আজকাল ওয়েবডেস্ক: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএল জয়ের আনন্দে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। কিন্তু সেই আনন্দ মুহূর্তে পরিণত হয় এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে। স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১১ জন সমর্থক, আহত হন আরও ৪৭ জন। তাঁদেরই একজন ছিলেন ২১ বছরের ভূমিক লক্ষ্মণ। সেই শোক এখন ছড়িয়ে পড়েছে কর্ণাটকের হাসান জেলার একটি ছোট্ট গ্রামে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ছেলের সমাধি জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ভূমিকের বাবা বি টি লক্ষ্মণ। 

তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যা হয়েছে আমার ছেলের সঙ্গে, তা আর কারওর সঙ্গে যেন না হয়। আমি কোথাও যেতে চাই না, এখানেই ছেলের সঙ্গে থাকতে চাই’। তাঁর মুখে বারবার ঘুরেফিরে আসছে সেই করুণ আর্তি-‘একজন বাবার এমন দৃশ্য যেন আর দেখতে না হয়’। জানা গিয়েছে, ভূমিক ছিলেন একজন ফাইনাল ইয়ারের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। আরসিবির ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসানে আইপিএল ট্রফি জয়ের আনন্দ ভাগ করে নিতে তিনি পৌঁছেছিলেন বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান তিনি। মারা যান আরও ১০ জন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন মাত্র ১৪ বছরের এক কিশোরীও।

ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন লক্ষ্মণ। তিনি কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন, যেন তাঁর ছেলের ময়নাতদন্ত না করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান ছিল ভূমিক। এখন তাঁকে হারালাম। তাঁর দেহ আমায় ফিরিয়ে দিন, কাটাছেঁড়া করবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বা উপ-মুখ্যমন্ত্রী এলেও আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না’। কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর বেঙ্গালুরু পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বরখাস্ত করা হয়েছে পাঁচজন পুলিশকর্মীকে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন শহরের পুলিশ কমিশনারও। শুধু তাই নয়, শুক্রবার কর্ণাটক সরকার বরখাস্ত করেছে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার রাজনৈতিক সচিব কে গোবিন্দরাজ এবং রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধানকেও।