আজকাল ওয়েবডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের এক নার্সিং হোমে ২০০৫ সালে মাত্র ছয় মাস বয়সে এক বিশেষ বেড়ালের আগমন ঘটে। থেরাপি বেড়াল হিসেবে পরিচিত এই অস্কার নামের বেড়ালটি প্রথমে সাধারণ মনে হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর এক অদ্ভুত ক্ষমতা প্রকাশ পেতে শুরু করে। নার্সিং হোমের কর্মীরা লক্ষ্য করেন, অস্কার যাদের পাশে শুয়ে থাকত, সেই রোগীরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যেতেন।

প্রথমে এই ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, কিন্তু এমন ঘটনা ২০ বারের বেশি ঘটার পর কর্মীরা বুঝতে পারেন, অস্কার কেবলই সাধারণ একটি বেড়াল নয়, বরং সে মৃত্যুর আগাম সংকেত বুঝতে পারে। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য গবেষক ড. ডেভিড ডোসা জানিয়েছেন, অস্কার শুরুতে ভীতু প্রকৃতির ছিল এবং সাধারণত নিজেকে আড়ালে রাখত। কিন্তু কোনো রোগীর মৃত্যু নিকটে এলে সে সামনে চলে আসত এবং তাঁদের পাশে শুয়ে থাকত।

অনেক গবেষক মনে করেন, অস্কার সম্ভবত রোগীর মৃত কোষ থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থের গন্ধ বুঝতে পারত। এমনকি একবার, নার্সিং হোমের কর্মীরা ভেবেছিলেন একজন রোগী মারা যাচ্ছেন, কিন্তু অস্কার তাঁর পাশে বসেনি। বরং অন্য এক সুস্থ দেখতে রোগীর পাশে বসেছিল, এবং সেই রোগী প্রথমে মারা যান।

অস্কার ২০২২ সালে মারা যায়। তাঁর জীবদ্দশায়, সে ১০০টিরও বেশি মৃত্যুর সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছিল। কেউ তাঁকে 'মৃত্যুর দূত' বললেও, অনেকেই তাঁকে কেবল একজন দেবদূত হিসেবে দেখে।