আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদি নিজের জীবনকে সুস্থ এবং সচল রাখতে হয় তাহলে আপনার কাছে সবথেকে আগে দরকার নিজের ব্রেনকে সচল করা। এখানে আপনি নিজের মতো করে তাকে তৈরি করতে পারবেন না। তবে কয়েকটি খাবার যদি আপনি নিয়ম করে খেতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনার ব্রেন কাজ করবে ঝড়ের মতো।
একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে দৈনন্দির খাবারের পাশাপাশি যদি আপনি বিশেষ কয়েকটি খাবার খেতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনার ব্রেন হবে ভাল। সমস্ত কাজে বিরাট এনার্জি পাবেন। তবে সেই কাজটি করতে হলে আপনাকে সবার আগে জানতে হবে কোন খাবারটি আপনাকে এই শক্তি দেবে। তাহলেই আপনি অতি সহজে নিজেকে তৈরি করতে পারবেন। বিশেষ করে যারা বেশি করে পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত তাদের কাছে এই খাবারটি হতে পারে একেবারে অমৃতের সমান।
আখরোটকে দীর্ঘদিন ধরে মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিকারী সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, এর আকৃতিও মস্তিষ্কের মতো। এই সুস্বাদ বাদাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনে ভরপুর পুষ্টির পাওয়ার হাউস।
আপনি যদি নিয়মিত আখরোট না খেয়ে থাকেন তাহলে খাদ্যতালিকায় এটি ফিরিয়ে আনার একটি কারণ রয়েছে, বিশেষ করে সকালের নাস্তায়। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আখরোট দিয়ে দিন শুরু করলে তা স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মস্তিষ্কের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে তরুণদের ক্ষেত্রে।

রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন যে, সকালের নাস্তায় আখরোট খেলে তা সারাদিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। এই গবেষণায় ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩২ জন সুস্থ অংশগ্রহণকারী জড়িত ছিলেন। যখন এই অংশগ্রহণকারীরা আখরোট সমৃদ্ধ নাস্তা - ৫০ গ্রাম মুয়েসলি এবং দইয়ের সঙ্গে মিশ্রিত আখরোট খেয়েছিলেন, তখন তারা দিনের শেষের দিকে বাদাম-মুক্ত কিন্তু ক্যালোরিমিশ্রিত নাস্তা খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং ভালো স্মৃতিশক্তি দেখিয়েছিলেন। একদিনের ব্যবধানে তরুণদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতার ওপর আখরোটের তাৎক্ষণিক প্রভাব মূল্যায়নের জন্য এটিই প্রথম গবেষণা।
আরও পড়ুন: এই বিষের নেই কোনও দাওয়াই, প্রাণ নিতে পারে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই
অংশগ্রহণকারীরা সকালের নাস্তার পর ছয় ঘণ্টা ধরে ব্রেইন খাটাতে হয় এমন একাধিক কাজ করেছেন, অন্যদিকে গবেষকরা তাদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেছেন। ফলাফলে দেখা গেছে যে, যারা আখরোট খেয়েছেন তারা মানসিকভাবে কঠিন কাজ করার সময় স্নায়বিক দক্ষতা বৃদ্ধি করেছেন। রক্ত পরীক্ষায় গ্লুকোজ এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তনও দেখা গেছে, যা উভয়ই মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আখরোটের রয়েছে অনন্য পুষ্টি প্রোফাইল। এতে আছে ওমেগা-৩ আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড (ALA), অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পলিফেনল এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন। এই পুষ্টিগুলো মানসিক কর্মক্ষমতা এবং দীর্ঘমেয়াদী মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তবে অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়া আরও স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে যদি কেউ সারাদিনের কাজে ক্লান্ত হয়ে থাকেন তাহলে তিনিও এই খাবারটি খেতে পারেন। সেখান থেকে আপনার কাজের গতি বাড়বে। পাশাপাশি সারাদিন ধরে কাজের নতুন এনার্জি পাবেন। বাজারে গিয়ে এই খাবারটি কিনে নিয়ে এলেই সেখান থেকে আপনি ফিরে পেতে পারেন নিজের শক্তি। যদি আপনার ব্রেন ভাল থাকে তাহলে সেখান থেকে আপনি নিজের বাকি কাজুগুলি অতি সহজেই করতে পারবেন।
