কখনও জিম থেকে বেরিয়ে, কখনও আবার বিমানবন্দরে, পাপারাৎজির ক্যামেরায় প্রায়ই ধরা পড়েন বঙ্গতনয়া মৌনী রায়। অনেকেই মনে করেন, চর্চায় থাকতে তারকারাই তাঁদের ডেকে পাঠান। কিন্তু সব সময় এমনটা হয় না। বরং হঠাৎ ক্যামেরার সামনে পড়ে অপ্রস্তুত হতে হয় তারকাদেরও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেরকমই জানালেন নায়িকা।

মৌনী বলেন, “বান্দ্রায় থাকলে তাঁরা আপনার গাড়ি এবং আপনি কোথায় যাচ্ছেন, তা জানবেন। কখনও কখনও, আপনি কোনও  রেস্তোরাঁ বা অন্য জায়গায় গেলে তাঁরাও নিজেদের প্রচার করতে সেখানে পৌঁছন। আমি বলছি না যে আমরা কখনওই পাপারাৎজি ডাকি না। কিন্তু যখন আমাদেরপ্রয়োজন হয় বা ভাল পোশাক পরে থাকি, তখন আমি তাঁদের ডাকি। কোনও ছবি বা অনুষ্ঠানের প্রচার করলে একেবারেই আলাদা ব্যাপার। কিন্তু প্রতিদিন মোটেই ডাকা হয় না। সব সময় একজন মানুষকে সুন্দর দেখাতে পারে না। এটি খুবই কঠিন একটি বিষয়।”

মৌনি রায় টেলিভিশনে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেন 'কিউকি সাস ভি কাভি বহু থি' এর ধারাবাহিক দিয়ে। এবং ‘নাগিন’-এর মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন । পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্রে পা রাখেন। অক্ষয় কুমারের বিপরীতে 'গোল্ড'-এর হাত ধরে বলিউডে অভিষেক। এরপর 'মেড ইন চায়না', 'ব্রহ্মাস্ত্র' এবং 'রোমিও আকবর ওয়াল্টার'-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেন। টেলিভিশন, বড়পর্দা, ওটিটি, সব ক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণ তাঁর।


 এক সাক্ষাৎকারে মৌনী বলেছিলেন, “কেরিয়ারের শুরু থেকেই আমি টাইপকাস্ট। যখন আমি কিউকি সাস ভি কাভি বহু থি-তে অভিনয় করি, তখন লোক বলেছিল ঘরোয়া গোছের মেয়েটা গ্ল্যামারাস চরিত্র করতে পারে না। যখন আমি কয়েকটি রিয়্যালিটি শো, ডান্স রিয়্যালিটি শো করলাম, তখন আবার বলা হল আমি খুব গ্ল্যামারাস। য যখন আমি নাগিন করি, তখন অনেকেই মনে করেছিল আমি শুধু ফ্যান্টাসি ফিকশন বা পৌরাণিক কাজ করতে পারব।' এটি এমন একটি জিনিস যা আমি সবসময় মোকাবিলা করেছি।" 

মৌনী দুবাই-ভিত্তিক ব্যবসায়ী সুরজ নাম্বিয়ারকে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালে নববর্ষের আগের দিন দুবাইতে তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল। ২০২১-এর মার্চ মাসে মৌনী সুরজের বাবা-মায়ের সঙ্গে মন্দিরা বেদীর বাড়িতে দেখা করেন। তাঁরা ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ ভারতীয় এবং বাঙালি রীতিনীতির সমন্বয়ে একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হিলটন গোয়া রিসোর্টে মালয়ালি এবং বাঙালি উভয় রীতিতেই মেনেই চারহাত এক হয় তাঁদের সুরজ কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর জৈন পরিবারের ছেলে. অন্য দিকে মৌনী পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের বাসিন্দা।

সম্প্রতি বদলে যাওয়া চেহারা নিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েন মৌনী। নেটিজেনদের দাবি, সার্জারির কারণেই তাঁর এমন পরিবর্তন। কপালের শিরা উঁচু হয়ে থাকায় হাওয়া লাগে গুঞ্জনের পালে। মনে করা হচ্ছিল, এবারের সার্জারি তাঁর মোটেই সফল হয়নি। মুখে কিছু না বলেই  আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন মৌনী। ৭৪ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় হেঁটেছেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি কপালের উঁচু শিরা ঢাকলেন না, বরং চুল কপালের একপাশে সরিয়ে নিজের মুখ সামনে এনেছেন। সেজে উঠেছিলেন নীল রঙের গাউন এবং হিরের গয়নায়।