আজকাল ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীর সেরা ধনকুবেরদের মধ্যে অন্যতম আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের একটি সংবাদসংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, এক সময় জেফ নাকি ইন্টারভিউতে প্রার্থীদের একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতেন- ‘আপনি কি ভাগ্যবান?’ আর তার উত্তরের উপরেই নির্ভর করত চাকরিপ্রার্থীর কোটি কোটি টাকার চাকরি হবে কি না? কিন্তু এমন প্রশ্ন কেন? আমাজন এক প্রাক্তন কর্মী অ্যান হিয়াট জানিয়েছেন, এর পিছনে বেশ কিছু কারণ ছিল।

১.  আশাবাদী ও ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ খুঁজে বের করা: যাঁরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন, তাঁরা সাধারণত বেশি আশাবাদী হন। বেজোস এমন ব্যক্তিদের খুঁজতেন যারা সাফল্যের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং ইতিবাচক মানসিকতা রাখেন। এই প্রশ্নের মাধ্যমে বেজোস আশাবাদী মানুষদের চেনার চেষ্টা করতেন।

২.  বিনয় পরীক্ষা করা: যাঁরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন, তাঁরা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নেয় যে তাঁদের জীবনের সব সাফল্য শুধুমাত্র নিজেদের কঠোর পরিশ্রম বা বুদ্ধিমত্তার জোরে আসেনি, কিছুটা ভাগ্য বা ভাল পরিস্থিতিরও অবদান আছে। এটি এক ধরনের বিনয় প্রকাশ করে। বেজোস দেখতে চাইতেন প্রার্থী তাঁর সাফল্যের জন্য শুধুমাত্র নিজেকেই কৃতিত্ব দেন, নাকি পারিপার্শ্বিক সুযোগ বা ভাগ্যের অবদানও স্বীকার করেন।

আরও পড়ুন - তিনটি জাপানি পদ্ধতি মানকেই ভুলো মন থেকে মুক্তি! কী কী করতে হবে এই তিন কৌশলে? শিখে নিন
আরও পড়ুন - ভারতের ভয়ে যৌনতা বন্ধ পাকিস্তানে! নড়তেই ভয় পাচ্ছে পাক জনতা, তালা লাগবে যৌনপল্লী হীরামান্ডিতে?

৩.  সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষমতা যাচাই: একজন ব্যক্তি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করার অর্থ এটাও হতে পারে যে তিনি জীবনে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য সচেষ্ট।

৪.  ব্যক্তিত্বের গভীরে যাওয়া: এই ধরনের একটি ব্যক্তিগত প্রশ্ন প্রার্থীর সিভি বা গতানুগতিক ইন্টারভিউয়ের উত্তরগুলোর বাইরে গিয়ে তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং চিন্তাভাবনা সম্পর্কে ধারণা দিত। বেজোস দেখতে চাইতেন প্রার্থীরা কীভাবে এই ধরনের একটি অপ্রত্যাশিত প্রশ্নের উত্তর দেন।

তবে, এটিও মনে রাখতে হবে যে শুধুমাত্র এই একটি প্রশ্নের উত্তরের উপর ভিত্তি করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো না। এটি ছিল প্রার্থীর মানসিকতা, আত্ম-সচেতনতা এবং সামগ্রিক ব্যক্তিত্ব বোঝার একটি উপায় মাত্র। বেজোসের লক্ষ্য ছিল এমন মানুষ খুঁজে বের করা যারা কেবল দক্ষই নন, বরং যাদের মানসিকতা আমাজনের উদ্ভাবনী এবং গ্রাহক-কেন্দ্রিক সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই।