আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মিরাটে লালা লাজপত রাই মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জানা গিয়েছে, এক সড়ক দুর্ঘটনায় হয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল এক আহত ব্যক্তিকে। কিন্তু তিনি হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও চিকিৎসকরা ঘুমোচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভাইরাল হওয়া একটি সিসিটিভি ফুটেজে এই অবহেলার ছবি ধরা পড়ে। ঘটনার পর দুই জুনিয়র চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি, সুনীলকে পুলিশ লালা লাজপত রাই মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, সুনীল তখন রক্তাক্ত অবস্থায় স্ট্রেচারে পড়ে কষ্ট পাচ্ছিলেন, আর পাশে ভূপেশ কুমার রাই ও অনিকেত নামে দায়িত্বরত দুই চিকিৎসক ঘুমোচ্ছিলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন চিকিৎসক এসির নিচে পা তুলে ঘুমোচ্ছেন। পাশে এক মহিলা শিশুকে কোলে নিয়ে একটি প্রেসক্রিপশন হাতে সেই ডাক্তারকে জাগানোর চেষ্টা করছেন। অথচ সুনীল কাছেই একটি বেডে রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছিলেন। ডিউটি ইন-চার্জ ডঃ শশাঙ্ক জিন্দাল সেই সময় হাসপাতালে অনুপস্থিত ছিলেন। তবে পরে তিনি দাবি করেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি হাসপাতালে এসে অবিলম্বে সুনীলকে স্যালাইন ও অন্যান্য প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
Doctors kept sleeping, Sunil died!
— ???????????????? ???????????????????? ???? (@NewzNight__)
Sunil, who was injured in an accident at LLRM Medical College, the biggest medical center of western UP in Meerut, died in agony and doctors kept sleeping
Sunil did not get treatment even after reaching the emergency at midnight. pic.twitter.com/9SvY60vPAqTweet by @NewzNight__
তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সুনীলের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, সময়মতো চিকিৎসা পেলে হয়তো তার প্রাণ রক্ষা করা যেত। লালা লাজপত রাই মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ আরসি গুপ্ত বলেন, ‘ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক জুনিয়র চিকিৎসক ঘুমোচ্ছেন, আর একজন রোগী সাহায্য চাইছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দু'জন চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে’। মিরাটের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জনমানসে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে ডাক্তারদের এই গাফিলতি ঘিরে। উল্লেখ্য, যোগীরাজ্যের হাসপাতাল ঘিরে বিতর্ক এই প্রথম নয়। সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশের হারদোই মেডিক্যাল কলেজ থেকে সাতদিনের একটি শিশু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নবজাতকটি ভোর তিনটে থেকে চারটের মধ্যে নিখোঁজ হয় বলে অভিযোগ। সেই সময়ে তাঁর বাবা-মা দু'জনেই ঘুমাচ্ছিলেন। শিশুটির বাবা শিবকান্ত দীক্ষিত জানান যে, একজন অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা শিশুটিকে অপহরণ করেছে। তিনি বলেন, "আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং ১৯ জুন একটি বড় অস্ত্রোপচারের পর শিশুটির জন্ম হয়। কিছু সমস্যার কারণে, হাসপাতার কর্তৃপক্ষ অন্য একটি ঘরে আমার স্ত্রীকে শিশু-সহ স্থানান্তরিত হয়েছিল। রাত দু'টো পর্যন্ত ওরা জেগে ছিল। এরপর কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়েছিল আমার স্ত্রী। যখন সে জেগে ওঠে, তখন দেখে শিশুটি নেই। সে শীঘ্রই হাসপাতালের কর্মীদের কাছে গিয়ে সব বলে, চারপাশে খোঁজ করে, কিন্তু শিশুটিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
