আজকাল ওয়েবডেস্ক: পড়শি দেশের সঙ্গে উত্তেজনার আবহেই রবিবার সকালে আরব সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যুদ্ধ মহড়া করল ভারতীয় নৌ বাহিনী। সফলভাবে একগুচ্ছ মিসাইল উৎক্ষেপণ-ও করা হয়েছে। এরপর নৌ-বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, এ দিনের মহড়া অত্যন্ত সফল হয়েছে। নৌ-বাহিনীর সব ধরনের যুদ্ধ জাহাজ মহড়ায় অংশ নেয়। শত্রুকে মোকাবিলায় বাহিনী যেকোনও সময়ে, যেকোনও জায়গায় প্রস্তুত।
সমুদ্রের মাঝখানে যুদ্ধজাহাজ থেকে ব্রহ্মোস জাহাজ-বিধ্বংসী এবং ভূপৃষ্ঠ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের একাধিক দৃশ্য নৌবাহিনী শেয়ার করেছে। রবিবারের মহড়ায় হাজির ছিল কলকাতা-ক্লাস ডেস্ট্রয়ার, নীলগিরি, ক্রিভক-ক্লাস ফ্রিগেটসের মতো যুদ্ধজাহাজগুলি।
ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে একটি অনলাইন পোস্টে বলা হয়েছে, "ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলি দীর্ঘপাল্লার নির্ভুল আক্রমণাত্মক আক্রমণের জন্য প্ল্যাটফর্ম, সিস্টেম এবং ক্রুদের প্রস্তুতি পুনর্বিবেচনা এবং প্রদর্শনের জন্য একাধিক জাহাজ-বিধ্বংসী গুলিবর্ষণ সফলভাবে করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনী যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।"
#IndianNavy Ships undertook successful multiple anti-ship firings to revalidate and demonstrate readiness of platforms, systems and crew for long range precision offensive strike.#IndianNavy stands #CombatReady #Credible and #FutureReady in safeguarding the nation’s maritime… pic.twitter.com/NWwSITBzKK
— SpokespersonNavy (@indiannavy)Tweet by @indiannavy
পাকিস্তান আরব সাগর অঞ্চলে গুলিবর্ষণের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই এই গুলিবর্ষণ শুরু হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে আসা ২৫ জন পর্যটক ও একজন স্থানীয় বাসিন্দার হত্যাকাণ্ডের পর ভারত, পাকিস্তানিদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে।
পাকিস্তানও, ভারতের সঙ্গে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও স্থগিত করেছে। ভারতীয় সেনাদের উত্তেজিত করার জন্য নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর মতে, ভারতীয় পক্ষ কার্যকরভাবে প্রতিশোধ নিয়েছে। গুলি বিনিময়ে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড ছিল সবচেয়ে মারাত্মক জঙ্গি হামলা।
পৃথিবীর শেষ প্রান্তে সন্ত্রাসবাদীদের তাড়া করে ন্য়ায়বিচার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার সকালে তিনি বলেছেন যে, "জঙ্গি হামলার পর প্রতিটি ভারতীয়ের রক্ত ফুটছে। তাঁদের প্রত্যেকেই সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিজেদের আত্মায়ী হারিয়ে যাওয়াদের বেদনা অনুভব করছেন। কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর ও দেশের শত্রুদের এটা পছন্দ হয়নি।"
