শনিবার ১৮ অক্টোবর ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
AD | ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২ : ৪৮Abhijit Das
বুড়োশিব দাশগুপ্ত
শুরুর সময়ে যতটা জনপ্রিয়তা ছিল, বিশ্বায়ন বিষয়টি নিয়ে ইদানিং ততটা আগ্রহ দুনিয়ার নেই। সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'MAGA (Make America Great Again)' প্রকল্প শুরু করে বিশ্বায়নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন বলা চলে। এই প্রকল্প বিশ্বায়নের নীতিবিরোধী একটি প্রকল্প বলা চলে। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণা একদিকে তাঁর মহান আমেরিকা গড়ার আদর্শের পথে একধাপ আগুয়ান হওয়া যেমন, তেমনই উল্টো দিকে বিশ্বায়নের দুনিয়ার উল্টো স্রোতে সাঁতার কাটাও।
এই খোলা বাজারের বাণিজ্যের ইতিহাস দীর্ঘ। অতীতে, ১৯৪৭ সালে ২৩টি দেশ মিলে জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড (জিএটিটি) স্বাক্ষর করেছিল। বিশ্ববাণিজ্যের পথ সুগম করতে ও বিভিন্ন শুল্ক ও লেভিতে ছাড় দিয়ে বিশ্ববাজারকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এই সংগঠন কাজ করবে বলে কথা ছিল। এর প্রায় ৫০ বছর বাদে, ১৯৯৫ সালে তৈরি হয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। সবটাই খোলা বাজারের অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে। কাজেকর্মে ট্রাম্প এতদিনে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রসংঘের কাজকর্ম বা পরামর্শের তোয়াক্কা করেন না। করোনাকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়েছিলেন। এ বার, নতুন শুল্ক নীতি চাপিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকেও কার্যত পাশ কাটিয়ে দিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বর্তমান শুল্ক নীতি অনুসারে, সমস্ত আমদানিকৃত দ্রব্যের উপরেই সাধারণ ১০ শতাংশ কর থাকবে। ছোট-বড় কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হবে না। তবে ট্রাম্প সরকার সবচেয়ে বেশি শুল্ক চাপিয়েছে চীনের উপর, ৫৪ শতাংশ। তারপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, ভারত ২৬ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ। তবে তালিকা থেকে বাদ রয়েছে কানাডা, মেক্সিকো, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, কিউবা ও বেলারুশ। প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডার থেকে আমাদানির উপর আগে থেকেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, কিউবা ও বেলারুশের সঙ্গে আমেরিকার বিশেষ কোনও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে।
সম্ভবত ট্রাম্পের ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই। বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে GATT এবং পরে WTO, এর সবচেয়ে বড় উপকারভোগী দেশ ছিল আমেরিকাই। ট্রাম্পের এই প্রতিশোধস্পৃহা থেকে উদ্ভুত শুল্ক আরোপের তাৎক্ষণিক কারণ ছিল ২০২৪ সালে আমেরিকার ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি। এই ঘাটতির জন্য ট্রাম্প দায়ী করেছেন বাণিজ্যরত দেশগুলোকেই। তারা “এই সুন্দর আমেরিকাকে লুঠ, ধর্ষণ ও ধ্বংস করছে” বলে তাদের শাস্তি দেওয়া দরকার, বলছেন ট্রাম্প। আর তাঁর হাত ধরে জাতীয়তাবাদ এখন তুঙ্গে।
এই মার্কিন সংরক্ষণবাদী নীতির প্রতিক্রিয়া এসেছে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। চীন সমস্ত আমেরিকান রপ্তানির ওপর ৩৪% শুল্ক আরোপ করেছে। জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হুঁশিয়ারি দিয়েছে কড়া পদক্ষেপের। বিশ্বের শেয়ার বাজারগুলোয় ধস নেমেছে। আমেরিকার মধ্যেই মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প নির্লিপ্ত। তিনি বলেছেন, তিনি শেয়ার বাজারের ওঠানামায় বিশ্বাস করেন না। আর মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য স্বল্পমেয়াদী কষ্ট’ সহ্য করার ক্ষমতা আছে দেশের।
ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, আমেরিকার ভিতরে উৎপাদন খাতে দেওয়া ছাড় কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম দফায় সেটি হয়নি। উৎপাদন বাড়েনি, চাকরির সংখ্যাও নয়। প্রথম দফায় যখন ট্রাম্প স্টিলের উপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তখন স্টিল খাতে কর্মসংস্থান কিছুটা বাড়লেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে শুল্কজনিত দামবৃদ্ধির ফলে কর্মসংস্থান অনেক বেশি কমে গিয়েছিল। সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল, যেমনটা এবার অনেক বড় পরিসরে হবে এই পারস্পরিক শুল্কের ফলে।
ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির ‘বিশেষ বন্ধুত্ব’ও ভারতকে এই শুল্ক থেকে রেহাই দিতে পারেনি। আশ্চর্যজনকভাবে ভারত এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বেশ চুপচাপ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা চীনের মতো প্রকাশ্যে মার্কিন সমালোচনায় নামেনি ভারত। বরং শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডের মতো ছোট দেশগুলোর সঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক ক্ষেত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বিশাল বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের বিকল্প হতে পারে না। সাম্প্রতিককালে ভারত আমেরিকা থেকে আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করছে, রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে। আমেরিকার সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির অপেক্ষায় ছিল ভারত, যাতে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করা যায়। কিন্তু একপক্ষের ছোট্ট ভুলও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে এই সদ্য অর্জিত আস্থা ভারত হারাতে পারে না—যা ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে সবচেয়ে খারাপ ছিল, এবং পরে মনমোহন সিংয়ের পরমাণু চুক্তির সময় থেকে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছিল।
কিন্তু ট্রাম্পের শাসনের আগামী চার বছর বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বজায় রাখবে। তাঁর অনিশ্চিত নীতি গোটা বিশ্বে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। খুব সম্ভবত বিশ্ব বাণিজ্য ভেঙে ছোট ছোট বাণিজ্যিক গোষ্ঠীতে পরিণত হবে, যা আগে ছিল বিশ্বায়ণের এক ধরনের ঐক্যবদ্ধ রূপ। অথচ বিশ্বায়নের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিল আবার আমেরিকাই। এখন বিশ্ব হাঁটবে ‘সংরক্ষণবাদ’-এর পথে।

