আজকাল ওয়েবডেস্ক: দল জিতেছে, পাঁচ গোলের মালা পরিয়েছে প্রতিপক্ষকে, দুই অজি ফরোয়ার্ড গোল পেয়েছেন,সবই ঠিক আছে। কিন্তু তারপরেও মলিনা ঠিক সন্তুষ্ট নন। আর সেটা খুবই স্বাভাবিক। অনেক দেরিতে মোহনবাগান অনুশীলন শুরু করেছে, মাত্র কয়েক দিনের অনুশীলনের পরেই ডুরান্ড কাপের ম্যাচ খেলতে নেমে পড়তে হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার ম্যাচের পর বাগান কোচ জানালেন, ‘দলের খেলায় খুশি। কিন্তু আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার ধারে কাছেও নেই। মাত্র কয়েকদিন ছেলেদের অনুশীলন করিয়েছি। আমাদের কাছে এটা প্রি-সিজন এখনও। নিজেদের সেরা ফর্মে ফিরতে এখনও একটু সময় লাগবে।’ উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ পরেই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুয়ের ড্র অনুষ্ঠিত হবে। এশিয়া স্তরে গ্রুপ স্টেজে কাদের সঙ্গে খেলতে হবে তা জেনে যাবেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। তার আগে ডুরান্ড কাপের নক আউট পর্ব রয়েছে। এক সপ্তাহ পরে কোয়ার্টার ফাইনাল। ফুটবলারদের চোট সারিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দলকে ম্যাচ ফিট করতে চাইছেন তিনি।

গতবারের মরশুমের থেকে এবারে বেশি পরিবর্তন নেই দলে। সেটাও যে এই কয়েকদিনে সাহায্য করেছে তা উল্লেখ করে বাগান কোচ জানান, ‘এক বছর একসঙ্গে খেলাটা অবশ্যই সাহায্য করবে। তাছাড়া এবারে কিয়ানের মতো কিছু নতুন ফুটবলারও রয়েছে। আর কিছুদিন সময় পেলে দলের মধ্যে বোঝাপড়া আরও বাড়বে’। ফিটনেস নিয়ে একই মত জেমি ম্যাকলারেনেরও। জানালেন, ৯০ মিনিট হয়তো এখনও খেলে দিতে পারি। তবে লম্বা অফ-সিজন গিয়েছে। অপেক্ষায় আছি ইন্ডিয়ান সুপার লিগ নিয়ে কী হয় সেটার জন্যই। তবে ডায়মন্ড হারবার ম্যাচে আমার আর জেসনের পরিকল্পনা ছিল ৪৫ মিনিট করে খেলার। আগামী এক সপ্তাহ লম্বা বিরতি রয়েছে। নক আউটের আগে অনুশীলন করে আরও ফিট হয়ে যেতে পারব বলেই আশা করছি। কামিংস, দিমিও চলে এসেছে। দলের কয়েকজনের চোট রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সেরে উঠবে। আমাদের স্কোয়াড যথেষ্ট শক্তিশালী, তরুণ ফুটবলাররাও ভাল খেলছে।’ গত বছর চোটের কারণে ম্যাকলারেন ডুরান্ডে ছিলেন না। এবার টুর্নামেন্ট জেতার লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ডাকেটকে আউট করে কাঁধে হাত দিয়ে কী বলেছিলেন আকাশদীপ? নিজেই ফাঁস করলেন সেই কথোপকথন

জানালেন, ‘গত বছর আমি ডুরান্ড কাপে খেলতে পারিনি। এবারে সুযোগ পেয়ে গোল করতে পেরে ভাল লাগছে। দলের অন্যান্য ফুটবলাররাও গোল করছে, এবার লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল। আগের বার আমরা ডুরান্ড কাপ জিততে পারিনি, এবার জিততে চাই’। শনিবার রাতে ডায়মন্ড হারবারকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মলিনার দল। তিন ম্যাচ জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের একনম্বর দল হিসেবে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান। সবুজ মেরুনের গোলদাতা অনিরুদ্ধ থাপা, জেমি ম্যাকলারেন, লিস্টন কোলাসো, সাহাল আব্দুল সামাদ এবং জেসন কামিন্স। ডায়মন্ড হারবারের একমাত্র গোলদাতা লুকা মাজেন। এদিন সবুজ মেরুনের সবচেয়ে বড় পাওনা প্রথম ম্যাচে নেমেই দুই বিদেশির গোল পাওয়া। টানা তিন ম্যাচে গোল লিস্টনের। তাঁর মোট গোল সংখ্যা পাঁচ। ডুরান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে বিএসএফকে আট গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল কিবু ভিকুনার দল। ডায়মন্ড হারবারের প্রয়োজন ছিল ড্র। বরং, চাপে ছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু সেই চাপ বুঝতেই দিলেন না বাগান ফুটবলাররা। হেলায় হারিয়ে দিলেন কিবু ভিকুনার দলকে।