আজকাল ওয়েবডেস্ক: মৌচাক ছবির বিখ্যাত গান “পাগলা গারদ কোথায় আছে”- তে ভাই রঞ্জিত মল্লিককে আড়াল থেকে বাঁচিয়েছিলেন দাদা উওম কুমার। নারী-পুরুষের সেই গানের লড়াইতে তাঁর যুক্তি ছিল, “লক্ষ ব্লেডে কামালেও যে উঠবে নাকো গোঁফ আর দাড়ি”। কিন্তু দাড়ি উঠলেই তো হল না, কিছুদিন অন্তর অন্তর কামানোও তো চাই। আর তাতেই বিপত্তি। অনেক সময়েই দাড়ি কামানোর সময় জ্বালা করা এবং গোটা ওঠার মতো সমস্যায় ভোগেন বহু পুরুষ। বিষয়টা কিন্তু এমনি এমনি হয় না। বা যিনি কাটছেন সব সময় তাঁর ভুলের জন্যেও হয় না। এর নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ। দেখে নিন -
* ভোঁতা ব্লেড ব্যবহার করা: ভোঁতা ব্লেড ব্যবহার করলে দাড়ি ঠিকমতো কাটে না এবং ত্বকে টান লাগে, যার ফলে জ্বালা করে এবং গোটা ওঠে।
* শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকে দাড়ি কামালে ব্লেড ভালভাবে চলতে পারে না এবং ত্বকে ঘর্ষণ হয়, যার ফলে জ্বালা করে।
* ভুল পদ্ধতি: দাড়ি কামানোর সময় যদি ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যেমন দাড়ির বিপরীত দিকে কামানো বা বেশি চাপ দেওয়া হয়, তাহলে ত্বকে জ্বালা করতে পারে।
* সংবেদনশীল ত্বক: কিছু মানুষেরর ত্বক খুব স্পর্শকাতর হয়, যার কারণে দাড়ি কামানোর পরে সহজেই জ্বালা করে এবং গোটা ওঠে।
* ত্বকের সংক্রমণ: যদি দাড়ি কামানোর সময় ত্বক কেটে যায় এবং সেখানে ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোনও জীবাণু প্রবেশ করে, তাহলে সংক্রমণ হতে পারে এবং এর ফলে গোটা উঠতে পারে।
দাড়ি কামানোর সময় জ্বালা করা এবং গোটা ওঠা কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
* ধারালো ব্লেড ব্যবহার করুন: সবসময় ধারালো ব্লেড ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত ব্লেড পরিবর্তন করুন।
* ত্বককে প্রস্তুত করুন: দাড়ি কামানোর আগে ত্বককে ভালভাবে পরিষ্কার করুন এবং গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে দাড়ি নরম হবে এবং কামানো সহজ হবে।
* শেভিং ক্রিম বা জেল ব্যবহার করুন: দাড়ি কামানোর আগে ভালো মানের ক্রিম বা জেল ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে পিচ্ছিল করবে এবং ঘর্ষণ কমাতে সাহায্য করবে।
* সঠিক দিকে কামান: দাড়ি যে দিকে বাড়ে সে দিকেই কামান।
* আলতো করে কামান: বেশি চাপ না দিয়ে আলতো করে দাড়ি কামান।
* ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন: দাড়ি কামানোর পরে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
* ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: দাড়ি কামানোর পরে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা খুব জরুরি।
যদি আপনার প্রায়ই দাড়ি কামানোর সময় জ্বালা করে এবং গোটা ওঠে, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।
