আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নির্বাচিত হলেন জ্ঞানেশ কুমার। রাজীব কুমারের অবসরের পর মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হলেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় সরকারের তরফে এই ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আসন্ন পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে বিরোধী শাসিত পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা ও তামিলনাড়ু এবং এনডিএ শাসিত বিহার ও আসাম। ২০২৪ সালের শেষের দিকে বিহারে নির্বাচন রয়েছে। বাকি চারটি রাজ্যে ২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে।

 

জ্ঞানেশ কুমার ২০২৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পদে থাকবেন। জানা গিয়েছে, তিনি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে থাকাকালীন ২০টি বিধানসভা নির্বাচন, ২০২৭ সালের রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। জ্ঞানেশ কুমারকে এই পদে নির্বাচিত করার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। কিন্তু সেখানে রাহুল গান্ধী ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। তারপরেও জ্ঞানেশ কুমারকে নির্বাচিত করায় এই নিয়োগের বিরোধিতায় কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। আগামী শনিবার এর শুনানি বলে জানা গিয়েছে। 

 

তাদের দাবি, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার হাতে রাখতে চায় নির্বাচন কমিশনকে। সে কারণেই আগেভাগে নিয়োগ করা হয়েছে জ্ঞানেশ কুমারকে। অন্যদিকে, সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনে শূন্যপদ এড়াতে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে চায়নি কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় নিয়োগ করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। জানা গিয়েছে, কেরালা ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের আইএএস জ্ঞানেশ কুমার এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিল খসড়া তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।

 

২০২৩ সালের আগে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রাষ্ট্রপতিরও। প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে নিয়োগ করতেন তিনিই। তবে, সাধারণত দুই নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে যিনি সিনিয়র, তাকেই এই পদে নিযুক্ত করা হত। কিন্তু ২০২৩ সালে সংসদে একটি আইন পাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার তিন সদস্যের কমিটি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করবেন। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের আইন অনুযায়ী, এই কমিটিকে থাকতে হবে প্রধান বিচারপতিকে। তাঁর জায়গায় একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে বসানো নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে।