আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও হামলায় উত্তাল দেশ। দিনে দিনে সামনে আসছে ঘটনার দিনের একাধিক তথ্য, ভিডিও। সপ্তাহ পেরিয়ে, থমথমে কাশ্মীর ছন্দে ফিরছে দিনে দিনে। ইতিমধ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় কাউকে রেয়াত নয়। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, পাল্টা একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান।  মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় নিজের বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দিল্লির বাসভবনে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসেছে, সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বৈঠকে উপস্থিত।  বৈঠকে উপস্থিত তিন বাহিনীর প্রধান। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েই মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। এর আগে, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেছিলেন মোদি, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই বৈঠক ছিল বলে খবর সংবাদ সংস্থা সূত্রে। 

সূত্রের খবর, মঙ্গলবারেই উচ্চ পর্যায়ের পৃথক বৈঠকে বসেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন তিনি।
 

২২ এপ্রিল, রক্তাক্ত হয় উপত্যকা। উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে ২৬জনের। তারপরেই ভারত হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের প্রতি নিজেদের কড়া অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেছে। হামলার পরেই, দেশের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, আঘাত এসেছে ভারতের আত্মার উপর, মিলবে কল্পনাতীত সাজা। বিহারে গিয়ে মোদি বলেন, ‘আমি গোটা বিশ্বকে বলতে চাই, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসীদের এবং তাদের সমর্থকদের চিহ্নিত করবে, তাদের খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের তাড়া করব। ভারতের চেতনাকে কখনও সন্ত্রাসবাদ ভেঙে ফেলতে পারবে না। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। সমগ্র জাতি এই সংকল্পে দৃঢ়। মানবতায় বিশ্বাসী সকলেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।‘