আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৫০ টনের ট্যাঙ্ক, বিভিন্ন লজিস্টিকসের গাড়ি বহনের জন্য ২১২টি ট্যাঙ্ক ট্রান্সপোর্টার ট্রেলার কেনার উদ্দেশ্যে নয়া চুক্তি করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার তরফে ২২৩.৯৫ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে বেঙ্গালুরুর সংস্থা অ্যাক্সিসকেডস অ্যারোস্পেস অ্যান্ড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে। আগস্ট মাসের প্রথম দিনে বেঙ্গালুরুর সংস্থা এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ‘Buy (Indian-IDDM)’ ক্যাটাগরির অধীনে। জানা গিয়েছে, এটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নতুন ট্রান্সপোর্টার ট্রেলারগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত। প্রতিটি ট্রেলারে থাকছে হাইড্রলিক ও নিউমেটিক লোডিং ব়্যাম্প এবং স্টিয়ারেবল ও লিফটেবল অ্যাক্সেল।

যে কোনও ধরনের এলাকায় এই ট্রেলার সম্পূর্ণভাবে কার্যকরী। পাহাড় থেকে সমতল যে কোনও এলাকায় ৫০ টনের বিশাল ট্যাঙ্ক অনায়াসেই বইতে পারবে এই ট্রেলার। ফলে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষে আরও সহজ হয়ে উঠবে গোটা প্রক্রিয়া। এই চুক্তির ফলে দেশের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। যার ফলে, দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শিল্পকে আরও মজবুত করা যাবে। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, অপারেশনের সময় সরঞ্জাম ও যানবাহন দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ট্রেলারগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা রসদ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও কার্যকর করে তুলবে।

সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের প্রতিরক্ষা চাহিদার জন্য দেশীয় শিল্পকে উৎসাহ দেওয়া এবং বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে ঘরোয়া উৎপাদন বাড়ানোই হল আত্মনির্ভর ভারতের মূল লক্ষ্য। এই নতুন চুক্তি সেই দিশাতেই আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার আখাল জঙ্গলে ফের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিকেশ হল এক সন্ত্রাসবাদী। জানা গিয়েছে, এই অপারেশনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে এক জঙ্গি। পাশাপাশি, আরও দু’জনকে এখনও ঘেরাও করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনার চিনার কর্পস। শুক্রবার রাতে এই অভিযান চালিয়ে নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন আখাল’।

জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গি এবং যাদের ঘেরাও করে রাখা হয়েছে সেই সন্ত্রাসবাদীরা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পর এই সংগঠনই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল। জানা গিয়েছে, অপারেশন আখালে ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান শুরু করা হলে, সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালায়, যার পরেই জঙ্গলের ভিতর গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা সম্ভবত শ্রীনগরের কাছে ডাচিগাম ন্যাশনাল পার্কের ভিতর লুকিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।