আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে ভারতের হেডস্যর হতে চলেছেন খালিদ জামিলই। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের টেকিনিক্যাল কমিটির সমর্থন রয়েছে তাঁর দিকেই।
এআইএফএফ-এর প্রস্তাব যদি খালিদ জামিলের মন মতো হয়, তাহলে তাঁর হাতেই উঠবে ভারতীয় হেড কোচের রিমোট কন্ট্রোল। সেক্ষেত্রে সুখবিন্দর সিংয়ের পরে প্রথম কোনও ভারতীয় কোচ ব্লু টাইগারদের হেডস্যর হবেন।
মানোলো মার্কেজ ভারতীয় দলের হেড কোচের পদ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে তা শূন্যই রয়েই গিয়েছে। দেশে বিদেশের নামী দামি কোচরা তাঁদের জীবনপঞ্জী পাঠিয়েছেন। ১৭০ জন ভারতের হেড কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরিজ থেকেই ছিটকে গেলেন পন্থ? কী বলছে স্ক্যান রিপোর্ট জানুন
অনেকেই বলছেন, এই সংখ্যাটা গতবারের থেকে অনেকটাই কম। সুখবিন্দর সিংয়ের পরে আরও দুই ভারতীয় অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১১ সালে বব হাউটনকে সরিয়ে দেওয়ার পরে আর্মান্দো কোলাসো ও সাভিও মেদেইরা ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন।

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের জাতীয় দলের ডিরেক্টর সুব্রত পাল বলেন, ''অনেক জীবনপঞ্জী জমা পড়েছে। সেগুলো স্ক্রুটিনি করে দেখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে থেকে একজিকিউটিভ কমিটির কাছে তিন জনের নাম পাঠিয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি।''
যে তিনজনের নাম পাঠানো হয়েছে, তাঁদের দক্ষতা সম্পর্কে অবগত সবাই। জাতীয় দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা তাঁদের রয়েছে।
এই তিন জন কারা? খালিদ জামিল ছাড়াও রয়েছেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন ও স্লোভাকিয়া ও কিরঘিজস্তানের প্রাক্তন কোচ স্টেফান তারকোভিচ।
কনস্ট্যানটাইন আগে দু' বার জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। ভারতীয় দলের নাড়িনক্ষত্র তাঁর জানা। তৃতীয় বার কোচ হওয়ার জন্য তিনি জীবনপঞ্জী পাঠিয়েছেন।
তবে পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে খালিদের দিকেই পাল্লা ভারী। সুব্রত পাল জানান, প্রতিটি কোচেরই দক্ষতা রয়েছে। খালিদ জামিল আই লিগে নিজের দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ২০১৭ সালে আইজলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন খালিদ। আইএসএলেও খালিদ জামিল দুরন্ত পারফরম্যান্স তুলে ধরেন। নর্থ ইস্ট ও জামশেদপুরকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। এবার পারিশ্রমিক নিয়ে কোচদের সঙ্গে কথা বলবে এআইএফএফ।

সূত্রের খবর, খালিদের পাশাপাশি কনস্ট্যানটাইনের প্রতিও সমর্থন রয়েছে টেকনিক্যাল কমিটির। গতবার আরও বেশি জীবনপঞ্জী জমা পড়েছিল। সংখ্যাটা প্রায় ২৯১। এবার তুলনায় অনেক কম বায়োডেটা জমা পড়েছে।
এবার লিভারপুলের প্রাক্তন কিংবদন্তি রবি ফাওলার দরখাস্ত জমা দেন ভারতের হেড কোচ হওয়ার জন্য। অতীতে ইস্টবেঙ্গলের কোচ ছিলেন। তাঁর কোচিংয়ে আইএসএলে খেলেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। আশানুরূপ ফল করতে পারেনি লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাব।
তালিকায় ছিলেন হ্যারি কিওয়েল, ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব ১৭ দলের কোচ কাইও জানারদি, বার্সেলোনার রিজার্ভ দলের ম্যানেজার জর্ডি ভিনিয়ালস। গত তিন বছর চাইনিজ সুপার লিগের ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন তিনি। এবার ভারতের হেড কোচ পদের জন্য আবেদন করেন।

জাতীয় দলের নতুন কোচের সামনে অগ্নিপরীক্ষা। ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপের জন্য পাসপোর্ট জোগাড় করাই নতুন কোচের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এএফসি এশিয়ান কাপের প্রথম দুটো ম্যাচে ভারতীয় ফুটবল দল আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ভাবে খেলা শেষ করেছে ভারত। হংকং-য়ের কাছে হার মেনেছেন সুনীল ছেত্রীরা। সেই সময়ে ভারতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন মানোলো মার্কেজ।
এখনও চারটি ম্যাচ বাকি রয়েছে ভারতের। সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে দুটি, বাংলাদেশ ও হংকংয়ের বিরুদ্ধে একটি করে ম্যাচ রয়েছে। গ্রুপ সেরা দলটিই সৌদি আরবে খেলার ছাড়পত্র পাবে এএফসি এশিয়ান কাপে। বাকি চারটি ম্যাচই এখন জিততে হবে ভারতকে।
আরও পড়ুন: করুণকে নিয়ে প্রশ্ন, তিন নম্বরে এই তারকাকে চাইছেন অশ্বিন