নানান খবর

পাক গোলায় নিহত আফগান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তারকা, ভেঙে পড়েছে কাবুল

পাকিস্তানের প্রতিটি ইঞ্চি জমি এখন ব্রহ্মোসের রেঞ্জের মধ্যে, লখনউয়ে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচ উদ্বোধন করে হুঙ্কার রাজনাথের

পরিবেশের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে তরুণ সমাজের মানসিক স্বাস্থ্য, অশনি বার্তা দিলেন গবেষকরা

১,৪০০ বার ফাঁসি দেওয়া হবে শেখ হাসিনাকে? রুদ্ধশ্বাস বিচার প্রক্রিয়ায় কাঁপছে বাংলাদেশ!

শাহরুখের প্রতি বেজায় বিরক্ত আমির খান! দিলীপকে কত টাকা বেতন দেন ফারহা?

পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে কার্শিয়াংয়ে খাদে পড়ল গাড়ি, মৃত ২, আহত ৩ যুবক

দেখেছেন ভাইচুং থেকে কিয়ানের হ্যাটট্রিক, কার্তিক শেঠের সঙ্গে তৈরি হয়েছিল অদ্ভুত 'লিঙ্ক', ৯৮ নম্বর ডার্বিতে আজ নামছেন প্রদীপ

গহনা বা মুদ্রা নয়, রূপোর পাত্র ক্রয় আপনার জন্য বেশি লাভজনক হতে পারে! কেন জানুন

এশিয়ান কোয়ালিফায়ারে হারের জের, ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে আরও পতন, ভারতীয় ফুটবলের দৈন্যদশা আরও স্পষ্ট

ধনতেরাসেই সুখের খবর, এলআইসি নিয়ে এল বাম্পার স্কিম

রাজধানী এক্সপ্রেসে নবজাতকের প্রাণরক্ষা, সেনা জওয়ান সুনীলের সাহসী উদ্যোগে বাঁচল ৮ মাসের শিশু!

গিলকে এত ভয় কেন? খোলসা করলেন সূর্য

ব্রহ্মপুত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ বানাচ্ছে চীন, পাল্টা সাড়ে ছ’লক্ষ কোটি টাকা খরচে কী করতে চায় ভারত

প্রয়াত পরিচালক গৌতম ঘোষের স্ত্রী নীলাঞ্জনা ঘোষ, শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

৬০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি সহ গ্রেপ্তার যুবক, শনি সকালে ধর্মতলায় শোরগোল

বিহারে ২০ জনের প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল সিপিআই(এমএল), ঠাঁই ১২ জন বর্তমান বিধায়কের

ভারতের আধার কার্ডে মুগ্ধ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, নিজের দেশেও ‘ব্রিট কার্ড’ চালু করতে চান স্টার্মার

নতুন অধ্যায়ের পথে রণবীর-আলিয়া! দীপাবলিতে কোন সুখবর দিতে চলেছেন কাপুর দম্পতি?

পাঞ্জাবে গরিব রথ এক্সপ্রেসে আগুন, ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি কামরা, আতঙ্কে যাত্রীরা

খেপিয়ে দিয়েছিলেন সুব্রত, হ্যাটট্রিক মিসের জ্বালা জুড়োয়নি পঞ্চাশ বছরেও, পাঁচ গোলের মহাম্যাচের স্মৃতিতে ডুব দিলেন শ্যাম থাপা

স্বস্তিকার সঙ্গে টক্কর দিতে আসছে 'গীতা এলএলবি'র কৃপাণ! ফের খল চরিত্রে সফর শুরু অভিনেতার?

‘আমি যুদ্ধ থামাতে ভালবাসি’, আফগানভূমে পাক এয়ারস্ট্রাইকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট আর যা বললেন শুনলে ভিরমি খাবেন

সকাল থেকেই চম্পাহাটির বাজি বাজারে হৈচৈ, সব বাজি ছেড়ে লোকে খোঁজ করছে ‘ময়ুর’ এবং ‘বিড়ি’ বাজি