বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

উত্তর সম্পাদকীয় | ট্রাম্পের শুল্কনীতি, একগুঁয়েমির অস্থিরতা কতদিন সইবে বিশ্ব, নজর সেদিকেই

AD | ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২ : ৪৮Abhijit Das


বুড়োশিব দাশগুপ্ত

শুরুর সময়ে যতটা জনপ্রিয়তা ছিল, বিশ্বায়ন বিষয়টি নিয়ে ইদানিং ততটা আগ্রহ দুনিয়ার নেই। সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'MAGA (Make America Great Again)' প্রকল্প শুরু করে বিশ্বায়নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন বলা চলে। এই প্রকল্প বিশ্বায়নের নীতিবিরোধী একটি প্রকল্প বলা চলে। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণা একদিকে তাঁর মহান আমেরিকা গড়ার আদর্শের পথে একধাপ আগুয়ান হওয়া যেমন, তেমনই উল্টো দিকে বিশ্বায়নের দুনিয়ার উল্টো স্রোতে সাঁতার কাটাও। 

এই খোলা বাজারের বাণিজ্যের ইতিহাস দীর্ঘ। অতীতে, ১৯৪৭ সালে ২৩টি দেশ মিলে জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড (জিএটিটি) স্বাক্ষর করেছিল। বিশ্ববাণিজ্যের পথ সুগম করতে ও বিভিন্ন শুল্ক ও লেভিতে ছাড় দিয়ে বিশ্ববাজারকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এই সংগঠন কাজ করবে বলে কথা ছিল। এর প্রায় ৫০ বছর বাদে, ১৯৯৫ সালে তৈরি হয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। সবটাই খোলা বাজারের অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে। কাজেকর্মে ট্রাম্প এতদিনে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রসংঘের কাজকর্ম বা পরামর্শের তোয়াক্কা করেন না। করোনাকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়েছিলেন। এ বার, নতুন শুল্ক নীতি চাপিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকেও কার্যত পাশ কাটিয়ে দিলেন ট্রাম্প। 

ট্রাম্পের বর্তমান শুল্ক নীতি অনুসারে, সমস্ত আমদানিকৃত দ্রব্যের উপরেই সাধারণ ১০ শতাংশ কর থাকবে। ছোট-বড় কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হবে না। তবে ট্রাম্প সরকার সবচেয়ে বেশি শুল্ক চাপিয়েছে চীনের উপর, ৫৪ শতাংশ। তারপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, ভারত ২৬ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ। তবে তালিকা থেকে বাদ রয়েছে কানাডা, মেক্সিকো, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, কিউবা ও বেলারুশ। প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডার থেকে আমাদানির উপর আগে থেকেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, কিউবা ও বেলারুশের সঙ্গে আমেরিকার বিশেষ কোনও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে। 

সম্ভবত ট্রাম্পের ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই। বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে GATT এবং পরে WTO, এর সবচেয়ে বড় উপকারভোগী দেশ ছিল আমেরিকাই। ট্রাম্পের এই প্রতিশোধস্পৃহা থেকে উদ্ভুত শুল্ক আরোপের তাৎক্ষণিক কারণ ছিল ২০২৪ সালে আমেরিকার ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি। এই ঘাটতির জন্য ট্রাম্প দায়ী করেছেন বাণিজ্যরত দেশগুলোকেই। তারা “এই সুন্দর আমেরিকাকে লুঠ, ধর্ষণ ও ধ্বংস করছে” বলে তাদের শাস্তি দেওয়া দরকার, বলছেন ট্রাম্প। আর তাঁর হাত ধরে জাতীয়তাবাদ এখন তুঙ্গে।

এই মার্কিন সংরক্ষণবাদী নীতির প্রতিক্রিয়া এসেছে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। চীন সমস্ত আমেরিকান রপ্তানির ওপর ৩৪% শুল্ক আরোপ করেছে। জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হুঁশিয়ারি দিয়েছে কড়া পদক্ষেপের। বিশ্বের শেয়ার বাজারগুলোয় ধস নেমেছে। আমেরিকার মধ্যেই মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প নির্লিপ্ত। তিনি বলেছেন, তিনি শেয়ার বাজারের ওঠানামায় বিশ্বাস করেন না। আর মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য স্বল্পমেয়াদী কষ্ট’ সহ্য করার ক্ষমতা আছে দেশের।

ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, আমেরিকার ভিতরে উৎপাদন খাতে দেওয়া ছাড় কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম দফায় সেটি হয়নি। উৎপাদন বাড়েনি, চাকরির সংখ্যাও নয়। প্রথম দফায় যখন ট্রাম্প স্টিলের উপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তখন স্টিল খাতে কর্মসংস্থান কিছুটা বাড়লেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে শুল্কজনিত দামবৃদ্ধির ফলে কর্মসংস্থান অনেক বেশি কমে গিয়েছিল। সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল, যেমনটা এবার অনেক বড় পরিসরে হবে এই পারস্পরিক শুল্কের ফলে।

ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির ‘বিশেষ বন্ধুত্ব’ও ভারতকে এই শুল্ক থেকে রেহাই দিতে পারেনি। আশ্চর্যজনকভাবে ভারত এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বেশ চুপচাপ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা চীনের মতো প্রকাশ্যে মার্কিন সমালোচনায় নামেনি ভারত। বরং শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডের মতো ছোট দেশগুলোর সঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক ক্ষেত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বিশাল বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের বিকল্প হতে পারে না। সাম্প্রতিককালে ভারত আমেরিকা থেকে আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করছে, রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে। আমেরিকার সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির অপেক্ষায় ছিল ভারত, যাতে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করা যায়। কিন্তু একপক্ষের ছোট্ট ভুলও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে এই সদ্য অর্জিত আস্থা ভারত হারাতে পারে না—যা ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে সবচেয়ে খারাপ ছিল, এবং পরে মনমোহন সিংয়ের পরমাণু চুক্তির সময় থেকে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছিল।

কিন্তু ট্রাম্পের শাসনের আগামী চার বছর বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বজায় রাখবে। তাঁর অনিশ্চিত নীতি গোটা বিশ্বে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। খুব সম্ভবত বিশ্ব বাণিজ্য ভেঙে ছোট ছোট বাণিজ্যিক গোষ্ঠীতে পরিণত হবে, যা আগে ছিল বিশ্বায়ণের এক ধরনের ঐক্যবদ্ধ রূপ। অথচ বিশ্বায়নের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিল আবার আমেরিকাই। এখন বিশ্ব হাঁটবে ‘সংরক্ষণবাদ’-এর পথে।


Reciprocal TariffDonald TrumpUSAIndiaTariff War

স্ত্রী-কন্যাকে খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ কোর্টের, বড় ধাক্কা খেলেন সামি

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা নিয়ে উধাও, সত্য ঘটনা জানলে ভিরমি খাবেন

বার্মিংহ্যামে বিপত্তি! হোটেলবন্দি রাখা হল টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের

বার্মিংহ্যামে বিপত্তি! হোটেলবন্দি রাখা হল টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের

নিম্ন আয়ের পরিবারগুলির জন্য বড় খবর, দারুন উদ্যোগ এসবিআই জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের

ফের জুটিতে সত্যম-সুরঙ্গনা

'আমার মা চান আমরা সবাই মারা যাই,তাই আমি এখানে এসেছি', ৮ বছরের শিশুর কাতর আবেদনে গোটা দেশ স্তম্ভিত

শুরু হল সরোজ ঘোষ মেমোরিয়াল টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ‌

শতরানের পর ছয় উইকেট, লাল বলের ক্রিকেটে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন মুশিরের

সঙ্গী প্রায়ই মিথ্যে কথা বলেন? সম্পর্কে বড়সড় ফাটল ধরার আগে বুঝুন ৫ লক্ষণ

‘পাততাড়ি গুটিয়ে ফিরতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়’, ট্রাম্পের হুমকিতে অস্বস্তিতে টেসলা কর্তা

ট্রোলের পাল্টা জবাব অর্শদীপের, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল স্ক্রিনশট

অকালে উঁকি দিচ্ছে টাক? এই সব ভেষজের ম্যাজিকেই হু হু করে হবে হেয়ার গ্রোথ, বাড়বে চুলের গোছ

চলতি সপ্তাহেও চলবে দুর্যোগ, তালিকায় আপনার জেলা আছে কিনা জেনে নিন?‌

স্থাপত্য়ের ঐতিহ্য়, অম্বুজা নেওটিয়ার আয়োজনে বিশেষ অনুষ্ঠান

সল্টলেকে সরকারি আবাসন থেকে উদ্ধার ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ, আত্মহত্যা নয় দাবি পরিবারের, তদন্তে পুলিশ

পালং পরোটা থেকে চিকেন কষা, বাসন্তি পোলাওয়ের সঙ্গে যোগ হল রসগোল্লা, শিয়ালদহ-দিল্লি রাজধানীর রজত জয়ন্তীতে যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

বুমরা এজবাস্টন টেস্ট খেলবেন?‌ অধিনায়ক শুভমান দিলেন ধোঁয়াশা ভরা জবাব

৪০ বছর বয়সে বিনিয়োগ করেও হতে পারেন কোটিপতি, জেনে নিন বিস্তারিত

ম্যাকালামকে সেরা কোচের তকমা, ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেওয়ার প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক

তিন স্ত্রী, বিবাহবহির্ভূত পাঁচ সন্তানের একজন রয়েছে ভারতেও! এই ক্যাসানোভা ক্রিকেটারের জীবন সবসময় বিতর্কে ঘেরা

ভারতের বিরুদ্ধে ফের মাঠে নামছেন আফ্রিদি! অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার ক্রিকেটে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

লুকিয়ে নিজ বাসভবনে নিয়ে গিয়ে পরিবারের কাছে ২০,০০০ টাকা দাবি! ৬ নাবালক কে অপহরণের অভিযোগে সাব ইন্সপেক্টর 

তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে ‘কালোবাজারি রুখতে’ বড় পদক্ষেপ নিল ভারতীয় রেল

সোশ্যাল মিডিয়া