আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোনও শেষ নেই! আলাপ-আলোচনা দেশের সঙ্গে দেশের। কেউ প্রার্থনা করছে, কেউ নির্দেশ দিচ্ছে। দিনে দিনে মিলিয়ে যাচ্ছে নগর জীবন, তবু শেষ হচ্ছে না লড়াই। সেই ভয়াবহতার এক ঝলক যেন উঠে এল ভিডিওতে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। তবে একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর ওই ভয়-আতঙ্ক জাগানো ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস।
কেন ভিডিও নিয়ে চর্চা? কারণ, ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একজন শীর্ণকায় যুবক, দুর্বল শরীর নিয়ে একটি প্রায় অন্ধকার সুড়ঙ্গে মাটি কাটছেন বেলচা দিয়ে। মাঝে মাঝেই আর পেরে না উঠে বসে পড়ছেন। আবার একই কাজ করছেন। কাজ করতে করতে বলছেন কিছু একটা। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভিডিওতে যেটুকু শোনা গিয়েছে যুবকের মুখে, তার অর্থ, ‘আমি নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছি।‘ জানা গিয়েছে, হামাস কর্তৃক প্রকাশিত, ২৪ বছর বয়সী এভিয়াতার ডেভিডের এটি দ্বিতীয় ভিডিও। ভিডিওতে যুবককে আর বলতে শোনা যায়, ‘প্রতিদিন আমার শরীর দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। আমি সরাসরি আমার কবরের দিকে হেঁটে যাচ্ছি। সেখানেই সেই কবর যেখানে আমাকে কবর দেওয়া হবে। মুক্তি পাওয়ার এবং পরিবারের সঙ্গে আমার বিছানায় ঘুমানোর সময় ফুরিয়ে আসছে।‘ সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই ভিডিওর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ডেভিডের পরিবার। তাঁদের দাবি, হামাস নিজেদের প্রচার করার জন্যই ডেভিডকে অনাহারে রেখেছে দিনের পর দিন। ডেভিডের ভিডিও প্রকাশ করে বোঝাতে চাইছে, ঠিক কতটা ভয়াবহ হতে পারে তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস এবং তার সহযোগী প্যালেস্তাইন দলগুলির হাতে বন্দী ৪৯ জন পণবন্দীর মধ্যে ডেভিড একজন। অক্টোবরের হামলা, মৃত্যু মিছিলের প্রতিশোধ হিসেবে, ইসরায়েল গাজার বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে, যার ফলে ৬০,০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে যে ভিডিও প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী ডেভিডের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, সমস্ত পণবন্দীদের মুক্তির জন্য সরকার নিরলসভাবে সমস্ত রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
How psychopathic is Hamas?
— Eylon Levy (@EylonALevy)
It forced starving hostage Evyatar David to DIG HIS OWN GRAVE for the cameras. pic.twitter.com/iMa404St4sTweet by @EylonALevy
ডেভিডের ফুটেজ ছাড়াও, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে ২১ বছর বয়সী পণবন্দী রম ব্রাস্লাভস্কিকে দেখানো হয়েছে, যিনি দ্বৈত জার্মান-ইসরায়েলি নাগরিকত্বের অধিকারী। তাঁর পরিস্থিতিও ডেভিডের মতোই। অনাহার ক্লিষ্ট, দুর্বল। ভিডিও দুটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পণবন্দীদের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে।
একই সঙ্গে উল্লেখ্য, গাজার মানবিক পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে দুর্ভিক্ষের হাহাকার বাড়ছে। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কূটনীতি আর কার্যকর নাও হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর হামাস বিরোধী সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে বলেন, “তাদের (হামাস) খুঁজে বের করা হবে। সব সাফ করতে হবে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দিন কয়েক আগে বলেন যে, ইজরায়েল এখন গাজা থেকে তার যুদ্ধবন্দিদের ফিরিয়ে আনা এবং ছিটমহলে হামাসের শাসনের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে "বিকল্প" বিকল্পগুলি বিবেচনা করছে।
