আজকাল ওয়েবডেস্ক: লর্ডসে ভারতের হার নিয়ে কাঁটাছেড়া চলছে। অনেকেই মনে করছেন, প্রথম ইনিংসে ঋষভ পন্থের আউট পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ম্যাচ শেষে তেমন জানান শুভমন গিলও। আগের দিন প্রাক্তন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানেও একই মত পোষণ করেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিলেন মহম্মদ কাইফ। হারের জন্য ভারত অধিনায়কের আচরণকে দায়ী করেন প্রাক্তনী। শুনে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। সোশ্যাল মিডিয়ায় চমকে দেওয়ার মতো মন্তব্য করেন কাইফ। দাবি করেন, জ্যাক ক্রলির সঙ্গে গিলের ঝামেলা ইংল্যান্ডকে একপ্রকার ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। তারপরই অসাধারণ স্পেল করেন বেন স্টোকস। যা আয়োজকদের লর্ডস টেস্ট জিততে সাহায্য করে। তৃতীয় দিনের শেষে ক্রলির বিরুদ্ধে সময় নষ্ট করার অভিযোগ করেন গিল। কথা কাটাকাটিতেও জড়ান। কিন্তু ভারতের তরুণ নেতার এই আচরণ দলকে সাহায্য করেনি। আরও বেশি আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্টোকসরা।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কাইফ লেখেন, 'জ্যাক ক্রলির সঙ্গে শুভমন গিলের লড়াই ইংল্যান্ডকে চাগিয়ে দেয়। এজবাস্টনের পর ওদের ব্যাটিং, বোলিং এবং নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এই ঘটনা স্টোকসকে উত্তেজিত করে তোলে। দারুণ স্পেল করে। আচরণ বদলানো কখনও উচিত নয়। যে আচরণ কার্যকরী হয়, সেটাই রাখা উচিত। এভাবেই গিল এটা শিখে যাবে।' সাধারণত শুভমন শান্ত স্বভাবের। ঝামেলা, বিতর্কে খুব একটা জড়ান না। তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে একটু চঞ্চল দেখায়। চিরাচরিত শান্ত স্বভাব দেখা যায়নি। ভারতের লড়াকু মনোভাবের প্রশংসা করলেও, গিলের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মাইকেল ভনও।
সিরিজে দারুণ ছন্দে রয়েছেন গিল। হেডিংলিতে শতরানের পর বার্মিংহ্যামে জোড়া সেঞ্চুরি করেন। যার ফলে ৩৩৬ রানের বড় জয় তুলে নেয় ভারত। কিন্তু লর্ডসে টেস্টে সাফল্য পাননি। ১৬ এবং ৬ রান করেন। ২২ রানে হারে ভারত। রবীন্দ্র জাদেজার লড়াই জেতাতে পারেনি। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভনও কাইফের সঙ্গে সহমত। তিনিও মনে করেন গিল-ক্রলি ঘটনা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ভারতের লর্ডস টেস্ট হার প্রসঙ্গে ভন বলেন, 'তৃতীয় দিন বিকেলের ঘটনা ইংল্যান্ডকে তাতিয়ে দেয়। শুভমন গিলকে টেকনিক্যালি শক্তপোক্ত মনে হয়নি। চতুর্থ দিন বিকেলে ব্যাট করতে নামার সময় ওর মেজাজ একটু বিগড়ে ছিল। তবে ওর দল খুব ভাল লড়াই করেছে।'
আগের দিন অজিঙ্ক রাহানেও জানান, ঋষভ পন্থের আউট পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। পরের টেস্টে আরও একজন বাড়তি বোলার খেলানোর পরামর্শ দেন রাহানে। বলেন, 'বেন স্টোকসের এক হাতে বল তুলে নন স্ট্রাইকারের দিকে ছোড়া অনবদ্য। একজন ফিল্ডারের একটু হালকাভাবে নেওয়া বা রিল্যাক্স করা স্বাভাবিক। লাঞ্চের আগে দুই, তিন বল বাকি থাকলে ফিল্ডাররা একটু রিল্যাক্সড হয়ে যায়। তবে ওর আচরণ একদম তীক্ষ্ণ ছিল। ওই মুহূর্তে রান আউট করা অনবদ্য। আমার মতে, এখানেই ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড।' ২৩ জুলাই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু তৃতীয় টেস্ট।
