কখনও ভেবে দেখেছেন যে ডাক্তারের কাছে গেলে প্রথমেই জিভ কেন দেখাতে বলা হয়? সাধারণ জ্বর-সর্দি বা কঠিন কোনও অসুখ, রোগীর জিভ দেখতে চান চিকিৎসকেরা। কারণ, শরীরে অস্বাভাবিক কিছু ঘটলেই এই অঙ্গেই তার কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে। যা দেখে সহজেই রোগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা স্পষ্ট হয় চিকিৎসকদের। তাই কথায় বলে, জিভই শরীরের আয়না। জিভ দেখেই যে বোঝা যায় শরীরে হানা দিয়েছে কোন রোগ। অনেক সময়ে মুখের দুর্গন্ধের কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে জিভে। দাঁত মাজার সময়ে অনেকেই জিভ পরিষ্কার করে থাকেন। তবে জিভ পরিষ্কার করলে যে রোগের লক্ষণ বোঝা যাবে না, এমনটা নয়। যে কোনও রোগের লক্ষণ জিভে ঠিক ফুটে উঠবেই। চিকিৎসকদের মতে, মুখের স্বাস্থ্যের সঠিক খেয়াল না রাখলে জিভের উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। জিভের রং বদলের নেপথ্যে রয়েছে আরও অনেক কারণ। তাহলে কখন সাবধান হবেন, জেনে নিন।

১. কালচে জিভঃ জিভের রং যদি হঠাৎ কালচে হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। মনে রাখবেন, জিভের রং কালচে হয়ে যাওয়া ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে। তাই এমন কোনও উপসর্গ খেয়াল করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

২. লাল, মসৃণ বা ফোলা জিভঃ যদি জিভ অস্বাভাবিকভাবে লাল ও মসৃণ হয়, বা ফুলে যায়, তাহলে তা সংক্রমণ, অ্যালার্জি কিংবা ভিটামিন ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ মাত্র ৭ দিনে বন্ধ হবে চুল পড়া, গজাবে নতুন চুলও! নামী-দামি প্রোডাক্ট নয়, এই সব ঘরোয়া প্যাকই করবে কামাল

৩. জিভে সাদা আস্তরণঃ মুখের ভিতর ‘ক্যান্ডিডা ইস্ট’ নামে ছত্রাক মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে জিভে সাদাটে আস্তরণ তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণত গুরুতর সমস্যা হয় না,তবে ‘ওরাল থ্রাশ’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

৪. হলদে জিভঃ হজম সংক্রান্ত সমস্যা হলে জিভের রং হলদেটে হয়ে যেতে পারে। মূলত অন্ত্রের মধ্যে থাকা ‘খারাপ’ ব্যাকটেরিয়া বেড়ে গেলে হজমের গোলমাল হতে পারে। লিভার কিংবা পাকস্থলীর সমস্যা হলেও জিভের রং হলদেটে হয়ে যায়।

৫. নীলচে বা বেগুনি জিভঃ শরীরে অক্সিজেনের অভাবে জিভের রং হঠাৎ নীলচে বা বেগুনি হয়ে যেতে পারে। এছাড়া, শ্বাসযন্ত্র কিংবা কার্ডিওভাসকুলার কোনও সমস্যা থাকলেও জিভের রং নীল হয়ে যেতে দেখা যায়। 

৬. ফ্যাকাসে জিভঃ জিভের রং ফ্যাকাসে হয়ে গেলে তার কারণ রক্তে আয়রনের অভাব হতে পারে। আবার অটোইমিউন রোগের জন্যও অনেক সময়ে জিভের উপর লাল এবং সাদা চাকা চাকা দাগ দেখা যায়।