আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপের আগে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা বিসিসিআইয়ের।‌ একাধিক অধিনায়ক তত্ত্বে ইতি টানা হতে পারে। বর্তমানে ভারতের তিনজন অধিনায়ক। তিন ফরম্যাটে তিন নেতা। টেস্টে শুভমন গিল, একদিনের ক্রিকেটে রোহিত শর্মা এবং টি-২০ তে সূর্যকুমার যাদব। শোনা যাচ্ছে, একাধিক অধিনায়কের রীতিতে ইতি টানতে চাইছে বিসিসিআই। ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার ইচ্ছে ছিল রোহিতের। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, তাঁর আগেই হিটম্যানকে সরিয়ে দেওয়া হবে। ভারতীয় ক্রিকেটে এটা নতুন পরিস্থিতি। সাধারণত একজন অধিনায়কই তিন ফরম্যাটের দায়িত্বে থাকে। বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক শুভমন গিল ২০২৪ বিশ্বকাপজয়ী দলের অঙ্গ ছিলেন না। তবে বর্তমানে যে ফর্মে রয়েছেন, অনায়াসেই তাঁকে টি-২০ দলে রাখা যেতে পারে। শোনা যাচ্ছে, সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে গিলকে সহ অধিনায়ক করা হতে পারে।

বোর্ডের প্রাক্তন নির্বাচক দেবাং গান্ধী মনে করেন, একাধিক অধিনায়কের তত্ত্ব ভারতীয় ক্রিকেটে খাটে না। তাই এক অধিনায়কের পথেই হাঁটতে পারে বোর্ড। দেবাং গান্ধী বলেন, 'দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় ভারতে স্প্লিট ক্যাপ্টেন্সি কাজ দেয় না। ২০১৭ সালে বিরাটের যেমন একটা আলাদা আভা ছিল, বর্তমানে গিলেরও তাই আছে। বিরাট ধোনির অধীনে তৈরি হয়েছে। গিলও এখন ফর্মের শিখরে। প্রথম সিরিজে নেতৃত্ব পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করেছে। গিলকে টেস্ট অধিনায়ক নির্বাচিত করে খুব ভাল কাজ করেছেন অজিত আগরকর। তাই টি-২০ তে তাঁকে অধিনায়ক না করার কোনও কারণ নেই। সূর্যর পরে কে দায়িত্ব নেবে সেটা জানতে হবে। অন্যান্য দেশের মতো ভারতে একাধিক অধিনায়ক চলে না। কারণ চিন্তা-ভাবনায় একটা স্থায়িত্ব দরকার। যখন দলে একজন দুর্ধর্ষ অল ফরম্যাট প্লেয়ার আছে, তাঁকে বাকি ফরম্যাটে দায়িত্ব না দেওয়ার কোনও কারণ নেই। ব্যাটার‌‌ হিসেবে গিল খুবই ভাল। আইপিএলে নেতৃত্বও দিয়েছে।' 

প্রসঙ্গত, আইসিসির মাসের সেরা প্লেয়ার মনোনীত হন শুভমন গিল। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফিতে রেকর্ড ব্রেকিং পারফরম্যান্সের পুরস্কার পান ভারতের তরুণ অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ইউয়ান মুলডারকে হারিয়ে এই পুরস্কার জেতেন লাল বলের ক্রিকেটে রোহিত শর্মার উত্তরসূরি। জুলাই মাসে অসামান্য ফর্মে ছিলেন গিল। তিন টেস্টে ৫৬৭ রান করেন। গড় ৯৪.৫০। তারমধ্যে রয়েছে একটি দ্বিশতরান এবং দুটো শতরান। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই বাজিমাত। আইসিসির মাসের সেরা প্লেয়ার হয়ে অভিভূত তরুণ অধিনায়ক। 

এই নিয়ে চতুর্থবার মাসের সেরা প্লেয়ারের পুরস্কার পান গিল। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পান। তার আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি এবং সেপ্টেম্বরে মাসের সেরা প্লেয়ার মনোনীত হন। প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে চারবার এই স্বীকৃতি পেলেন গিল। এর আগে মহিলা ক্রিকেটার অ্যাশ গার্ডেনার এবং হেইলি ম্যাথিউজ এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। এজবাস্টনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন গিল। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ করেন। ৩৩৬ রানে বিশাল জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। এক টেস্টে ৪৩০ রান করেন। যা টেস্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৪৫৬ রান করে তাঁর আগে আছেন গ্রাহাম গুচ।