দক্ষিণী অভিনেতা বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রাম্যা মোহন নামের এক তরুণী।‌ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাম্যা দাবি করেন, এক মহিলাকে নিজের ইচ্ছায় ‘ব্যবহার’ করেছেন অভিনেতা। যদিও পরে সেই পোস্টটি মুছে ফেলেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে নেটদুনিয়ায় তোলপাড় পড়ে যায়।

 

এক্স হ্যান্ডেলে বিজয়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ওই তরুণী। তিনি লেখেন, ‘ক্যারাভান ফেভার্সের জন্য ২ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেন বিজয় সেতুপতি, ড্রাইভে যেতে ৫০ হাজার, অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঁর আচরণ সন্তের মতো। বছরের পর বছর (এক তরুণীকে) ব্যবহার করে গিয়েছেন উনি। একটি মাত্র ঘটনা নয়। অথচ এমন পুরুষদের পুজো করা হয়। মাদক এবং যৌনতার এই কুচক্র সক্রিয়। মোটেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়।'

তাঁর আরও অভিযোগ, বছরের পর বছর এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলাকে ব্যবহার করে গিয়েছেন অভিনেতা। সেই মহিলার শেষমেষ ঠাঁই হয়েছে পুননির্বাসন কেন্দ্রে। তিনি লেখেন, “সেতুপতিকে ভগবান রূপে পুজো করা হয়। কিন্তু তাঁর আসল রূপ তো কেউ দেখেনি।” যদিও সেই টুইট খুব বেশি ক্ষণ থাকেনি এক্স হ্যান্ডেলে। কিছু ক্ষণের মধ্যে মুছে দেওয়া হয়।

 

এই ঘটনা সামনে আসতেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও অভিযোগের আঙুল উঠলেও প্রথমে এই বিষয়ে মুখ খোলেননি বিজয় সেতুপতি।‌ যদিও তাঁকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে সেরা অভিনেতার তকমা দেওয়া হয়। এমনকী তাঁর স্বভাবের জন্য তিনি নাকি 'ভাল মানুষ' বলেও পরিচিত। তবে এর মধ্যেই এমন অভিযোগ অভিনেতার চরিত্রের উপর প্রভাব ফেলেছে। ক্ষেপে উঠেছেন বিজয়ের অনুরাগীরাও। 

 

আরও পড়ুন: নম্বর বেড়ে এগিয়ে এল 'অনুরাগের ছোঁয়া'! প্রথম স্থানে কি টিকে থাকতে পারল 'পরশুরাম'?

 

অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেতা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমার টিম ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেছে। দক্ষিণী তারকার মন্তব্য, যাঁরা আমাকে একটু হলেও চেনেন, তাঁরা একথা শুনে হাসবেন। আমি নিজেও আমাকে চিনি। এইধরনের নোংরা অভিযোগ আমাকে বিচলিত করতে পারবে না। আমার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ভীষণ দুঃখ পেয়েছে এসব শুনে। তবে আমি ওদের বলেছি এসবে কান দিও না। এই মহিলাটি ইচ্ছে করে চাইছে খবরে থাকতে। তাই ওকে দু মিনিটের খ্যাতি উপভোগ করতে দিন।"

 

আরও পড়ুন: ফরহান আখতারের ছবিতে এবার সানি দেওল! তাঁর নয়া অ্যাকশন মিশনে সঙ্গী হচ্ছেন আর কোন দুই তারকা?

 

প্রসঙ্গত, অভিযোগ করে রাম্যা লিখেছিলেন, “দক্ষিণে মাদক সেবন এবং কাস্টিং কাউচ খুব একটা বড় ব্যাপার নয়। একটি মেয়েকে আমি চিনি তাঁর এমন পরিণতি হয়েছে যা চোখে দেখা যায় না। যৌন হেনস্থা থেকে টাকা পয়সার তছরুপ— সব ধরনের নেতিবাচক কাজের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা।” এই পোস্টটি পরে কেন মুছে দেন রাম্যা? তিনি জানিয়েছেন, নিজের মাথা ঠিক রাখতে না পেরে সবটা উগরে দিয়েছেন। কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পারেন যে মেয়েটির ঘটনা বর্ণনা করেছেন তাঁর কোনও সমস্যা হতে পারে। সেই মেয়েটির নিরাপত্তার কথা ভেবে নিজের টুইট মুছে দেন রাম্যা। তবে এবার দক্ষিণী অভিনেতার জবাবে এই বিষয় যেন আরও জোরালো হয়েছে।