আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে মিলল বিরাট সোনার খনি। ভৌগলিক বিশেষজ্ঞরা এই খবরটি সকলকে দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের এই জেলাতে যেভাবে সোনার খনি মিলেছে তাতে এখানকার অর্থনীতি বিরাট পরিবর্তন ঘটবে। তবে শুধু সোনা নয়, মাটির নিচ থেকে পাওয়া গিয়েছে আরও অনেক ধাতু। সেখানে ম্যাঙ্গানিজও রয়েছে। রয়েছে বিরাট লোহার খনিও।
এখনও পর্যন্ত যে খবর মিলেছে তাতে দেখা গিয়েছে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে এই সোনার খনি মিলেছে। মনে করা হচ্ছে এখানে কয়েক লক্ষ টন সোনা মাটির নিচে মজুত রয়েছে। ভারতের এই স্থানের এই সোনার খনি যদি সত্যি হয়ে যায় তাহলে সেখান থেকে গোটা ভারতের অর্থনীতির ওপর বিরাট প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: ইউএএন নম্বর করতে হলে এবার মানতে হবে এই নিয়ম, নাহলেই সর্বনাশ
এখানে বহুদিন ধরেই একটি দল কাজ করছিল। তারা বহুদিন ধরেই এখানকার মাটি পরীক্ষা করছিল। তবে এবার তাদের দেওয়া তথ্য সকলকে অবাক করে দিয়েছে। দেশের অন্যতম একটি সোনার খনি হিসেবে এটি উঠে আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই এলাকাটিতে এমনিতেই লোহা সহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ মেলে। তবে সেই তালিকায় এবার যোগ হয়েছে সোনা। এখানে বেশ কয়েকটি খনি রয়েছে। সেখানে কিন্তু সোনা মেলেনি। সোনা পাওয়া গিয়েছে অন্য একটি জায়গাতে। এখানে বহু বছর ধরে খনির কাজ চলছিল। তবে হঠাৎ করেই এখানে সোনার খনির সন্ধান মিলেছে।
দেশে এমনিতেই সোনার দাম প্রতিদিন বাড়ছে। সেখানে যদি মাটির নিচ থেকে সোনার খনি পাওয়া যায় তাহলে সেটি হবে একটি বাড়তি পাওনা। সেদিক থেকে দেখতে হলে এই এলাকায় অর্থনীতি অনেকটাই উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন সকলে। যেভাবে মাটির নিচ থেকে সোনা উঠে আসছে সেখান থেকে মনে করা হচ্ছে এখানে মাটির নিচে প্রচুর সোনা মজুত রয়েছে। সেগুলি সেখান থেকে এবার তোলার কাজ শুরু হবে।

সোনার বর্তমান দাম প্রায় এক লাখের কাছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ এখন সোনার মজুত বাড়িয়ে চলেছে। ফলে সেখান থেকে প্রতিদিন বাড়ছে সোনার দাম। তবে যদি দেশের এই সোনার খনিটি সকলের কাছে সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে সেখান থেকে ভারত সোনার দিক থেকে অনেক বেশি তৈরি হয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।
প্রসঙ্গত, সোনার দাম এই সপ্তাহের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করেছে। সোনা কিনতে এবার পকেটে টান পড়বে গ্রাহকদের ? মঙ্গলবার বাজারে সোনার দাম পরপর দু'বার বেড়ে গিয়েছিল। সন্ধের সময় এই দাম বাংলার বাজারে ১ লাখের গণ্ডি পেরিয়ে যায়। বুধবার অগাস্ট সোনার দাম আরো খানিক বেড়ে গিয়েছে। ২৪ ক্যারাট, ২২ ক্যারাট এবং ১৮ ক্যারাট সোনার দামে বদল এসেছে কলকাতার বাজারে।
আমাদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সোনার নাম। ভারতে যে কোনও উৎসবে বা শুভ কাজে সোনা কেনা বা উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে। অনেকে সোনাকে আবার বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবেও দেখে। সেই ক্ষেত্রে সোনার দাম বাড়লে বিনিয়োগে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। তবে সোনার গয়না কেনার ক্ষেত্রে খরচ অনেকখানি বেড়ে যায়। সবচেয়ে বিশুদ্ধ সোনা ২৪ ক্যারাটের, যদিও এই সোনায় গয়না গড়া হয় না। সঞ্চয়ের জন্য যাঁরা সোনার বার বা কয়েন কেনেন, তাঁরাই পাকা সোনা কেনেন।

হলমার্কে জুয়েলারের শনাক্তকরণ চিহ্ন, হলমার্কিংয়ের বছর, ক্যারেট এবং ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) এর স্ট্যাম্প উল্লেখ থাকে। BIS স্ট্যাম্প হল একটি সার্টিফিকেট যা নিশ্চিত করে যে গয়নাটি ব্যুরো কর্তৃক নির্ধারিত মান অনুসারে তৈরি করা হয়েছে।
