আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্যানসারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে বলছে নীরব মহামারী। ক্যানসার নিয়ে এমন আতঙ্কের অন্যতম কারণ এই রোগ হঠাৎ করে আঘাত হানে। প্রাথমিক লক্ষণ অনেকেই বুঝতে পারেন না। এমনই একধরনের ক্যানসার ত্বকের ক্যানসার। অন্যান্য ধরনের ক্যানসার সম্পর্কে কিছুটা সচেতনতা থাকলেও ত্বকের ক্যানসার নিয়ে অনেকেই বিশেষ কিছু জানেন না। ত্বকের ক্যানসার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। লক্ষণগুলিও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
মেলানোমা: এটি ত্বকের ক্যানসারের সবচেয়ে মারাত্মক রূপ। ত্বকের অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় এর প্রাণঘাতী প্রবণতা বেশি।
লক্ষণ-
১. নতুন তিল বা আঁচিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি: ত্বকে যদি হঠাৎ কোনও নতুন তিল বা আঁচিল দেখা দেয় এবং সেটি দ্রুত বড় হতে শুরু করে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটি মেলানোমার অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
২. আগের তিল বা আঁচিলের পরিবর্তন: আগে থেকে শরীরে থাকা কোনও তিল বা আঁচিলের আকার, আকৃতি, রঙ হঠাৎ পরিবর্তিত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৩. অসম আকৃতি: সাধারণ তিল বা আঁচিল গোলাকার বা ডিম্বাকার হয়, কিন্তু মেলানোমার আঁচিল প্রায়শই অনিয়মিত বা অসম আকৃতির হয়।
৪. চুলকানি, রক্তপাত বা ব্যথা: তিল বা আঁচিলে চুলকানি, রক্তপাত বা ব্যথা হলে তা মেলানোমার লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: একবার লাগালেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলবে! থ্রি ডি প্রিন্টারে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা
বেসাল সেল কার্সিনোমা: এই ধরনের ত্বকের ক্যানসারের সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এবং সাধারণত ধীরে ধীরে ছড়ায়।
লক্ষণ-
১. ছোট, চকচকে মাংসপিণ্ড: ত্বকের উপর ছোট, চকচকে, ফ্যাকাশে বা গোলাপী রঙের মাংসপিণ্ড দেখা যেতে পারে। এর মাঝে ছোট ছোট রক্তনালী দেখা যায়।
২. উঁচু, মোমের মতো দাগ: ত্বকের উপর উঁচু, মোমের মতো মসৃণ দাগ দেখা যেতে পারে, যার প্রান্তগুলো সামান্য উঁচু এবং ভেতরের অংশ ডেবে যেতে পারে।
৩. ক্ষত: এমন ক্ষত যা কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে সারছে না, অথবা সেরে গিয়েও আবার ফিরে ফিরে আসছে।
৪. রক্তপাত বা ক্রাস্ট: এই ক্যানসারে ক্ষত থেকে সহজেই রক্তপাত হতে পারে। ক্ষতের উপর শুকনো স্তর (ক্রাস্ট) জমতে পারে।
স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা: এটিও ত্বকের একটি সাধারণ ক্যানসার। মেলানোমার চেয়ে কম মারাত্মক হলেও এই ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই সময় মতো চিকিৎসা প্রয়োজন।
লক্ষণ-
১. শক্ত, লালচে মাংসপিণ্ড: ত্বকের উপর শক্ত, লালচে রঙের মাংসপিণ্ড দেখা যেতে পারে। সাধারণত এই পিণ্ড উঁচু এবং রুক্ষ হয়।
২. রুক্ষ, আঁশটে দাগ: ত্বকের উপর রুক্ষ, আঁশের মতো দাগ দেখা যেতে পারে। এই দাগ স্পর্শ করলে খসখসে লাগে।
৩. ক্ষত: বেসাল সেল কার্সিনোমার মতো, এই ক্ষেত্রেও এমন ক্ষত দেখা যেতে পারে যা সহজে সারে না বা সেরে গিয়ে আবার ফিরে আসে।
