আজকাল ওয়েবডেস্ক: বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না। তবে এখন, উন্নত প্রযুক্তির যুগ। এখন আর কথা বলার জন্য বন্ধু না থাকলেও চলে। সঙ্গ দিয়ে দেয় প্রযুক্তিই। তার অন্যতম উদাহরণ চ্যাটজিপিট ব্যবহার। বর্তমান সময়ে বহু মানুষই চ্যাটজিপিটিকে নানা সময়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন। দিনের শেষে কথা বলার সঙ্গী না পেয়ে প্রযুক্তির সঙ্গেই শেয়ার করেন মনের সুখ দুঃখ। অনেকেই সেটিকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেন। গবেষণার তথ্য,যাঁরা চ্যাটজিপির ব্যবহার করেন, কথা বলেন, এই প্রযুক্তি তাঁদের দিনে দিনে আরও একা করে তুলছে।
তথ্য, যাঁরা চ্যাটজিপিকে কথা বলার সঙ্গী হিসেবে ভেবে নিয়েছিলেন, তাঁরা দিনে দিনে এক অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন প্রযুক্তির সঙ্গে। ওপেনএআই এবং এমআইটি মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতি সপ্তাহে ৪০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন। গবেষণায় চ্যাটজিপিট সঙ্গে লক্ষ লক্ষ চ্যাট কথোপকথন এবং অডিও ইন্টারঅ্যাকশন বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এমআইটি মিডিয়া ল্যাব প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ মিনিটের জন্য চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সাধারণ মানুষ কীভাবে কথা বলছেন দেখার জন্য একটি ট্রায়ালে হাজার মানুষকে নিয়োগ করেছিল। আর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা চ্যাটজিপিটির উপর ভরসা রেখেছিলেন, নিজেদের মনের কথা বলেছেন, দিন শেষে বেশি একাকী অনুভব করছেন তাঁরাই।
এই প্রজেক্টে যুক্ত ওপেনএআই নিরাপত্তা গবেষক জেসন ফাং জানিয়েছেন, প্রযুক্তিটির কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। জানিয়েছেন, 'এখানে যা কাজ হচ্ছে, তার বেশিরভাগই প্রাথমিক। তবে আমরা কী ধরণের জিনিসগুলি পরিমাপ করতে পারি এবং ব্যবহারকারীদের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কতটা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করার জন্য কথোপকথন শুরু করার চেষ্টা করছি।‘
