রবিবার ২৪ আগস্ট ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

উত্তর সম্পাদকীয় | ট্রাম্পের শুল্কনীতি, একগুঁয়েমির অস্থিরতা কতদিন সইবে বিশ্ব, নজর সেদিকেই

AD | ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২ : ৪৮Abhijit Das

বুড়োশিব দাশগুপ্ত

শুরুর সময়ে যতটা জনপ্রিয়তা ছিল, বিশ্বায়ন বিষয়টি নিয়ে ইদানিং ততটা আগ্রহ দুনিয়ার নেই। সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'MAGA (Make America Great Again)' প্রকল্প শুরু করে বিশ্বায়নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন বলা চলে। এই প্রকল্প বিশ্বায়নের নীতিবিরোধী একটি প্রকল্প বলা চলে। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণা একদিকে তাঁর মহান আমেরিকা গড়ার আদর্শের পথে একধাপ আগুয়ান হওয়া যেমন, তেমনই উল্টো দিকে বিশ্বায়নের দুনিয়ার উল্টো স্রোতে সাঁতার কাটাও। 

এই খোলা বাজারের বাণিজ্যের ইতিহাস দীর্ঘ। অতীতে, ১৯৪৭ সালে ২৩টি দেশ মিলে জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড (জিএটিটি) স্বাক্ষর করেছিল। বিশ্ববাণিজ্যের পথ সুগম করতে ও বিভিন্ন শুল্ক ও লেভিতে ছাড় দিয়ে বিশ্ববাজারকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এই সংগঠন কাজ করবে বলে কথা ছিল। এর প্রায় ৫০ বছর বাদে, ১৯৯৫ সালে তৈরি হয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। সবটাই খোলা বাজারের অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে। কাজেকর্মে ট্রাম্প এতদিনে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রসংঘের কাজকর্ম বা পরামর্শের তোয়াক্কা করেন না। করোনাকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়েছিলেন। এ বার, নতুন শুল্ক নীতি চাপিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকেও কার্যত পাশ কাটিয়ে দিলেন ট্রাম্প। 

ট্রাম্পের বর্তমান শুল্ক নীতি অনুসারে, সমস্ত আমদানিকৃত দ্রব্যের উপরেই সাধারণ ১০ শতাংশ কর থাকবে। ছোট-বড় কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হবে না। তবে ট্রাম্প সরকার সবচেয়ে বেশি শুল্ক চাপিয়েছে চীনের উপর, ৫৪ শতাংশ। তারপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, ভারত ২৬ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ। তবে তালিকা থেকে বাদ রয়েছে কানাডা, মেক্সিকো, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, কিউবা ও বেলারুশ। প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডার থেকে আমাদানির উপর আগে থেকেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, কিউবা ও বেলারুশের সঙ্গে আমেরিকার বিশেষ কোনও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে। 

সম্ভবত ট্রাম্পের ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই। বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে GATT এবং পরে WTO, এর সবচেয়ে বড় উপকারভোগী দেশ ছিল আমেরিকাই। ট্রাম্পের এই প্রতিশোধস্পৃহা থেকে উদ্ভুত শুল্ক আরোপের তাৎক্ষণিক কারণ ছিল ২০২৪ সালে আমেরিকার ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি। এই ঘাটতির জন্য ট্রাম্প দায়ী করেছেন বাণিজ্যরত দেশগুলোকেই। তারা “এই সুন্দর আমেরিকাকে লুঠ, ধর্ষণ ও ধ্বংস করছে” বলে তাদের শাস্তি দেওয়া দরকার, বলছেন ট্রাম্প। আর তাঁর হাত ধরে জাতীয়তাবাদ এখন তুঙ্গে।

এই মার্কিন সংরক্ষণবাদী নীতির প্রতিক্রিয়া এসেছে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। চীন সমস্ত আমেরিকান রপ্তানির ওপর ৩৪% শুল্ক আরোপ করেছে। জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হুঁশিয়ারি দিয়েছে কড়া পদক্ষেপের। বিশ্বের শেয়ার বাজারগুলোয় ধস নেমেছে। আমেরিকার মধ্যেই মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প নির্লিপ্ত। তিনি বলেছেন, তিনি শেয়ার বাজারের ওঠানামায় বিশ্বাস করেন না। আর মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য স্বল্পমেয়াদী কষ্ট’ সহ্য করার ক্ষমতা আছে দেশের।

ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, আমেরিকার ভিতরে উৎপাদন খাতে দেওয়া ছাড় কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম দফায় সেটি হয়নি। উৎপাদন বাড়েনি, চাকরির সংখ্যাও নয়। প্রথম দফায় যখন ট্রাম্প স্টিলের উপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তখন স্টিল খাতে কর্মসংস্থান কিছুটা বাড়লেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে শুল্কজনিত দামবৃদ্ধির ফলে কর্মসংস্থান অনেক বেশি কমে গিয়েছিল। সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল, যেমনটা এবার অনেক বড় পরিসরে হবে এই পারস্পরিক শুল্কের ফলে।

ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির ‘বিশেষ বন্ধুত্ব’ও ভারতকে এই শুল্ক থেকে রেহাই দিতে পারেনি। আশ্চর্যজনকভাবে ভারত এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বেশ চুপচাপ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা চীনের মতো প্রকাশ্যে মার্কিন সমালোচনায় নামেনি ভারত। বরং শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডের মতো ছোট দেশগুলোর সঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক ক্ষেত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বিশাল বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের বিকল্প হতে পারে না। সাম্প্রতিককালে ভারত আমেরিকা থেকে আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করছে, রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে। আমেরিকার সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির অপেক্ষায় ছিল ভারত, যাতে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করা যায়। কিন্তু একপক্ষের ছোট্ট ভুলও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে এই সদ্য অর্জিত আস্থা ভারত হারাতে পারে না—যা ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে সবচেয়ে খারাপ ছিল, এবং পরে মনমোহন সিংয়ের পরমাণু চুক্তির সময় থেকে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছিল।

কিন্তু ট্রাম্পের শাসনের আগামী চার বছর বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বজায় রাখবে। তাঁর অনিশ্চিত নীতি গোটা বিশ্বে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। খুব সম্ভবত বিশ্ব বাণিজ্য ভেঙে ছোট ছোট বাণিজ্যিক গোষ্ঠীতে পরিণত হবে, যা আগে ছিল বিশ্বায়ণের এক ধরনের ঐক্যবদ্ধ রূপ। অথচ বিশ্বায়নের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিল আবার আমেরিকাই। এখন বিশ্ব হাঁটবে ‘সংরক্ষণবাদ’-এর পথে।


নানান খবর

সূর্যদেবের দিনে মহাদেবের কৃপা! ভাগ্যের খেলায় আজ বাড়ির বাইরেও প্রেমের প্রসাদ পাবে কোন কোন রাশি?

৩৫৮ কোটি টাকা গেল জলে, এশিয়া কাপের আগেই বড় ধাক্কা ভারতীয় ক্রিকেটে

রাস্তায় খাওয়াচ্ছিলেন পথকুকুরদের, সুপ্রিম নির্দেশের পর মহিলাকে মাঝরাস্তায় চড়-থাপ্পড় যুবকের

আকাশের মুখভার, আজ ১১ জেলা ভেসে যাবে ভারী বৃষ্টিতে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বাড়বে দুর্যোগ! মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা

'সিংহের মতো দাপিয়ে খেলব, যেদিন বুঝব হচ্ছে না, সরে যাব', আইপিএল নিয়ে সোজাসাপটা কোহলি

'টাকা দে, নয়তো মরে যা, আরেকটা বিয়ে করব', পণের জন্য স্ত্রীর উপর অকথ্য অত্যাচার, তরুণীর পরিণতিতে শিউরে উঠলেন প্রতিবেশীরা

কেন স্ত্রীকে খুন করে তাঁর হৃৎপিণ্ড নিয়ে ঘুরছিল স্বামী? পুলিশি জেরার জবাব দিল অভিযুক্ত

Kone Dekha Alo: কেমন হবে লাজবন্তী ও বনলতার জীবন কোন খাতে বইবে?

আর কবে ট্রফি জিতবেন রোনাল্ডো, সৌদি সুপার কাপও হারলেন, মরুদেশে তিনি ব্যর্থ এক নায়ক

কলকাতা পয়া মাঠ, জোড়া পুরস্কার কাকে উৎসর্গ করলেন আলাদিন?

'স্ত্রী নিখোঁজ, খুঁজে দিন প্লিজ', থানায় জানিয়েই ফোন বন্ধ স্বামীর, বাড়ির উঠোনে ছড়ানো ন্যাপথলিন দেখেই ভয়ঙ্কর খুনের কিনারা পুলিশের

২০২৭ বিশ্বকাপের ভেন্যু প্রকাশ, ৪৪টি ম্যাচ হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়, বাকি দশটা ম্যাচ কোথায় হবে?

চার চাকা গাড়ি করে পরপর নুনের বস্তা চুরি! বিজেপি নেতার কীর্তি ফাঁস করলেন তৃণমূল কাউন্সিলর

বন্ধ স্কুলের দরজা, আটকে পড়েছিল ৮ বছরের ছাত্রী, পালাতে গিয়ে গরাদেই আটকে গেল মাথা! সারারাত ওই অবস্থায় কাটানোর পর যা হল

ত্বকচর্চায় বাড়াবাড়ি করলেই সর্বনাশ! রূপটানের সময় কোন কোন ভুল একেবারেই করবেন না?

দুই বোনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে আসছে 'কন্যা', রোহন সেনের পরিচালনায় কেমন হবে ছবির ক্লাইম্যাক্স?

'ওকে আমার সামনে আসতে বারণ করো', গুরু গ্রেগের সঙ্গে বিতর্কিত অধ্যায় নিয়ে মুখ খুললেন শেহবাগ

হতে পারতেন বড় চাকুরে, ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন তারকা ডুরান্ড ফাইনালে থামিয়ে দিলেন 'বন্ধু' জবির দৌড়

প্যান কার্ড হারিয়েছেন? বাড়িতে বসেই কয়েক মিনিটে আবেদন করুন, জেনে নিন পদ্ধতি

হুগলির কলেজে আইন বিভাগে পুনর্মিলন উৎসব, হাজির প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তনীদের ভিড়ে জমজমাট অনুষ্ঠান

ভূতের চোখ নাকি! প্রথম লাইট বাল্ব দেখে এভাবেই আঁতকে উঠেছিল কলকাতার মানুষ, রাতের অন্ধকারে উপড়ে ফেলা হত বিদ্যুতের খুঁটিও

দেরিতে বিয়ে হলেই সন্তানধারণে সমস্যা হতে পারে? এই ধারণা কতটা ঠিক? কী বলছে বিজ্ঞান?

ম্লান ডায়মন্ডের দ্যুতি, হাফ ডজন গোলে ফের ডুরান্ড নর্থ ইস্টের

মোহনবাগান ১৭০১, ইস্টবেঙ্গল ৪০৮০, অপ্টা র‍্যাঙ্কিংয়ে লাল-হলুদকে পিছনে ফেলে সবুজ-মেরুনই দেশের একনম্বর

সোশ্যাল মিডিয়া