আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামী মাসেই ৩৯ বছর বয়স হবে তাঁর। এই বয়সে কি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব? অনেকেই এই বয়সে পৌঁছনোর আগে অবসর নিয়ে ফেলবেন। কিন্তু গ্রেম ক্রেমার শুরু করছেন ফিরে আসার লড়াই। জিম্বাবোয়ের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন সাড়ে সাত বছর আগে। সেই ক্রেমার এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছেন।
ইতিমধ্যেই জিম্বাবোয়ের ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগে ফিরেছেন ক্রিমার। ৪৫ ওভার করে ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই ৪৩ রানে ৪ উইকেট নেন ক্রেমার। তিনি আসলে লেগ স্পিনার। পরের ম্যাচেও চার-চারটি উইকেট নেন ক্রেমার।
২০১৮ সালের মার্চে ওয়ানডে বিশ্বকাপের যোগ্যতা পর্বের ম্যাচে ক্রেমারকে দেখা গিয়েছিল। ২০০৫ সালে তাঁর অভিষেক ঘটেছিল। অভিষেক ম্যাচের অভিজ্ঞতা অবশ্য ভাল নয় ক্রেমারের। জিম্বাবোয়ে ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশের কাছে। সেই সিরিজের দু'টি টেস্টে ছ'টি উইকেট নেন তিনি। দক্ষিণ আফিকা সফরেও দুই টেস্টে পান ছ'টি উইকেট। এর পরে জিম্বাবোয়ের নির্বাসন হয়।
২০০৮ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক ঘটে ক্রেমারের। পরের বছরই ওয়ানডে-তে অভিষেক। লেগ স্পিন করার পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের হাতও বেশ ভাল ক্রেমারের। ২০১৬ সালে জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক হন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিও রয়েছে।
২০১৯-এর পর থেকে তাঁর জীবন বাঁক নেয় অন্যদিকে। তাঁর সন্তানদের দেখভাল ও পরিবারের প্রতি সময় দেওয়ার জন্য ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যান। স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন দুবাইয়ে।
সাত বছর ধরে ক্রিকেট থেকে দূরে সরে থাকলেন তিনি। মাঝের এই সময়ে তিনি অনেককিছু করেছেন। কখনও কোচিং স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন, কখনও রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পরিচালক ছিলেন। গলফ খেলতেন। এখন আবার ফিরেছেন ক্রিকেটে। অবাক লাগলেও গল্পটা সত্যি।
এদিকে জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পালা। সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠেছেন ব্রেন্ডন টেলর। এবার অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার পালা। সেই পথে একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন তিনি।
গত ২৫ জুলাই শেষ হয়েছে টেলরের নিষেধাজ্ঞা। ক্রিকেটে ফিরতে আর কোনও বাধা নেই তার। তিনি খেলছেনও। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান টেলর। এর চার মাস পরই আসে তাঁর নিষেধাজ্ঞার খবর। প্রথমে কোচিং করার কথা ভেবেছিলেন টেলর। কিন্তু তাঁকে অবসর ভেঙে আবারও দেশের হয়ে মাঠে ফিরতে রাজি করান জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিভমোর মাকোনি। মূলত ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে দলে রাখতে চায় জিম্বাবোয়ে। জিম্বাবোয়ে ও নামিবিয়ায় যৌথভাবে হবে টুর্নামেন্টটি।
২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তিনটি ফরম্যাট মিলিয়ে জিম্বাবোয়েকে নেতৃত্ব দেন টেলর। প্রথম দফায় জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ছিলেন ২০১১-এর মাঝমাঝি থেকে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর তিনি জাতীয় দল থেকে সরে গিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে আবার ফেরেন জাতীয় দলে। এরপর অবসর ও নিষেধাজ্ঞা। আবার তিনি ফিরেছেন। টেলর ও ক্রেমার মিলে জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের হাল ফেরাতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: 'যখনই প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাটে জবাব দিয়েছেন গিল,' ভারত অধিনায়ককে দরাজ সার্টিফিকেট প্রাক্তনীর...
