আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরও একবার যেন যুদ্ধ পরিস্থিতি। আরও একবার মধ্য প্রাচ্যের দেশের উপর হামলা ইজরায়েলের। আইডিএফ স্বীকার করে নিয়েছে হামলার বিষয়টি। হামলার সময়ের এবং পরবর্তী বেশকিছু মুহূর্তের ভিডিও সামনে এসেছে ইতিমধ্যে। ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শব্দে, পরিস্থিতিতে চমকে উঠছেন মানুষ। কী দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিওতে? ছড়য়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একজন সংবাদ উপস্থাপিকা তখন খবর পড়ছিলেন স্টুডিওতে। হামলার বিকট শব্দে প্রাণ বাঁচাতে তিনি ছুটে পালাচ্ছেন প্রাণ বাঁচাতে।
ভিডিওতে সাফ দেখা গিয়েছে, উপস্থাপিকা খবর পড়ছিলেন। দেশবাসীর সামনে তুলে ধরছিলেন ইজরায়েলের হামলার খবর। ঠিক সেই সময়েই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে নিকটবর্তী স্থানে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উপস্থাপিকার ঠিক পিছনে থাকা কাঁচের দেওয়ালের বাইরে বিরাট শব্দ। আতঙ্কে মুহূর্তে খবর পাঠের মাঝেই চেয়ার ছেড়ে চলে যান তিনি দৌরে। আতঙ্ক-ভয় মুহূর্তে ফুটে উঠে তাঁর চোখে মুখে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিজেও সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরও বড় হামলার।
⭕️The IDF struck the entrance of the Syrian regime's military headquarters in the area of Damascus in Syria.
— Israel Defense Forces (@IDF)
The IDF continues to monitor developments and the regime's actions against Druze civilians in southern Syria. In accordance with directives from the political echelon,… pic.twitter.com/WSyBFrCiogTweet by @IDF
আরও পড়ুন: এই জুলাইয়েও উত্তাল বাংলাদেশ, মুজিব-হাসিনার গোপালগঞ্জে বুলেট-গুলি-মৃত্যুমিছিল, জারি কার্ফু!
ইজরায়েলের এই হামলার পর কী বলছে আমেরিকা? নজর ছিল সেদিকেও। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন ইজরায়েলের সিরিয়ার উপর বুধবারের হামলার পর উদ্বিগ্ন মার্কিন মুলুক। মার্কো রুবিওর বিবৃতির কিছুক্ষণ পরেই, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুইদাতে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং দ্রুজ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলা লড়াইয়ের অবসান ঘটাতে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছনো গিয়েছে। যদিও এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানা যায়নি কিছু।
ইজরায়েল ফের হামলা চালিয়েছে সিরিয়ার উপর। দক্ষিণ সিরিয়ায় সুন্নি ইসলামপন্থী বেদুইন সশস্ত্র বাহিনী এবং দ্রুজ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জনবসতিতে রবিবার রাত থেকেই সংঘর্ষ পরিস্থিতি। তার মাঝেই সুন্নি ইসলামপন্থী জঙ্গিবাহিনীর উপর সোমবার বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। এর আগেও সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। হামলার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল দ্রুজদের রক্ষা করার জন্যই এই হামলা। তার মাসখানেকের মাথায় ফের সিরিয়ায় হামলা ইজরায়েলের।
⭕️The IDF struck the entrance of the Syrian regime's military headquarters in the area of Damascus in Syria.
— Israel Defense Forces (@IDF)
The IDF continues to monitor developments and the regime's actions against Druze civilians in southern Syria. In accordance with directives from the political echelon,… pic.twitter.com/WSyBFrCiogTweet by @IDF
সোমবারের পর, ফের হামলা চালাল বুধবার। আইডিএফ অর্থাৎ ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সিরিয়ার দামেস্ক এলাকায় সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সামরিক সদর দপ্তরের প্রবেশপথে আইডিএফ হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, আইডিএফ দক্ষিণ সিরিয়ায় ড্রুজ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ এবং উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। রাজনৈতিক মহলের নির্দেশ অনুসারে, আইডিএফ এলাকায় হামলা চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।একাধিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দামাস্কাসে সিরিয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।

এর আগে, ১২ দিন ধরে ইরানের উপর হামলা চালায় ইজরেয়ায়েল। পালটা দিয়েছে ইরানও। ইরানের পারমাণবিক, ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক ঘাঁটিতে ইজরায়েলের হামলার ফলে পশ্চিম এশিয়ায় এক ধাক্কায় ব্যাপক হারে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝে ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল আমেরিকাও। ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে আমেরিকার সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন খোদ ট্রাম্প। হামলার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, ফোরদোতে বোমা নিক্ষেপ করে নিরাপদে আমেরিকায় ফিরছে মার্কিন বিমান। সোজা পরমানূ কেন্দ্রে হামলার নিন্দায় সরব হয়েছিল অনেক দেশ। আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জও। যদিও পরে জানা যায়, আমেরিকার হামলার কারণে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি থেকে কোনও তেজস্ত্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না।
