আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডায়াবেটিস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’ এখন ঘরে ঘরে। অথচ খাওয়াদাওয়ায় সামান্য বদল আনলেই অনেকাংশে রেহাই পাওয়া যায় এই রোগগুলি থেকে। দু’টি সমস্যা দূর করতেই অব্যর্থ ওষুধ হতে পারে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ফাইবার জল শোষণ করে মল নরম করে এবং মলের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় ও অন্ত্র সুস্থ থাকে। ফাইবার রক্তে শর্করার শোষণের গতি কমিয়ে দেয়, ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় না, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, ফাইবার রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। সার্বিকভাবে, খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত ফাইবার রাখলে তা দীর্ঘমেয়াদী সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি কমায়। কিন্তু পর্যাপ্ত ফাইবার পাবেন কীভাবে? কোন কোন খাবার থেকে ফাইবার পাওয়া যায়?
১. ওটস: ওটস একটি চমৎকার শস্য যা দ্রবণীয় ফাইবারে ভরপুর। এটি কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। সকালের জলখাবার হিসাবে ওটস খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর।
২. ডাল: বিভিন্ন ধরনের ডাল যেমন মুসুর ডাল, মুগ ডাল, অড়হর ডাল ইত্যাদি ফাইবার এবং প্রোটিনের খুব ভাল উৎস। ডালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজও থাকে যা হজমক্ষমতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩. ব্রকলি: ব্রকলি একটি পুষ্টিকর সবজি যা ফাইবার, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে-তে ঠাসা। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. আপেল: যাঁরা সবজি খেতে পছন্দ করেন না তাঁরা আপেল খেতে পারেন নিয়মিত। এতে পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। যা হজম প্রক্রিয়াকে ভাল রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আপেল ভিটামিন ও খনিজ পদার্থেরও ভাল উৎস। তবে ডায়াবেটিস থাকলে আপেল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. বাদাম: বাদাম এবং অন্যান্য শুকনো ফল যেমন কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট ইত্যাদি ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিনের খুব ভাল উৎস। ক্ষুধা কমাতে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তবে বাদাম পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়তো কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে।
