আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কারাবন্দি ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবকে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (ICJ) রায়ের পর কনসুলার অ্যাক্সেস দেওয়া হলেও, উচ্চ আদালতে আপিলের অধিকার দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডন।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আইনজীবী এই মন্তব্য করেন। ২০২৩ সালের ৯ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে হিংসার অভিযোগে সামরিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত পাকিস্তানি নাগরিকদের মামলার শুনানিতে আদালত জানতে চায়, যাদবকে যে আইনি সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা অন্যদের কেন দেওয়া হয়নি।

আইনজীবী জানান, ভিয়েনা কনভেনশনের ৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের কারণে পাকিস্তান দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল এবং আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুযায়ী পাকিস্তানের আইন সংশোধন করে সামরিক আদালতের আদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ রাখা হয়।

২০১৬ সালের মার্চে বেলুচিস্তানে যাদবকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান, এবং ২০১৭ সালে সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পাকিস্তানের দাবি, যাদব ভারতের র-এর এজেন্ট এবং বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, যাদব ইরানে ব্যবসায়িক সফরে ছিলেন এবং সেখান থেকেই অপহৃত হন।

আন্তর্জাতিক আদালত পাকিস্তানকে কনসুলার অ্যাক্সেস না দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে এবং যাদবকে ন্যায্য বিচার দেওয়ার নির্দেশ দেয়, যা ভারতের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়।