আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি বিমানে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে৷ বিমানের ভেতর এক যুবতী ধূমপান করেন৷ উপরন্তু অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালান৷ এহেন এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে ইস্তাম্বুল থেকে সাইপ্রাসগামী একটি বিমানে। দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত যুবতী নীল বোরখা ও সানগ্লাস পরে ছিলেন। বিমানের ভেতরে জানালার পাশে একা বসে আচমকা প্রকাশ্যে ধূমপান শুরু করেন। দেখা যাচ্ছে তিনি বিমানের কঠোর নিরাপত্তা নিয়ম ভঙ্গ করে প্রকাশ্যেই সিগারেট ধরিয়ে তাতে টান দেন এবং বোরখা টেনে ধোঁয়া নিচে ফেলেন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিমানে ধোঁয়ার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নজরে আসে পাশে থাকা যাত্রীদের। সামনের আসনে বসা এক পুরুষ যাত্রী পেছনে ফিরে তাকিয়ে নিশ্চিত হন যে যুবতী সত্যিই ধূমপান করছেন। এরপর তিনি আসনের কভার সরিয়ে ফেলেন যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। বিমানের ক্রু'রা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ওই যুবতীর হাত থেকে সিগারেটটি কেড়ে নেন।

এখানেই শেষ নয়। এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে, যখন ওই যুবতী একটি লাইটার বের করে সিটের কভার জ্বালানোর চেষ্টা করেন। পরে তিনি একটি সাদা কাপড় বের করে সেটিও আগুনে ধরানোর চেষ্টা করেন। কেবিন ক্রুরা সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর লাইটার কাড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু যুবতী প্রতিরোধ করেন। তখন একজন কেবিন ক্রু জলের বোতল নিয়ে এসে আগুনের উপর ঢেলে দিয়ে তা নিভিয়ে ফেলেন।

আরও পড়ুনঃ প্রকাশ্যে এ কী কাণ্ড? বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির সঙ্গে যা করলেন সরকারি কর্মীরা, জানলে ভিরমি খাবেন...

এই ঘটনার একটি ভিডিও ১১ আগস্ট, সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। ভিডিওটি ইতিমধ্যে ২৫ লাখেরও বেশি ভিউ অর্জন করেছে। এহেন ঘটনার জেরে অনেকেই বিমানের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ ওই যুবতীর কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তবে কেউ কেউ দাবি করেছেন, এই ভিডিওটি আসলে  সাম্প্রতিককালের নয়, বরং অনেক বছর আগের একটি ঘটনা এটি। 

আরও পড়ুনঃ মাত্র আট মাসে দশ হাজারের বেশি অভিযোগ! মুম্বইয়ে পথকুকুর নিয়ে উদ্বেগ চরমে, কী বলছে বিএমসি? 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, এই অদ্ভুত চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওই যুবতী বিমানে বসে বলেন, 'আমি একজন ফেটো (FETO) সদস্য, আমি এই বিমান উড়িয়ে দেব।' এটি ঘটে যখন বিমানটি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে ট্যাক্সিং করছিল। পরবর্তীতে ওই যুবতীকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আটক করেন।

খবর মারফত, অভিযুক্ত যুবতী তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষিত গুলেন সংগঠনের (Gülen Organisation) একজন সদস্য। এই সংগঠনটি তুরস্কে অবস্থিত ফেতুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠন (FETO) এবং প্যারালাল স্টেট স্ট্রাকচার (PDY) নামে পরিচিত। এমনকি ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পেছনে এই সংগঠনটির হাত রয়েছে বলে তুরস্ক সরকার দাবি করেছে।

আরও পড়ুনঃ ভিড়ে ঠাসা ট্রেন! দম নিতে না পেরে যা হল যুবতীর, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও