মেলন করবেন।' 

বেশ কয়েকটি রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, সহ অধিনায়ক করা হবে শুভমন গিলকে। তবে আরেক সূত্রের খবর অনুযায়ী, টি-২০ দলে সুযোগ নাও পেতে পারেন গিল। শ্রেয়স আইয়ার এবং যশস্বী জয়েস‌ওয়ালকেও এশিয়া কাপে না পাওয়া যেতে পারে। তরুণ ওপেনারকে টেস্টে মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে। বোর্ডের এক সূত্র বলেন, 'অভিষেক শর্মা এবং সঞ্জু স্যামসনকেই ওপেনিংয়ে রাখা হবে। গিল দলে জায়গা পাবে কিনা সন্দেহ। এমনকী যশস্বী জয়েসওয়াল এবং শ্রেয়স আইয়ারেরও সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। যশস্বীকে লাল বলের ক্রিকেটে ফোকাস করতে বলা হয়েছে।' 

টি-২০ ক্রিকেটে ১১০৭ রান সূর্যকুমারের। গড় ৩৬.৯০। স্ট্রাইক রেট ১৬১.১৩। তারমধ্যে রয়েছে আটটি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ রান ৭৫। তবে আন্তর্জাতিক পারফরম্যান্স গ্রাফ পড়তির দিকে। সেখানে দারুণ ছন্দে রয়েছেন শুভমন গিল। গত বছরের টি-২০ বিশ্বকাপের পর থেকে ২২ ম্যাচে ৮৯৩ রান করেন। গড় ৪৭। স্ট্রাইক রেট ১৪৭। তারমধ্যে রয়েছে আটটি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ রান ৯৩। অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, তিলক বর্মার উপস্থিতিতে টপ অর্ডারে গিলকে ফিট করানো কঠিন। গিলের মতো জয়েসওয়ালও শেষ টি-২০ ২০২৪ সালের জুলাইয়ে খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে যথাক্রমে ৩৯১ এবং ৪১১ রান করেন। 

প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনার মুখে বিসিসিআই। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি। পরের রাউন্ডে গেলে আবার সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। পহেলগাঁও জঙ্গিহানার পর দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হওয়া এড়ানো যেত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। কিন্তু লিজেন্ডসদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। একাধিক ভারতীয় প্লেয়ার ম্যাচ খেলতে বেঁকে বসে। যার ফলে ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। সেমিফাইনালেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে চায়নি ভারত। ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্সরা না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও খেলতে চায়নি ভারতীয় কিংবদন্তিরা। পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করেন যুবরাজ সিং, শিখর ধাওয়ান, ইউসুফ পাঠান, ইরফান পাঠান, পীযূষ চাওলারা।‌ একই পরিণতি সেমিফাইনালের। মাঠে নামেনি ভারতীয় দল। ফলে ফাইনালে চলে যায় পাকিস্তান। এশিয়া কাপে অবশ্য তেমন সম্ভাবনা নেই। যাই হোক না কেন, সেটা আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে যাবে।