আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত এক দশকে ভারতীয় রেলে এক অসাধারণ রূপান্তর ঘটেছে। রেল স্টেশনগুলির পুনর্নবীকরণ থেকে শুরু করে প্ল্যাটফর্মের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উন্নতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তার উপর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো উচ্চপ্রযুক্তি ট্রেনের প্রবর্তন গতিশীলতার এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। যা দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি উন্নত আধা-উচ্চগতির সম্পন্ন ট্রেনের উদাহরণ প্রদর্শন করে। এই অত্যাধুনিক ট্রেনটি কেবল যাত্রীদের অভিজ্ঞতাই উন্নত করেনি বরং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও অবদান রেখেছে।

চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ)-তে তৈরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ ১৬০ কিমি/ঘন্টা গতির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটির পরিচালনার গতি কমেছে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একাধিক সাংসদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে প্রশ্ন করেন, উচ্চগতির হওয়া সত্ত্বেও বন্দে ভারতের গড় গতি কেন কম থাকে? তাঁরা ট্রেনটিকে সর্বোচ্চ দক্ষতায় চালানো নিশ্চিত করার জন্য সরকারের পরিকল্পনা, সময়সীমা এবং কৌশল সম্পর্কে আরও তথ্যেরও দাবি জানান।

উত্তরে রেলমন্ত্রী ব্যাখ্যা দেন, একটি ট্রেনের গতি কেবল পরিসংখ্যান দ্বারা নয়, বরং তার রুটের ট্র্যাকের পরিকাঠামো দ্বারাও প্রভাবিত হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতীয় রেল রেলপথের ক্রমাগত উন্নতি করে চলেছে ট্রেনের গতি আরও বৃদ্ধি করা জন্য। তিনি বলেন, ''২০১৪ সালে মাত্র ৩১,০০০ কিলোমিটার ট্র্যাকের গতিবেগ ছিল ১১০ কিলোমিটার। বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার কিলোমিটারে উচ্চ গতিশীল ট্র্যাক রয়েছে।''

বর্তমানে সারা দেশে ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন চলাচল করছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু। ভারতের দ্রুততম ট্রেন হিসেবে এটি গতি এবং দক্ষতার দিক থেকে শতাব্দী এবং রাজধানী এক্সপ্রেস উভয়কেই ছাড়িয়ে গিয়েছে।