আজকাল ওয়েবডেস্ক: খেলতে খেলতে বাড়ির পিছনের সেপটিক ট্যাঙ্কের পাশেই নতুন খোঁড়া গর্তে পড়ে গেল তিন শিশু। এর মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্য এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিসগঢ়ের রায়পুরে। মৃত শিশুটির নাম দিব্যাংশ কুমার (৭)।
পরিবারের অভিযোগ, যাঁরা গর্তটি খনন করেছিলেন, তাঁরাই গর্তটি ঢেকে রাখেনি। শুধু তা-ই নয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সময় মতো ময়নাতদন্ত না করার অভিযোগ এনেছে পরিবারটি। তাড়াহুড়ো করে শিশুটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। রায়পুর পশ্চিমের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক বিকাশ উপাধ্যায়ও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁর দাবি, ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
দিব্যাংশুর বাবা দীপক কুমার বলেন, "বাড়ির পিছনে একটি গর্ত ছিল যেখানে কোনও বেড়া দেওয়া ছিল না। ছোট বাচ্চারা সেখানে গিয়ে পিছলে জলে পড়ে যায়। এই গর্তটির কারণে আমার সন্তান প্রাণ হারিয়েছে। আমার একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে আছে। শিশুটি আমার বৃদ্ধ বয়সের ভরসা ছিল। আজ সে তার জীবন হারিয়েছে, যার কারণে আমরা প্রতিবাদ করছি।"
প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক বিকাশ উপাধ্যায় বলেন, "জেলা প্রশাসন এবং কর্পোরেশন অবহেলার কারণে ৭ বছরের একটি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। কলোনির চার থেকে পাঁচটি জায়গায় গর্ত খনন করা হয়েছে। খেলার সময় তিনটি শিশু এই গর্তের মধ্যে একটিতে পড়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে, শিশুদের তাৎক্ষণিকভাবে জল থেকে বার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে যাওয়ার সময় একজন শিশু মারা যায়, আর একজন শিশু গুরুতর, একজন শিশুর অবস্থা এখন স্বাভাবিক।"
তিনি আরও বলেন, "প্রশাসন শিশুটির ময়নাতদন্ত করে সকালে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং শেষকৃত্যও তাড়াহুড়ো করে সম্পন্ন হয়। শিশুটির পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। একটি শিশুর জীবনের মূল্য কি মাত্র ৪ লক্ষ টাকা? কংগ্রেস দলও কলোনির বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতিবাদ করছে। আমরা ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। আমাদের দাবি, শিশুটির বাবা-মাকে কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।"
