সংবাদসংস্থা মুম্বই:

ঋদ্ধির ‘রব কথা’ 

‘জওয়ান’ আর ‘টাইগার ৩’-এর ঋদ্ধি ডোগরা জানালেন, কেরিয়ারের শুরুতেই অডিশন দিয়েছিলেন শাহরুখ খানের ‘রব নে বনা দি জোড়ি’-তে। যশরাজ ফিল্মের অডিশনের খবরে সরাসরি ফোন করেছিলেন মনীষ শর্মাকে। তিনি দিয়েছিলেন ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-র সেই বিখ্যাত দৃশ্য— “তুম শাদি কর লগি কিসিসে?”

অভিনয়ের পর ডাক পড়ে অফিসে। ঋদ্ধি ভেবেছিলেন, সুযোগ হয়নি। কিন্তু মনীষ বলেন, “তুমি দারুণ অভিনেত্রী। আদিত্যও তোমাকে পছন্দ করেছে। কিন্তু মনে রেখো— এই ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই নিজেই নিজের কেস স্টাডি।” ঋদ্ধির কথায়, “ওই মুহূর্তে আদিত্য চোপড়াকে সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেছিলাম। মনীষের বলা সেই কথা আর আদিত্য চোপড়ার হেঁটে যাওয়ার সেই দৃশ্যটা আজও আমার মাথায় গেঁথে রয়েছে।” তবে শাহরুখ-অনুষ্কার ওই ছবিতে ঠিক কোন চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন তিনি, তা অবশ্য জানাননি ঋদ্ধি।

 

রণদীপের ‘কুকরি’ 

‘জাঠ’-এর সাফল্যর পর এবার বাস্তব যুদ্ধগাথা নিয়ে ফিরছেন রণদীপ হুডা। নাম ‘অপারেশন কুকরি’—ভারতীয় সেনার এক সাহসিকতায় ভরপুর  মিশনের সত্য কাহিনি, যেখানে প্রাণ বাজি রেখে ২৩৩ জন ভারতীয় জওয়ানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন সাহসী সেনারা। ২০০০ সালের সিয়েরা লিওনের ভয়ঙ্কর জঙ্গলে, বিদ্রোহীদের হাতে আটক ছিলেন ভারতীয় শান্তিরক্ষীরা। সেই ভয়ানক ৭৫ দিনের ঘেরাটোপ ভেদ করে সেনাদের উদ্ধার করেন তৎকালীন কোম্পানি কম্যান্ডার মেজর রাজ পাল পুনিয়া। এই চরিত্রেই এবার পর্দায় রণদীপ হুডা।

‘অপারেশন কুকরি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি…’ বই থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবির প্রযোজনায় রাহুল মিত্রা ফিল্মস ও রণদীপ হুডা ফিল্মস। রণদীপ বলছেন, “এটা শুধুই যুদ্ধের গল্প নয়—এটা আত্মত্যাগ, ভ্রাতৃত্ব আর অদম্য সাহসের কাহিনি। এই মিশন ভারতীয় সেনার এমন এক অধ্যায়, যা আরও বেশি স্বীকৃতি প্রাপ্য।”

 


শ্রীদেবীকে জাহ্নবীর কান-শ্রদ্ধার্ঘ্য 

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অভিষেকেই মাত করলেন জাহ্নবী কপূর। লাল গালিচায় হাঁটার সময় তাঁর সাজে ছিল এক অনবদ্য শ্রদ্ধার ছোঁয়া—মায়ের প্রতি। প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবী-কে সম্মান জানাতে জাহ্নবী বেছে নিলেন এক রাজকীয় রোজ গোলাপি শেডের বেনারসি টিস্যু স্কার্ট-করসেট, ডিজাইন করেছেন তারুণ তাহিলিয়ানি। এই ঐতিহ্যবাহী অথচ আধুনিক সাজে ছিল বেনারসের হ্যান্ডক্রাশড টেক্সচারের কারিগরি ছোঁয়া, সঙ্গে পার্ল গয়না ও মাথা ঢাকা ঘোমটা।

 “জাহ্নবী যেন তাঁর মা শ্রীদেবীর ফ্যাশন স্টেটমেন্ট অনুসরণ করছেন”—এমন মন্তব্যে একমত হয়েছেন বহু শ্রীদেবী-অনুরাগী। কেউ লিখেছেন, “জাহ্নবীর এই সাজ নিঃসন্দেহে শ্রীদেবীকে মনে করায়।” শ্রীদেবী যেমন ক্লাসিক ভারতীয় সাজে নিজস্ব স্টাইল এনে ঝলক দেখাতেন, তেমনই কানে মেয়ের অভিষেকেও দেখা গেল সেই শিকড়-মেশানো গ্ল্যামার।

এই কানের লুকে শুধু ফ্যাশন নয়—ছিল এক কন্যার নীরব শ্রদ্ধাঞ্জলি তাঁর কিংবদন্তি মায়ের প্রতি।