আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘর যেন কুস্তির আখড়া। বেঙ্গালুরুর একজন মহিলা চিকিৎসক এবং তাঁর সন্তানদের বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধ শ্বশুর, শাশুড়ি এবং নিজের স্বামীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। মারধরের সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরপরই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং নেটিজেনরা ওই মারকুটে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

বেঙ্গালুরুর চিকিৎসক ডা. প্রিয়দর্শিনী এন-এর বিরুদ্ধে তার শ্বশুরবাড়িতে হামলা ও হয়রানির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, তাঁর শ্বশুর জে. নরসিমাইয়া অন্নপূর্ণেশ্বরীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ডা. প্রিয়দর্শিনী তাঁর ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে গত ১০ মার্চ শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধ শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী নবীন কুমারকে শারীরিক ও মৌখিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশকে জে. নরসিমাইয়া জানিয়েছেন যে, তাঁর ছেলে ২০০৭ সালে প্রিয়দর্শিনীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বেশ কয়েক বছর পরে ছেলে  বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানান। সেই সূত্রেই, ১০ মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পুত্রবধূ তাঁর মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসেন এবং উপস্থিত সকলকে শারীরিক ও মৌখিকভাবে নির্যাতন করেন।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">March 15, 2025

পাল্টা প্রিয়দর্শিনী দাবি করেন যে, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে উত্তেজিত করেছিলেন। তিনি জানান যে, স্বামীর বাড়িতে গিয়েছিলেন  সন্তানদের জন্য আর্থিক সহায়তার অভাব নিয়ে আলোচনা করতে। আলোচনার সময় যখন তিনি এবং তাঁর সন্তানরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন, তখন তাঁরা ওই ভিডিওটি রেকর্ড করেছিল। পুলিশ উভয় পক্ষের করা দাবিগুলি তদন্ত করছে, যার মধ্যে অনলাইনে প্রচারিত একটি ভিডিও-ও রয়েছে।

ভাইরাল ভিডিও পোস্ট অনুসারে, ডাক্তারের ৮০ বছর বয়সী শ্বশুর একজন হৃদরোগী, তাঁকে লাথি মেরে এবং টেনেছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তাঁর শাশুড়ি ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁকেও পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ধরে মঙ্গলসূত্র হিঁচড়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডাক্তারের দুর্ব্যবহারের কারণে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পৃথভাবে বসবাস করেন, কিন্তু তিনি জোর করে তাদের ভাড়া বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাঁদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন।

ভিডিওটিতে প্রিয়দর্শিনীকে চিৎকার করতে শোনা যাচ্ছে। দেখা য়াচ্ছে যে,  শাশুড়িকে চুল ধরে টেনে আনছেন এবং তাঁর মেয়ে ঠাকুমাকে লাথি মারছেন। এই মারধরের সময় চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে প্রিয়দর্শিকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে আগের হয়রানির কথা বলতে সোনা যাচ্ছে।