অভিনেত্রী হনসিকা মোটওয়ানি এবং সোহেল খাতুরিয়া ফেক বিবাহবিচ্ছেদের গুজব উস্কে দিয়েছেন। তারকা-দম্পতির মুখে যদিও কুলুপ। তবু অনুরাগীদের চোখ কিছু এড়ায় না। হনসিকা যে বিয়ের বেশ কয়েকটি ছবি এবং ভিডিও এখন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়েছেন, তা তাঁদের নজরে পড়েছে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে জয়পুরের মুন্ডোটা ফোর্ট অ্যান্ড প্যালেসে এক জমকালো অনুষ্ঠানে হনসিকা এবং সোহেল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিন দিনের সেই অনুষ্ঠান ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে ছিল মুম্বইয়ের মাতা কি চৌকি, গ্রীসে একটি ব্যাচেলোরেট পার্টি এবং জয়পুরে একটি থিমের পার্টি। মেহেন্দি, সুফি নাইট এবং গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। তারপরে একটি ক্যাসিনো-থিমযুক্ত আফটার-পার্টিও হয়েছিল। তবে এত ধুমধাম করে বিয়ে করেও শান্তির নীড় পাননি তাঁরা। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের গুঞ্জন, বিয়ের মাত্র দু’বছর কাটতেই হনসিকা এবং সোহেল এখন আলাদা থাকতে শুরু করেন। অভিনেত্রী নাকি স্বামীকে ছেড়ে নিজের মায়ের কাছে ফিরে এসেছেন। ফলে তাঁর দাম্পত্যে চিড় ধরেছে বলে আঁচ করেন অনেকেই।
হনসিকার ঘনিষ্ঠ বৃত্তের একজন সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “হনসিকা তার মায়ের সাথে চলে গিয়েছে, আর সোহেল তার বাবা-মায়ের সঙ্গেই আছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যখন দু’জন বিয়ে করে, তখন তারা প্রথমে সোহেলের পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। তবে, একটি বড় পরিবারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া একটি সমস্যা ছিল। তাই, তারা একই বাড়ির একটি কনডোতে চলে আসে। কিন্তু মনে হচ্ছে সমস্যাগুলি রয়ে গিয়েছে।”
হানসিকা এবং সোহেলের বিয়ের অনুষ্ঠানটি জিওহটস্টারের একটি রিয়্যালিটি শো হিসাবে রাখা হয়। নাম ‘হনসিকা’স লাভ শাদি ড্রামা’।
হনসিকাকে বিয়ে করার আগে সোহেলের স্ত্রী ছিলেন রিঙ্কি বাজাজ। জানা গিয়েছে, রিঙ্কি এবং হনসিকা খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। তবে, হনসিকা এবং সোহেল উভয়েই তাঁদের শোয়ে বলেছিলেন, যে তাঁরা একে অপরকে অনেক দিন ধরে চেনেন কারণ সোহেল নায়িকার ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন।
সোহেল প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের নীচে হাসিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নেটমাধ্যমে বাগদানের ঘোষণা করার আগে তাঁরা বেশ কিছু দিন গোপনে ডেট করেছিলেন।
বিয়ের পরেও যদিও হনসিকার পিছু ছাড়েনি কটাক্ষ। অনেকেই বলেছিলেন বন্ধুত্বে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নায়িকা। তবে নেতিবাচকতাকে কোনও রকম তোয়াক্কা না করেই নিজের শর্তে বাঁচেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত থাকেন কাজ, সংসার এবং ভ্রমণ নিয়ে।
শিশুশিল্পী হিসাবে যাত্রা শুরু হনসিকার। ‘শাকা লাকা বুম বুম’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে করুণা নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। পর্দায় সেই একরত্তি মেয়ের সারল্য মন জয় করে নেয় সকলের। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। এরপর ঋত্বিক রোশনের সঙ্গে ‘কোই মিল গয়া’ ছবিতেও অভিনয় করেন হনসিকা। নায়কের বন্ধুর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার কয়েক বছর পরেই পুরদস্তুর নায়িকা ওঠেন তিনি। হিমেশ রেশামিয়ার সঙ্গে বিপরীতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি দক্ষিণেও কাজ করতে থাকেন চুটিয়ে। নেটমাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তাও কিছু কম নয়। তবে বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা নিয়ে আপাতত কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তা হলে কি সত্যিই সংসারে চিড় ধরল? নাকি নেটমাধ্যম থেরে বিয়ে স্মৃতি মোছার নেপথ্য়ে রয়েছে অন্য কারণ? উত্তর দেবে সময়।
