আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের আগে উত্তর প্রদেশে মুসলিমদের প্রতি হুমকি ও কড়া নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মীরাটের পুলিশ প্রধান ঘোষণা করেছেন, রাস্তায় কোনোভাবেই নামাজ পড়তে দেওয়া হবে না। যারা এই নির্দেশ অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে এবং পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের এ ধরনের হুমকি দেওয়ার ক্ষমতা আসলেই আছে কি না। সাধারণত আদালতের অধিকার সিদ্ধান্ত নেওয়া, কোনো অপরাধের প্রকৃতি ও শাস্তি নির্ধারণের বিষয়ে। পুলিশ কর্মকর্তাদের এ ধরনের হুঁশিয়ারি দেওয়া বেআইনি এবং পাসপোর্ট বাতিল করার ক্ষমতা পুলিশের নেই।
শুক্রবারের শেষ রমজানের দিন, সমভাল জেলার পুলিশ আরও এক ধাপ এগিয়ে ঘোষণা করে যে, কেউ বাড়ির ছাদেও নামাজ পড়তে পারবে না। সেই সঙ্গে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের ব্যাপক মোতায়েন লক্ষ্য করা গেছে, যা স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
অনেকেই মনে করছেন, এটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ এবং হিন্দুদের মনে মুসলিমদের নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করার প্রয়াস। যদিও প্রশাসন জানায়, রাস্তায় নামাজ পড়া ট্রাফিক ও জরুরি সেবায় বিঘ্ন ঘটায়, কিন্তু হিন্দু ধর্মীয় উৎসবের সময় এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় না। দুর্গাপূজা, রামনবমী, গণেশ চতুর্থী, কিংবা হানুমান মন্দিরে ভক্তদের সমাগমে সৃষ্ট যানজটের ক্ষেত্রে প্রশাসন সাধারণত নীরব থাকে।
এভাবে, মুসলিমদের প্রতিটি ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে মত কংগ্রেস সহ বিরোধীদের।
