আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিজের ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন প্রৌঢ়। সারাদিন পরিশ্রমের পর বেজায় ক্লান্ত ছিলেন। রোদ, বৃষ্টির মধ্যেই জমিতে কাজ। বাড়ি ফিরে খেয়েদেয়েই নাক ডেকে ঘুম। মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। হাতে সামান্য জ্বালা করছিল। আলতো করে চোখ খুলেই দেখেন, সাপে ছোবল মেরেছে তাঁকে!
সাধারণত এই ঘটনার পরেই ভয়ে আঁতকে ওঠেন আমজনতা। কেউ কেউ চিৎকার করে বাড়ির সদস্যদের ডাকেন। কেউ বা মূর্ছা যান। কিন্তু এখানে ঘটল ঠিক উল্টোটা। সাপের সাহস দেখে রাগে রীতিমতো ফুঁসতে থাকেন কৃষক। এরপরই এক হাতে সাপটিকে খপ করে ধরে ফেলেন। পাল্টা কামড়েও দেন।
বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেন। সাপকে পাল্টা কামড়ে দেওয়ার ঘটনা অতীতেও জানা গিয়েছিল। কিন্তু এই কৃষক জ্যান্ত সাপটিকে একেবারে চিবিয়ে খেয়েছেন। পরিবারে জানাজানি হতেই সকলের মাথায় হাত পড়ে যায়। তড়িঘড়ি কৃষককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পেশায় কৃষক ওই প্রৌঢ়ের নাম, মতবদল যাদব। সাইওহাত গ্রামে চাষবাস করেন ৫৫ বছরের এই প্রৌঢ়। দিন কয়েক আগেই নিজের বাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। বিছানায় একাই ছিলেন পরিবারের বাকি সদস্যরা ছিলেন অন্য ঘরে।
ঘুমের মধ্যে মতবদল টের পান, তাঁর হাতের উপর দিয়ে কিছু একটা সরে গেল। হালকা জ্বালাও করছিল হাতে। ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পান, বিছানায় একটি সাপ। সেটিই ঘুমের মধ্যে তাঁকে ছোবল মারে। সাপের সাহস দেখে রেগে আগুন হয়ে যান। ঘরে আলো জ্বেলে, সাপের উপর রাগ উগড়ে দেন।
সাপটিকে এক হাতে ধরেই কামড়ে দেন মতবদল। এরপর জ্যান্ত সাপটিকে চিবিয়ে চিবিয়ে গিলে ফেলেন। মাঝ রাতে তাঁর গলার আওয়াজ পেয়েই পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন। এরপর সমস্ত ঘটনা সদস্যদের কাছে ফাঁস করেন তিনি। শুনেই আঁতকে ওঠেন সকলে। তড়িঘড়ি করে মতবদলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মতবদল। তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বর্ষায় গ্রামে সাপের উপদ্রব বাড়ে। সকলেই কমবেশি নাজেহাল। কিন্তু জ্যান্ত সাপ চিবিয়ে খাওয়ার ঘটনা এই প্রথম তাঁদের গ্রামে ঘটল। ঘটনায় চমকে গেছেন স্থানীয়রাও।
প্রসঙ্গত, গত বছর খেলার ছলে একটি সাপকে কামড়ে দুই টুকরো করে দিয়েছিল এক খুদে। ছাদে বসে খেলাধুলা করছিল শিশুটি। আচমকাই কালো রঙের সাপের বাচ্চা এসে পড়ে তার সামনে। কিন্তু খুদের ধারণা ছিল, সাপটিও বোধহয় কোনও খেলনা। সমস্ত খেলনা ছেড়ে আচমকাই সাপটি ধরে, তারপর কামড়ে দেয়। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বিহারের গয়া জেলায়।
ঘটনাটি ঘটেছিল গয়া জেলায় জামুহার গ্রামে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি যখন ঘটে সেই সময় বাড়ির ছাদে খুদে একাই ছিল। তার মা ছিলেন নীচে। আচমকাই ছাদে উঠে এসে দেখতে পান, খুদের পাশেই সাপের দুই টুকরো দেহ। তড়িঘড়ি করে শিশুটিকে বাড়ির কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেনন, শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সাপটিকে কামড়ালেও তার কোনও ক্ষতি হয়নি। সাপটি বিষধর ছিল না। তাই শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়।
