আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যস্ততাময় সারা সপ্তাহের সময় বাঁচাতে ছুটির দিনে অনেকেই সবজি, ফল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় খাবার কিনে রাখেন। যেগুলির মধ্যে বেশিরভাগই টাটকা রাখতে ফ্রিজে রেখে দেন। মাছ, মাংস, ডিম, সবজি-ফল তো বটেই, এমনকী বিস্কুট, কুকিজ থেকে কিছু মশলারও ঠাঁই হয় ফ্রিজে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা ফ্রিজে রাখলে হিতে বিপরীত হয়। টাটকা তো থাকেই না, উল্টে শরীরের জন্য বিষাক্ত হয়ে ওঠে। জেনে নিন সেই বিষয়ে-
*পেঁয়াজ: সারা সপ্তাহের আমিষের পদ তৈরি করতে পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখছেন? তবে সাবধান হন। খুব কম এবং আর্দ্র তাপমাত্রায় পেঁয়াজ নরম হয়ে যায়। এমনকি নষ্টও হতে পারে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলেই ভাল থাকে পেঁয়াজ।
রসুন: পেঁয়াজের মতো রসুনও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঘরে রসুন রাখলে দীর্ঘ সময় সতেজ থাকবে। ফ্রিজে রাখা রসুন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। রসুনের ঝাঁঝালো গন্ধ ফ্রিজে রাখলে পুরোপুরি উবে যায়। রসুনের কোয়ার মাথা ছাড়ানোর পরে ১০ দিনের মধ্যে অবশ্যই ব্যবহার করে নিন।
*আদা: ফ্রিজে রাখলে আদায় ছত্রাক জন্মায়, যা শরীরে প্রবেশ করলে লিভার ও কিডনি সহ সার্বিকভাবে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
*টম্যাটো: ফ্রিজে রাখলে টম্যাটোর স্বাদ-গন্ধ দুই উবে যায়। বরং কেনার পর কয়েকদিনের মধ্যে রান্না করে ফেলুন। একইসঙ্গে টম্যাটো সসও স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলেই ভাল।
*শসা: ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে শশা রাখলে দ্রুত পচন ধরতে শুরু করে। দীর্ঘদিন ফ্রিজে শসা রাখলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।তাই শসা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন।
*আলু: ফ্রিজে রাখলে আলুতে থাকা স্টার্চ সুগারে রূপান্তরিত হয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা খেলে সুগার বেড়ে যেতে পারে। বাইরে থাকলে আলু যতটা ভাল থাকবে, ফ্রিজে থাকলে ততটাই দ্রুত খারাপ হয়ে যাবে।
*শুকনো খাবার: ফ্রিজে ভুলেও রাখবেন না বিস্কুট, কুকিজ, কেক। এগুলি বাইরে এয়ারটাইট বাক্সে রেখে দিন। ড্রাইফ্রুটসও কখনও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। সেই সঙ্গে গুঁড়ো মশলা ফ্রিজে রাখলে তার গন্ধ ও স্বাদ হারিয়ে যায়।
*মধু: মধু ঘরের তাপমাত্রায় রাখলে তা অনেকদিন ভাল থাকে। বদলে ফ্রিজে রাখলে মধু দানার আকৃতি নেয়। দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। ফ্রিজে রাখলে মধু ঘন হয়ে শক্ত হতে শুরু করে।
