আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহম্মদ সিরাজের প্রশংসায় ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড গাওয়ার। এবারের ইংল্যান্ড সফর সিরাজকে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি নাগাড়়ে বল করে গিয়েছেন। ১৮৫.৩ ওভার বল করে গিয়েছেন। কিন্তু চোটআঘাতের লাল চোখ দেখতে হয়নি। জশপ্রীত বুমরাহ না থাকায় এই ভারতীয় দলের বোলিং বিভাগের তিনিই ছিলেন লাইটহাউজ। বিলেতে আলো ছড়িয়ে গিয়েছেন সিরাজ।

গোটা সিরিজে সিরাজের বোলিং দেখে দারুণ খুশি ডেভিড গাওয়ার। একসময়ে যাঁর কভার ড্রাইভ ছিল দেখার মতো। সেই ডেভিড গাওয়ার বলছেন, ''সিরাজ কী খায়, কী পান করে, তা আমি জানতে চাই। ইংল্যান্ডের বোলাররাও যাতে সিরাজের মতো খাওয়া দাওয়া করে, তাঁর মতোই জল পান করে, সেই পরামর্শ আমি দিতে চাই। সিরাজের যে জিনিসটা আমাকে সব থেকে বড় টানে তা হল, ও টানা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচই খেলেছে। তবুও ওভালে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের সময়ে সিরাজ ৩০ ওভার বল করে গিয়েছে। তবুও হাল ছাড়েনি সিরাজ।'' 

আরও পড়ুন: শচীন-কার্স্টেনের এই গল্প কেউই জানেন না, ২০১১ বিশ্বকাপের অজানা গল্প শুনিয়ে হরমনপ্রীতদের উৎসাহ দিলেন যুবি

ডেভিড গাওয়ার প্রশংসা করলেন সিরাজের। কিন্তু শচীন তেণ্ডুলকরের মতো কিংবদন্তি জানিয়েছেন, সিরাজ তাঁর প্রাপ্য কৃতিত্ব পান না। 

মাস্টার ব্লাস্টার বলেন, ''অবিশ্বাস্য। অসাধারণ অ‍্যাপ্রোচ। সিরাজের মানসিকতা আমার পছন্দ। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বোলিং করার জন্য ওর দৌড় আমার ভাল লাগে। এরকম একজন ফাস্ট বোলারের লাগাতার মুখোমুখি হতে কারওরই ভাল লাগবে না। আমি ধারাভাষ্যকারদের বলতে শুনেছি, সিরিজে ১ হাজারের বেশি বল করার পরও সিরাজ ৯০ মাইল গতিতে বল করে গিয়েছে। এটাই সাহসিকতা ও বড় হৃদয়ের পরিচয়।'' 

লর্ডসে ট্র্যাজিক হিরো থেকে গিয়েছিলেন সিরাজ। শোয়েব বশিরের বলটা তাঁর ব্যাটে লেগে উইকেট ভেঙে দেয়। সিরাজ সারা রাত ঘুমোতে পারেননি। খাননি পর্যন্ত। ভাগ্য দ্রুতই বদলে যায়। সেদিন তিনি ছিলেন ব্যর্থ এক নায়ক। ওভালে তিনিই নায়ক। ইংল্যান্ড থেমে যায় ৬ রান দূরে। সিরাজের জন্যই সমালোচনার হাত থেকে বেঁচে যান গৌতম গম্ভীর। প্রথমে নিউজিল্যান্ড, পরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পরে ইংল্যান্ডে সিরিজ ড্র রাখল গম্ভীরের ভারত।

মাস্টার ব্লাস্টার বলছেন, ''পঞ্চম দিন যেভাবে সিরাজ শুরু করেছিল, তা এককথায় অসাধারণ। সিরিজ জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সিরাজ। যখনই ওকে দরকার হয়েছে, যখনই মনে হয়েছে মরণকামড়টা এবার দিক, তখনই সিরাজ নিজেকে নিংড়ে দিয়েছে। সিরাজ যেভাবে উইকেটগুলো নিয়েছে এবং পারফরম্যান্স তুলে ধরেছে, তার প্রাপ্য কৃতিত্ব কিন্তু পায় না।'' সদ্য সমাপ্ত সিরিজ থেকে সিরাজ ২৩টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। 

আরও পড়ুন: ২০২৭ বিশ্বকাপে দেখা যাবে রোহিত ও বিরাটকে?‌ জেনে নিন ইংল্যান্ড সফরের আগে কী বলে গিয়েছিলেন গম্ভীর