আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভোটার তালিকায় সংশোধন নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই সেখানে শুরু হয়ে গিয়েছে এই প্রক্রিয়া। কিন্তু ইদানিং সেই প্রক্রিয়ায় এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা মুখ পুড়েছে নির্বাচন কমিশনেরই। বৃহস্পতিবার বিহারের ভুজপুর জেলার এক বাসিন্দা সোজা হাজির হন রাজ্যের প্রধান নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে। জানা যায়, কমিশনের ভোটার তালিকায় তাঁকে নাকি মৃত বলে দেখানো হয়েছে। সিইও-র কাছে উপস্থিত হয়ে ওই ব্যক্তি দাবি করেন যে তিনি এখনও জীবিত। জানা গিয়েছে, মিন্টু পাসওয়ান নামে ওই ব্যক্তি চলতি সপ্তাহের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে এদিন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের একটি প্রতিনিধিদল সিইও দপ্তরে নিয়ে গিয়েছিল।
মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি জানি না কর্মকর্তারা আমাকে একপ্রকার ভূত মনে করেছেন কি না। তবে সত্যটি হল, আমি অত্যন্ত বিব্রত হয়েছি জানতে পেরে যে আমাকে সংশোধিত ভোটার তালিকায় মৃত ঘোষিত করা হয়েছে’। তিনি অভিযোগ করেন যে, কোনও বুথ-লেভেলের অফিসার (BLO) তার বাড়িতেই আসেননি। সিপিআই(এমএল)-এর লিপিবদ্ধ সম্পাদক কুণাল বলেন, ‘এই ধরনের অমিলই আমাদের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের সুপ্রিম কোর্টে এই সংশোধনের বিরোধিতা করার কারণ। মিন্টুকে ফর্ম সিক্স পূরণ করতে বলা হয়েছে। সাধারণত, নতুন ভোটারদের নাম তালিকায় তোলার জন্য নিবন্ধনের জন্য এই ফর্ম ব্যবহার হয়। যদিও তিনি আগেও ভোট দিয়েছেন’।
কুণাল আরও জানান, সিইও মিন্টুকে বলেছেন যে ফর্মটি সংশ্লিষ্ট বুথ স্তরের অফিসারকে হস্তান্তর করতে হবে। যিনি ইতিমধ্যেই একটি মারাত্মক ভুল করে বসে আছেন। তিনি বলেন, ‘বুথ অফিসার তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন এবং সিইওকে বলেছেন যে মিন্টুর নাম অন্য কারোর পরিবর্তে সরিয়ে ফেলা হয়েছে’। কুণাল জানান, যদি বুথ স্তরের অফিসার সত্যিই বলে থাকন। তাহলে তো মৃত ব্যক্তির নাম খসড়া ভোটার তালিকায় থাকা উচিত। তিনি অভিযোগ করেন, কমিশনের এই ভুলের কারণে মিন্টুকে বারবার দৌড়ঝাপ করতে হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমরা মোট ২১ জন মানুষকে শনাক্ত করেছি, যাদের ভুল করে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে এবং তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনকে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত করা হয়েছে’। তিনি আরও জানান, সুপ্রিম কোর্ট শুধুমাত্র দুটি ক্ষেত্রে এই ভুল স্বীকার করেছে। একটি হল মিন্টুর এবং অন্যটি রাঘপুরের একজন মহিলার। উল্লেখ্য, রাঘপুর বিধানসভা আসন বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদবের। কুণাল বলেন, ‘আমরা জানি না সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে। নির্বাচন কমিশন দুঃসাহসিকভাবে দাবি করছে যে রাজনৈতিক দলগুলো কোনও দাবি বা আপত্তি তুলছে না। আমরা যতটা সম্ভব মানুষের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে সাহায্য করতে থাকব’।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগে বড় ঘোষণা মেট্রোর, ১৫ আগস্ট তিন লাইনের পরিষেবাতেই থাকছে বদল, জেনে নিন সূচি
