ক্লিক-এর 'বাড়ুজ্জে ফ্যামিলি' প্রতি সপ্তাহেই নিয়ে আসছে নতুন চমক। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই নতুন পর্বগুলোয় এন্ট্রি নিচ্ছে আরও একঝাঁক ছোটোপর্দার জনপ্রিয় তারকা। এবার তাঁদের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ পিঙ্কি ব্যানার্জি। তিনি অভিনয় করছেন একটি দারুণ মজার চরিত্রে। ছোটো ও বড়পর্দা খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেত্রী পিঙ্কি ব্যানার্জির সঙ্গে নতুন পর্বে রয়েছে জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা, জয় প্রকাশ পাল।
এটি মেগা সিরিয়ালের আদলে তৈরি মেগা সিরিজ। ইতিমধ্যেই 'বাড়ুজ্জে ফ্যামিলি' বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অগুনতি দর্শকের কাছে। প্রতি শুক্রবার দেখা যাচ্ছে হাস্য কৌতুকে ভরপুর নতুন এক একটা এপিসোড। দেখতে দেখতে প্রায় ৪০ টা এপিসোড পার করল এই মেগা সিরিজ।
গল্পের নতুন মোড়ে বাড়ুজ্জ্যে পরিবারে একটু ‘সুখ’ আর ‘শান্তি’-র আশায় আনা হয় নতুন গৃহসহায়ক সুখকে। সে রান্না জানে, আবৃত্তি করে, এমনকী প্রেমও করতে চায়! সব মিলিয়ে যেন এক বহুমুখী প্রতিভার ঝলক। প্রথমদিকে সবাই মুগ্ধ তার কাজে। কিন্তু শান্তি নামের এক মহিলা হঠাৎ এসে জানায়, তিনিও একই লোকের পাঠানো আর তিনিও এই বাড়ির কাজের জন্য যোগ্য! এরপর শুরু হয় এক অদ্ভুত দ্বৈরথ-সুখ আর শান্তির মধ্যে ঠোকাঠুকি, বাড়ির সদস্যদের বিভ্রান্তি, আর হাস্যকর ভুল বোঝাবুঝি।

 
 তখন কল্যাণী ভাবেন-এই ‘সুখ’ আর ‘শান্তি’ই যদি ঝামেলার উৎস হয়, তাহলে এদের রেখে লাভ কী?শেষে সিদ্ধান্ত নিতে হয় একজন থাকবে, আরেকজন যাবে। কিন্তু সুখ আর শান্তি কি এত সহজে বিদায় নেবে? এটি একটি দুর্দান্ত হাসির পর্ব, যেখানে ‘সুখ’-এর খোঁজে বাড়ি হয়ে ওঠে আরও অশান্ত।
এই মেগা সিরিজের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন রোহিত মুখার্জি, সুদীপা বসু, দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জ্যাক, স্বেতা তিওয়ারি, স্বর্ণ শেখর জোয়ারদার ও  প্রেক্ষা সাহা। প্রযোজনায় শান্তনু চ্যাটার্জি ও ফিল্মস অ্যান্ড ফ্রেমস।পরিচালনার দায়িত্বে সুমাল্য ভট্টাচার্য। কাহিনী ও সংলাপ সঞ্জয় ভট্টাচার্য ও ক্যামেরার দায়িত্বে 
 
 সুব্রত মল্লিক। সম্পাদক কৌস্তভ সরকার। 
আরও পড়ুন: অহনার কোল আলো করে আসছে কন্যা সন্তান অহনা? সমাজমাধ্যমে কোন ইঙ্গিত দিলেন অভিনেত্রী?
 
 সৌমাল্য ভট্টাচার্য বলেন, "খোস মেজাজের হাসির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রতি সপ্তাহে প্রস্তুত নতুন চমকদার কন্টেন্ট। এই ধারাবাহিকতা গত কয়েক মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ধরে রাখতে পেরেছি বলেই, দর্শকদের এত স্নেহ ভালবাসা পেয়েছি আমরা। আমরা আপ্লুত ও দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ। 
 
 এই মেগা সিরিজটি কলকাতার মধ্যবিত্ত বাড়ুজ্জ্যে পরিবারকে কেন্দ্র করে। এই পরিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনে দুটি পাশাপাশি ঘরে বসবাস করেন। প্রতিটি এপিসোড মজার ছলে পরিবারের সদস্যদের দৈনন্দিন সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যাগুলি তুলে ধরে। এই গল্পে বিধান এবং কল্যাণী বারুজ্জ্যে, ৩৪ বছরের বিবাহিত দম্পতি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় ভক্ত কল্যাণী। শান্ত কিন্তু গম্ভীর, পরিবারের কর্ত্রী, যেখানে উল্টোদিকে তার স্বামী বিধান, কমার্শিয়াল ছবির ভক্ত, মুখে কোনও লাগাম নেই, এবং ততোধিক কিপটে। 
তাদের বড়ছেলে অরুণ কর্পোরেট জগতে কাজ করে এবং পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে বিচক্ষণ। তার স্ত্রী, সিমরন, একটি গোঁড়া পাঞ্জাবি পরিবার থেকে এই বাড়ুজ্জে বাড়িতে প্রেম করে বিয়ে হয়ে এসেছে এবং তার সাংস্কৃতিক পার্থক্যগুলো কল্যাণীর সাথে প্রায় প্রতিদিন শাশুড়ি বনাম বউমার কাহিনি তৈরি করে। তাদের দশ বছরের মেয়ে গুরকিরণ, একজন ভ্লগার, যাকে সবাই ভালবাসে, যদিও কল্যাণী তার পাঞ্জাবি নামটা বিশেষ পছন্দ করেন না।
সবশেষে রয়েছে ছোট ছেলে বরুণ, বা ব্যারি, যে আবার কল্যাণীর সবচেয়ে প্রিয়। এবং সে নিজেকে একজন র্যাপার বলে মনে করলেও পরিবারের বাকিরা তা মনে করেনা এবং র্যাপ ছাড়া আর কিছু সে করে উঠতেও পারেনা। বাড়ুজ্জে পরিবার যাবতীয় কর্মকান্ড এই কজন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে। প্রতিটি এপিসোড একটি নতুন সমস্যার সাথে শুরু হয় এবং শেষে তা সমাধান হয়, যা দর্শকের জন্য প্রতি সপ্তাহে নতুন এবং মজাদার গল্প উপস্থাপন করে।
নতুন পর্বে পিঙ্কি ব্যানার্জির উপস্থিতি আরও মজাদার করে তুলবে এই মেগা সিরিজকে। অভিনেত্রীর কথায়, "ক্লিকের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় প্রজেক্ট। প্রথমটা ছিল 'রূপকথার রেডিও,' যেটা আজও রূপকথার মতোই লাগে। আর দ্বিতীয় হল এই সিরিজটি। যাকে ছাড়া সুখ, দুঃখ পায়
 
 আর যাকে সব শেষে খোঁজে সব্বাই! আমি হলাম দ্যা গ্রেট শান্তি। যাকে পেলে ভ্রান্তি, আর পেলে অশান্তি। আমি এখানে খুব মজার এক পরিচারিকার চরিত্র করেছি যে কানে কম শোনে, আর সেই সূত্রেই দম ফাটানো হাসির সব পরিস্থিতি তৈরী হয়!"
